IAS officer Smita Sabharwal: বলিউড নায়িকারাও ফেল ! দেশের সবথেকে সুন্দরী বাঙালি আইএএস অফিসারকে দেখলে চোখ ফেরাতে পারবেন না

ঠিক যেন রূপে লক্ষ্মী আর গুণে সরস্বতী। সাধারণত আইএএস বা আইপিএস অফিসার (IAS officer) বলতে আমাদের চোখের সামনে হোমড়া চোমড়া চেহারা ভেসে ওঠে। আর সুন্দরী বলতে অবশ্যই সিনেমার অভিনেত্রী। কারণ সাধারণ মানুষ বিশ্বাস করে, বলিউড নায়িকা ছাড়া স্বপ্ন সুন্দরী কেউ হতে পারে না। হতে পারে। পরিচয় করাব দেশের এক দক্ষ আইএএস অফিসারের সঙ্গে। যাঁর সৌন্দর্যর কাছে নায়িকারাও ফেল। খুব সাধারণ তাঁর জীবন যাপন। এত সুন্দর দেখতে অথচ বলিউডে নাম না লিখিয়ে দেশের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত করেছেন। ভারতের এমনই এক আইএএস অফিসার স্মিতা সবরওয়াল (Smita Sabharwal )। বিয়ের আগে ছিলেন দাস। বিয়ে করছেন আইপিএস অফিসার অকুন সবরওয়ালকে। জানুন ভারতের সবথেকে সুন্দরী আইএএস অফিসার সম্পর্কে।

স্মিতার জন্ম পশ্চিমবঙ্গের দার্জিলিংয়ে। বাবা আর্মি অফিসার কর্নেল প্রণব দাস। মা গৃহবধূ পূরবী দাস। বাবার বদলি হয়ে যাওয়ায় সেকেন্দ্রাবাদের স্কুল থেকে পাশ করেন স্মিতা। তিনি আইসিএসসিতে সর্ব ভারতীয় টপার হয়েছিলেন। সেন্ট ফ্রান্সিস কলেজ ওব ওমেন থেকে স্নাতক হন। ২০০০ সালে ২২ বছর বয়সে ইউনিয়ন পাবলিক সার্ভিস কমিশন পরীক্ষায় বসেন। সারা ভারতের মধ্যে চতুর্থ হয়েছিলেন। মুসৌরির লাল বাহাদূর শাস্ত্রী ন্যাশনাল অ্যাকাডেমি অব অ্যডমিনিস্ট্রেসন থেকে ট্রেনিং নিয়ে কাজে যোগ দেন।

একজন দক্ষ অফিসার হিসেবে তাঁর প্রথম পোস্টিং ছিল চিত্তুরে সাব-কালেক্টর হিসেবে। ২০১১ সালে করিমনগরে জেলা শাসক পদে যোগ দিয়েছিলেন। তখন ওই এলাকায় স্বাস্থ্য পরিষেবার হাল ফিরিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। এই কাজের জন্য তাঁকে প্রধানমন্ত্রী দপ্তর থেকে পুরস্কৃত করা হয়। স্বাস্থ্য পরিষেবার রাস্তার স্বাস্থ্যের দিকেও তিনি নজর দিয়েছিলেন। ট্রাফিক ব্যবস্থার পরিবর্তন, পাবলিক টয়লেট, বাস স্ট্যান্ড বাড়ানোর মতো একাধিক কাজ করেছিলেন। ২০১৪ সালে জেলা শাসক হিসেবে স্পর্শকাতর এলাকায় নিজে দাঁড়িয়ে থেকে সুস্থভাবে ভোট পরিচালনা করেছিলেন। টেকনোলজির সাহায্য নিয়ে স্কুল ও গণস্বাস্থ্য ক্ষেত্রে প্রভূত উন্নতি ঘটানোয় স্মিতা সবরওয়ালকে (Smita Sabharwal ) ‘পাবলিক অফিসার’ বলা হয়। তাঁর সময়ে করিমনগর সেরার সেরা ছিল।

স্মিতা প্রথম মহিলা আইএএস অফিসার যাঁকে সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তরে নিয়োগ করা হয়েছে। বর্তমানে তিনি তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রীর সচিব হিসেবে কাজ করছেন। পাশাপাশি, অতিরিক্ত দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে গ্রামীণ জল সম্পদ ও সেচ প্রকল্পের সচিব পদের। স্মিতা তাঁর কাজের মধ্য দিয়ে সাধারণ মানুষের মনে জায়গা করে নিয়েছেন। তাই তিনি ‘জনগণের অফিসার’ হিসেবে বিখ্যাত হয়েছেন। গত ২০ বছর ধরে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। তেলেঙ্গানা রাজ্যের উন্নতির পিছনে তাঁর অবদান সবথেকে বেশি।

No comments:

please do not enter any spam link in the comment box

Powered by Blogger.