Bangladeshi actor Shakib khan: সহ- প্রযোজককে ধর্ষণ, প্রতিরাতে চায় যৌনকর্মী, বাংলাদেশী নায়ক শাকিব খানের গুণ প্রকাশ্যে
বরাবরই বিতর্কে থাকেন বাংলাদেশের ‘শাহরুখ খান’ শাকিব খান। বিয়ের আগে বাবা হয়ে যাওয়া থেকে নায়িকাকে মারধর। তার হরেক গুণ। তবে এবার সব কিছু ছাপিয়ে গেল। অস্ট্রেলিয়া শ্যুটিং করতে গিয়ে কী না কান্ড তিনি ঘটিয়েছেন। সেই সব প্রকাশ্যে আসতেই বাংলাদেশ জুড়ে রীতিমতো হইচই পড়ে গিয়েছে। এবারের অভিযোগ আরও ভয়ঙ্কর। শ্যুটিং ইউনিটের সহ প্রযোজককে ধর্ষণ থেকে অস্ট্রেলিয়ান যৌন কর্মীদের সঙ্গে ফুর্তি। আর তার বিল মেটাতে হত প্রযোজনা সংস্থাকে। অস্ট্রেলিয়ায় ‘অপারেশন অগ্নিপথ’ ছবির শ্যুটিং করতে গিয়েছিলেন শাকিব খান। এটাই প্রথম কোন বাংলাদেশী ছবির অস্ট্রেলিয়ায় পা রাখা। কিন্তু শাকিব খানের অসভ্যতার জন্য শ্যুটিং মাঝপথে বাতিল হয়ে যায়। ধর্ষণ করে অস্ট্রেলিয়া পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন শাকিব। দাবি করেছেন এই ছবির প্রযোজক রহমত উল্লাহ। বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সমিতি সহ চারটি সংগঠনের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন তিনি।
শ্যুটিংয়ের প্রথম দিন থেকেই চূড়ান্ত অপেশাদার মনোভাব দেখাতে শুরু করেন শাকিব খান। কোন রকম সহযোগিতা করতেন না। সময়ে আসতেন না। বিরাট সেট সাজিয়ে হয়তো সবাই অপেক্ষা করছে সারাদিন, একদম দিনের শেষে শাকিব খান আসতেন। এক-দুই ঘণ্টা শ্যুটিং করে চলে যেতেন। মাঝে মাঝেই নানা ধরণের খাবার বায়না ধরতেন। তখন শ্যুটিং ফেলে সবাই সেই খাবার খুঁজতে যেত। ফলে অনেক ক্ষতি হত। বাজেট অস্বাভাবিক বেড়ে যায়। এখানেই শেষ নয়। প্রতিরাতে শাকিব খানের যৌন কর্মী চায়। নিজে পতিতাপল্লিতে যেতেন, নয়তো হোটেলে নিয়ে আসতেন। কোন কোন রাতে দুই-থেকে তিনবার। আর সেইসব যৌন কর্মীদের মোটা অংকের খরচ দিতে হতো প্রোডাকশন হাউসকে। এরপর একদিন ঘটে সবথেকে ভয়ঙ্কর ঘটনা।
বাংলাদেশের শিল্পী সমিতির কাছে বিষয়টি জমা পড়েছে। তারা অভিযোগ খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেবে বলে জানিয়েছে। যার বিরুদ্ধে অভিযোগ সেই শাকিব খান অবশ্য চুপ।
ঠিক কী ঘটেছিল ?
ঘটনাটি ২০১৭ সালের। পূর্ব চুক্তি মতো শ্যুটিংয়ের জন্য অস্ট্রেলিয়ায় আসেন শাকিব খান। ছবির নাম ছিল ‘অপারেশন অগ্নিপথ’। বিপুল বাজেটের প্রথম বাংলাদেশী ছবি। কারণ এর আগে কোন সিনেমা অস্ট্রেলিয়ায় শ্যুটিং হয়নি। রহমত উল্লাহ জানান, তিনি আশা করেছিলেন এই ছবির মাধ্যমে বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে একটা ভালো সাংস্কৃতিক সম্পর্ক স্থাপন হবে। আর তাছাড়া শাকিব খান হিরো, অস্ট্রেলিয়ায় শ্যুটিং সব মিলিয়ে ভালো ব্যবসা সফল হবে ছবি।শ্যুটিংয়ের প্রথম দিন থেকেই চূড়ান্ত অপেশাদার মনোভাব দেখাতে শুরু করেন শাকিব খান। কোন রকম সহযোগিতা করতেন না। সময়ে আসতেন না। বিরাট সেট সাজিয়ে হয়তো সবাই অপেক্ষা করছে সারাদিন, একদম দিনের শেষে শাকিব খান আসতেন। এক-দুই ঘণ্টা শ্যুটিং করে চলে যেতেন। মাঝে মাঝেই নানা ধরণের খাবার বায়না ধরতেন। তখন শ্যুটিং ফেলে সবাই সেই খাবার খুঁজতে যেত। ফলে অনেক ক্ষতি হত। বাজেট অস্বাভাবিক বেড়ে যায়। এখানেই শেষ নয়। প্রতিরাতে শাকিব খানের যৌন কর্মী চায়। নিজে পতিতাপল্লিতে যেতেন, নয়তো হোটেলে নিয়ে আসতেন। কোন কোন রাতে দুই-থেকে তিনবার। আর সেইসব যৌন কর্মীদের মোটা অংকের খরচ দিতে হতো প্রোডাকশন হাউসকে। এরপর একদিন ঘটে সবথেকে ভয়ঙ্কর ঘটনা।
পৌশাচিকভাবে ধর্ষণ
একদিন রাতে ছবির সহ প্রযোজক এক তরুণীকে কৌশলে রুমে ডেকে ধর্ষণ করেন শাকিব। ওই তরুণীর উপর নির্মমভাবে পাশবিক অত্যাচার করেছিলেন তিনি বলে অভিযোগ রহমত উল্লাহের। এতটাই রক্ত ক্ষরণ হয় যে, সেইদিন তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হয়। অবস্থা শোচনীয় হয়ে ওঠে। হাসপাতালে যখন সবাই ব্যস্ত ছিলেন, তখন চুপিসাড়ে রাতেই অস্ট্রেলিয়া থেকে পালিয়ে আসেন শাকিব খান। ওই তরুণী অস্ট্রেলিয়ায় বাসিন্দা হলেও তিনি আসলে বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত। তিনি পুলিশে অভিযোগ জানিয়েছিলেন। সেই পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৮ সালে শাকিব ফের অস্ট্রেলিয়া এলে গ্রেপ্তার হন। কিন্তু লোকলজ্জার ভয়ে ওই তরুণী তখন চুপ করে যান। ফলে সেই যাত্রা ছাড়া পেয়ে গিয়েছেন নায়ক শাকিব খান।বাংলাদেশের শিল্পী সমিতির কাছে বিষয়টি জমা পড়েছে। তারা অভিযোগ খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেবে বলে জানিয়েছে। যার বিরুদ্ধে অভিযোগ সেই শাকিব খান অবশ্য চুপ।
No comments:
please do not enter any spam link in the comment box