Pradip sarkar-Kangana and Bengali food: ভাত, পটলের দোরমা ও ছোলার ডাল খাইয়েছিলেন প্রদীপদা, স্মৃতির ঝাঁপি খুললেন কঙ্গনা

৬৭ তে নিভে গিয়েছে প্রদীপ। হিন্দি সিনেমা জগতে শোকের আবহ কিছুতেই কাটছে না। দু’সপ্তাহ আগে পরিচালক-অভিনেতা সতীশ কৌশিকের মৃত্যুতে স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিল বলিউড। তারই মাঝে ফের ধাক্কা। পরিচালক প্রদীপ সরকারের জীবনাবসান। দীর্ঘদিনের কিডনির অসুখের কারণে চলে গেলেন তিনি। অজয় দেবগন থেকে বাংলার ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত, সবাই নিজের মতো করে সোশ্যাল সাইটে শোকজ্ঞাপন করেছেন। শোক বার্তায় প্রয়াত পরিচালককে শ্রদ্ধা জানানোর পাশাপাশি নিজেদের কাজের অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন। ঋতুপর্ণা কোন ছবিতে কাজ না করলেও প্রদীপ সরকারের সঙ্গে দুটি অ্যাড ফিল্ম শ্যুট করেছিলেন। অনেকদিন আগের সেই স্মৃতি ভাগ করে নিয়েছেন ভক্তদের সঙ্গে। তবে অভিনব উপায়ে শ্রদ্ধা জানালেন অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাওয়াত। তিনি ট্যুইটারে একটি ভিডিও শেয়ার করেছেন। যেখানে দেখা যাচ্ছে, একটি খাবার টেবিলে হরেক রকম বাঙালি খাবার সাজানো আছে। সেই খাবার টেবিল প্রদীপ সরকারের বাড়ির। সেখানেই একদিন বাঙালি খাবার খেয়েছিলেন অভিনেত্রী। শুধু তাই নয়, নিজের মুগ্ধতা ভিডিও করে রেখে দিয়েছিলেন।

হেলিকপ্টার ইলা’র পর একটি বাংলা ছবির প্রযোজক ছিলেন প্রদীপ সরকার। তখনই ঠিক করেন বাংলার কিংবদন্তী নাট্য ব্যক্তিত্ব বিনোদিনী দাসীকে নিয়ে ছবি করবেন। বাংলায় নয়, হিন্দিতে বিরাট ক্যানভাসে ছবিটি তৈরি করবেন। প্রধান চরিত্রের জন্য ভেবেছিলেন জাতীয় পুরস্কার জয়ী অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাওয়াতকে। পোস্ট প্রোডাকশনের কাজ শেষ হয়ে গিয়েছিল। প্রচুর ইতিহাস ঘেঁটে চিত্রনাট্য তৈরি করেন। আর সেই সংক্রান্ত একটি মিটিংয়ে নিজের বাড়িতে কঙ্গনাকে ডেকেছিলেন। কোন বাঙালির বাড়িতে দুপুরবেলা অতিথি এলে না খাইয়ে ছাড়ার রেওয়াজ নেই। এক্ষেত্রেও অন্যরকম হয়নি। কঙ্গনাকে পেটপুরে বাঙালি খাবার খাইয়েছিলেন প্রদীপ সরকার। মেনুতে ছিল ভাত, ছোলার ডাল, পটলের দোরমা, মাছের কালিয়া, খাসির মাংস, মিষ্টি। ফিগার নিয়ে চিন্তিত অভিনেত্রী এত কিছু না খেলেও ডাল ভাত আর পটলের দোরমা তৃপ্তি করে খেয়েছিলেন। নিজের হাতে পরিবেশন করেন প্রদীপ সরকার। খাবার টেবিলের ভিডিও তুলে রাখেন কঙ্গনা।

পরিচালকের মৃত্যুর খবর পেয়ে ট্যুইটারে সেই ভিডিও শেয়ার করেছেন কঙ্গনা রানাওয়াত। তিনি লিখেছেন, “প্রদীপ দা জানতেন আমি বাংলা খাবার খেতে খুব পচ্ছন্দ করি। নটি বিনোদিনী নিয়ে যখন আলোচনা চলছিল, এই ভিডিও তখন তোলা। নিজের হাতে আমাকে খাবার পরিবেশন করেন প্রদীপ দাদা। খুব তাড়াতাড়ি আমাদের দেখা হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু আজকের খবরে মন ভেঙে গিয়েছে। এই শোক কাটিয়ে ওঠা সম্ভব নয়”।

No comments:

please do not enter any spam link in the comment box

Powered by Blogger.