Kancha badam star Bhuban badykar: সুখের দিন আর নেই, জমানো টাকা শেষ, খাবার জুটছে না কাঁচা বাদাম খ্যত ভুবন বাদ্যকরের
শেষ পর্যন্ত রানু মণ্ডলের মতো ভুবন বাদ্যকরের দশা। ভাইরাল ভিডিও থেকে রাতারাতি ধুমকেতুর মতো উত্থান। তারপর দ্রুত পতন। দু’বছর আগেও যাঁকে নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় মাতামাতি ছিল, এখন তার বিন্দুমাত্র নেই। ফেসবুকে একটি ভাইরাল ভিডিও থেকে বিখ্যাত হয়েছিলেন রানু মণ্ডল ও ভুবন বাদ্যকরের। সেখান থেকে টিভিতে বিভিন্ন শো করার ডাক। রানু মণ্ডল তো বলিউডের ছবিতে গান গাওয়ার সুযোগ পর্যন্ত পেয়েছিলেন। কিন্তু কেরিয়ার গোচ্ছাতে পারেননি রানাঘাটের রানু মণ্ডল। যে তিমিরে ছিলেন, আবার সেই তিমিরেই ফিরে এসেছেন। অন্যদিকে, লেখাপড়া না জানা বাদাম বিক্রেতা বীরভূমের কুড়ালজুড়ি গ্রামের ভুবন বাদ্যকর পাড়ায় পাড়ায় ঘুরে কাঁচা বাদাম বিক্রি করতেন। প্রশিক্ষিত গায়ক তিনি ছিলেন না। বাদাম বিক্রির জন্য নিজেই একটি গান লিখেছিলেন। কোন এক ব্যক্তি সেই গান মোবাইলে ভিডিও রেকর্ড করে ফেসবুকে দিয়েছিলেন। গানটি পচ্ছন্দ হয় নেট নাগরিকদের। রাতারাতি দেশে-বিদেশে ছড়িয়ে পড়ে। বিখ্যাত হয়ে যান ভুবন বাদ্যকর। বিভিন্ন ইউটিউবাররা গ্রামে গিয়ে তাঁর সঙ্গে ভিডিও বানাতে শুরু করেন। সেখান থেকে রোজগার শুরু হয়। তারপর একাধিক টিভি শো, রাজনৈতিক দলের হয়ে গান গাওয়া, মিউজিক অ্যালবাম ইত্যাদি কতকিছু। মাটির দু’কামরার বাড়ি ছেড়ে আলিসান পাকা বাড়ি বানান ভুবন বাবু। গাড়িও কিনেছিলেন। গান গেয়ে পেয়েছিলেন আইফোন। দুখের দিন কাটিয়ে সুখের দিন দেখেছিলেন। কিন্তু এমন কপালের পাক, শেষ পর্যন্ত সেই রাস্তায় নেমে আসতে হল ভুবন বাদ্যকরকে। কিন্তু কেন ?
