এখনও দিল্লি বহু দূর। সাউথের ‘কেজিএফ’ বা ‘কান্তারা’ যে ম্যাজিক করতে পারে, বাংলা তার ধারে কাছে নেই। অনেক আশা জাগিয়েছিল জিতের ‘চেঙ্গিস’। ইদের ছুটিতে রিলিজ। ভালো ব্যবসা করার সম্ভাবনা থাকলেও সারা ভারতে মাত্র ১০ লক্ষ টাকা আয় হল। সেই তুলনায় বাংলা থেকে ৩০ লক্ষ আয় হয়েছে। জিত এবং ছবির নায়িকা সুস্মিতা বন্দ্যোপাধ্যায় সারা ভারত জুড়ে অনেক প্রচার করেছিলেন। সেসব আসলে কোনও কাজে এল না। সবাই বলছে, সলমান খানের ‘কিসি কি ভাই, কিসি কি জান’-এর সঙ্গে কড়া লড়াইয়ে পিছিয়ে পড়েছে চেঙ্গিস। ছবির নায়ক জিতও এই প্রতিযোগিতা নিয়ে বলেছিলেন, সলমানের সঙ্গে প্রতিযোগিতা মানে আর্জেন্টিনা সঙ্গে সৌদি আরবের লড়াই। কিন্তু বক্স অফিস বলছে, সলমানের সিনেমাও খুব একটা আশাব্যঞ্জক অবস্থায় নেই। ইদের ছুটিতে ভালো রেজাল্ট করতে পারেনি। তাহলে ? কেন পিছিয়ে পড়ছে ‘ চেঙ্গিস’ ?
সিনেমা বিশেজ্ঞষরা বলছেন, আসল কথা হল কনটেন্ট। ভালো গল্প ছাড়া এখন বাণিজ্যিক ছবি হিট করানো মুশকিল। চেঙ্গিস -এর প্রযোজনা হাউস ছবির ব্যবসা নিয়ে মুখ খোলেনি। তবে, প্রথম দিনের ট্রেন্ড দেখে বোঝাই যাচ্ছে, আগামী দিনগুলি ভালো হবে না। ছবির প্রচারে খামতি রাখেননি জিত। চেঙ্গিস নিয়ে উন্মাদনার পারদ ভালোই ছিল। কিন্তু টিকিট কাউন্টারে তার কোন প্রভাব দেখা যাচ্ছে না। এক পরিবেশকের দাবি, জিতের ছবি নিয়ে যা আশা ছিল, টিকিট বিক্রিতে তা মোটেই দেখা যাচ্ছে না। এমনটা চললে তো খুব মুশকিল। টলি পাড়ায় ইতিমধ্যেই অন্য গুঞ্জন উঠতে শুরু করেছে।বক্স অফিসে সলমানের সঙ্গে লড়াই থাকলেও আসল ‘ইগোর’ লড়াই অন্য জায়গায়। গত পুজোয় দেবের ‘প্রজাপতি’ দারুণ ব্যবসা করেছে। পারিবারিক ছবি ‘প্রজাপতি’র বক্স অফিস কালেকশন ছিল ১০ কোটি টাকা। দেবের ছবির প্রথম সপ্তাহের আয় ছিল ২.৩০ কোটি। আবার জিতের ছবির তুলনায় দেবের ‘প্রজাপতি’-এর বাজেট ছিল অনেক কম। সব দিক থেকে মার খাচ্ছে ‘চেঙ্গিস’। দেব এবং জিতের অলিখিত লড়াই বহুদিন ধরেই চলছে। তাই জিতের ছবি ফ্লপ হলে দেবের শিবির উচ্ছিসিত হয়। একটা কথা সবাই ভুলে যায়। সিনেমা হিট হলে লাভবান হবে ধুঁকতে থাকা বাংলা সিনেমা ইন্ডাস্ট্রি।
No comments:
please do not enter any spam link in the comment box