Actor-director Satish Kaushik last word: আমি মরতে চাই না ! মেয়ের জন্য বাঁচতে চাই…! শেষ কথাগুলি কাকে বলেছিলেন সতীশ কৌশিক ?
অভিনেতা- পরিচালক সতীশ কৌশিক নেই। এই কথাটা এখনও বিশ্বাস করে উঠতে পারছে না বলিউড। প্রাণবন্ত একটা মানুষ। এইভাবে শেষ হয়ে গেল ? প্রশ্নটা বারবার ঘুরপাক খাচ্ছে। কিন্তু সত্যিটা তো মেনে নিতেই হবে। মৃত্যু চিরন্তন সত্য। পরিচালকের থেকে অভিনেতা হিসেবে অনেক বেশি জনপ্রিয় ছিলেন সতীশ কৌশিক। সাধারণ মানুষ তাঁকে একজন সফল কমেডিয়ান হিসেবে চিরদিন মনে রাখবে। তবে তাঁর মৃত্যু স্বাভাবিক ছিল না ! এমনই নানা ধরণের দাবী সামনে আসতে শুরু করেছে। একই সঙ্গে প্রকাশ্যে এসেছে সতীশ কৌশিকের শেষ কতগুলি কথা। যাকে কথা না বলে বাঁচার আর্ত চিৎকার বলা যেতে পারে। সেই কথা সামনে এনেছেন সতীশে ম্যানেজার সন্তোষ রাই। তিনি শেষ মুহূর্তে সঙ্গে ছিলেন। কতটা অসহায় ছিলেন অভিনেতা, তা তাঁর কথা শুনলে বোঝা যায়। শেষ মুহূর্তে মানুষ বাঁচার জন্য ছটফট করে। কিন্তু হয়তো কিছুই করার থাকে না। যেমনটা কিছুই করা যায়নি অভিনেতা সতীশ কৌশিকের জন্য। নিজের ১০ বছরের মেয়ের জন্য বাঁচতে চেয়েছিলেন তিনি।
গাড়িতে যাওয়ার সময় সতীশ কৌশিক শেষ কথা বলে ছিলেন। তিনি বলেন, “আমার মনে হচ্ছে আমি আর বাঁচব না। কিন্তু আমি বাঁচতে চাই। আমাকে বাঁচাও সন্তোষ। আমি বংশিকার জন্য বাঁচতে চাই। আমার কিছু হয়ে গেলে ওদের দেখো”। হাসপাতালে যখন আমরা পৌঁছায় তখন আর তাঁর জ্ঞান ছিল না। অজ্ঞান হয়ে পড়েছিলেন। সন্তোষ তখন অনুপম খেরকে ফোন করেন। কিন্তু তিনি তখন ফোন তোলেননি। হয়তো ঘুমিয়ে পড়েছিলেন। কিছুক্ষণ পরে কলব্যাক করেন। ততক্ষণে সবশেষ।
কী ছিল শেষ কথা ?
একটি সংবাদ মাধ্যমের খবর অনুযায়ী, সন্তোষ রাই জানিয়েছেন, রাত সাড়ে আটটার দিকে সেদিন ডিনার করে নিয়েছিলেন সতীশ কৌশিক। কারণ পরদিন ভোররাতে তাঁর ফ্ল্যাইট ধরার ছিল। তাই তাড়াতাড়ি শুয়ে পড়েন। পাশের ঘরেই ঘুমিয়েছিলেন। রাত ১২টার পর খুব জোরে জোরে চিৎকার করে তিনি সন্তোষকে ডাকতে থাকেন। তাঁর ডাক শুনে ছুটে যান। কেন এইভাবে ডাকছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, “খুব শ্বাস কষ্ট হচ্ছে। এখনই কিছু করো। দয়া করে হাসপাতালে নিয়ে চলো”। তাড়াতাড়ি গাড়িতে উঠে আমরা রওনা দিই।গাড়িতে যাওয়ার সময় সতীশ কৌশিক শেষ কথা বলে ছিলেন। তিনি বলেন, “আমার মনে হচ্ছে আমি আর বাঁচব না। কিন্তু আমি বাঁচতে চাই। আমাকে বাঁচাও সন্তোষ। আমি বংশিকার জন্য বাঁচতে চাই। আমার কিছু হয়ে গেলে ওদের দেখো”। হাসপাতালে যখন আমরা পৌঁছায় তখন আর তাঁর জ্ঞান ছিল না। অজ্ঞান হয়ে পড়েছিলেন। সন্তোষ তখন অনুপম খেরকে ফোন করেন। কিন্তু তিনি তখন ফোন তোলেননি। হয়তো ঘুমিয়ে পড়েছিলেন। কিছুক্ষণ পরে কলব্যাক করেন। ততক্ষণে সবশেষ।


No comments:
please do not enter any spam link in the comment box