READ MORE:বাংলায় বড় পর্দায় মহাভারত, কে কোন চরিত্রে , দেখে নিন
যে কাঁচা বাদাম গানের জন্য নামযশ, খ্যাতি, অর্থ সবকিছু পেয়েছিলেন। সেই গান এখন গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এমনই বিড়ম্বনা যে আর সেই গান চাইলেও উচ্চারণ করতে পারেন না। নিজের লেখা গান এখন অন্যের সম্পত্তি। গান গেয়ে যা উপার্জন করেছিলেন, তা শেষের মুখে। কী করবেন এখন তাও জানেন না। আর রাস্তায় নেমে বাদাম বিক্রি করতে পারছেন না। চাষবাস করবেন, সে উপায়ও নেই।
কীভাবে শেষ হল রূপকথার দিনগুলি ? লেখাপড়া জানেন না ভুবন বাদ্যকর। গোধূলিবেলা মিউজিক নামের এক কোম্পানির কাছে কোন কিছু না বুঝেই কাঁচা বাদাম গানের রাইট বিক্রি করে দিয়েছিলেন। ভুবন বাদ্যকরের কথায়, ওই মিউজিক কোম্পানির মালিক প্রতি মাসে ৪০ হাজার টাকা দেবেন বলে কথা দিয়েছিলেন। প্রথম মাসে ৩৯ হাজার দিয়েছিলেন। তারপর থেকে এক পয়সাও পাননি। এখন বুঝতে পারছেন ঠকানো হয়েছে তাঁকে। এখন কপিরাইটের ভয়ে কোথাও কাঁচা বাদাম গান গাইতে পারেন না। তাই শো করার ডাক আর তেমন পান না। ক’দিন আগে একটি শর্ট ফিল্মে অভিনয় করে কিছু টাকা পেয়েছিলেন। তারপর থেকে আর কোন আয় নেই। সখের বাড়ি ছেড়ে সিউড়িতে বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকছিলেন। কিন্তু হাতে আর টাকা নেই। রাস্তায় নামার উপক্রম হয়েছে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁকে নিয়ে মাতামাতি বন্ধ হয়ে গিয়েছে। শো করার আর ডাক পান না। এখন ভুবনবাবুর কাতর আর্তি, আমাকে বাঁচান। আমার পাশে দাঁড়ান। সাহায্যের জন্য হাত পাততে হচ্ছে তাঁকে। এইভাবে কতদিন চলবে তিনি জানেন না। কীভাবে পরিবারের ভরণ পোষণ করবেন তাও জানেন না ভুবন বাদ্যকর।
যে কাঁচা বাদাম গানের জন্য নামযশ, খ্যাতি, অর্থ সবকিছু পেয়েছিলেন। সেই গান এখন গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এমনই বিড়ম্বনা যে আর সেই গান চাইলেও উচ্চারণ করতে পারেন না। নিজের লেখা গান এখন অন্যের সম্পত্তি। গান গেয়ে যা উপার্জন করেছিলেন, তা শেষের মুখে। কী করবেন এখন তাও জানেন না। আর রাস্তায় নেমে বাদাম বিক্রি করতে পারছেন না। চাষবাস করবেন, সে উপায়ও নেই।
কীভাবে শেষ হল রূপকথার দিনগুলি ? লেখাপড়া জানেন না ভুবন বাদ্যকর। গোধূলিবেলা মিউজিক নামের এক কোম্পানির কাছে কোন কিছু না বুঝেই কাঁচা বাদাম গানের রাইট বিক্রি করে দিয়েছিলেন। ভুবন বাদ্যকরের কথায়, ওই মিউজিক কোম্পানির মালিক প্রতি মাসে ৪০ হাজার টাকা দেবেন বলে কথা দিয়েছিলেন। প্রথম মাসে ৩৯ হাজার দিয়েছিলেন। তারপর থেকে এক পয়সাও পাননি। এখন বুঝতে পারছেন ঠকানো হয়েছে তাঁকে। এখন কপিরাইটের ভয়ে কোথাও কাঁচা বাদাম গান গাইতে পারেন না। তাই শো করার ডাক আর তেমন পান না। ক’দিন আগে একটি শর্ট ফিল্মে অভিনয় করে কিছু টাকা পেয়েছিলেন। তারপর থেকে আর কোন আয় নেই। সখের বাড়ি ছেড়ে সিউড়িতে বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকছিলেন। কিন্তু হাতে আর টাকা নেই। রাস্তায় নামার উপক্রম হয়েছে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁকে নিয়ে মাতামাতি বন্ধ হয়ে গিয়েছে। শো করার আর ডাক পান না। এখন ভুবনবাবুর কাতর আর্তি, আমাকে বাঁচান। আমার পাশে দাঁড়ান। সাহায্যের জন্য হাত পাততে হচ্ছে তাঁকে। এইভাবে কতদিন চলবে তিনি জানেন না। কীভাবে পরিবারের ভরণ পোষণ করবেন তাও জানেন না ভুবন বাদ্যকর।
No comments:
please do not enter any spam link in the comment box