‘পুলিশ, এই পুলিশ’। খুব সাধারণ একটি সংলাপ। কিন্তু এক শিশু শিল্পী সেই সংলাপ এতো সারল্যের সঙ্গে বলেছিল যে, তা দর্শকের বুকে গেঁথে যায়। ‘শত্রু’ (Shatru) ছবির শিশুশিল্পী ছোট্টু। মাত্র সাত বছর বয়সে অভিনয়। তার পরও বেশ কিছু বাংলা সিনেমাতে দেখা গিয়েছিল। কিন্তু শিশুশিল্পী থেকে বড় হয়ে ওঠার পর কোথায় যেন হারিয়ে গেলেন ‘ছোট্টু’ ওরফে তাপু দে। এত ছোট বয়সে অসাধারণ অভিনয় করে দর্শকের চোখে জল এনে দিয়েছিলেন তিনি। রঞ্জিত মল্লিকের পাশাপাশি এক অনাথ শিশুর চরিত্রে তাপুর অভিনয় আজও সকলের মনে আছে। ‘শত্রু’ (Shatru) ছবির পর কেটে গিয়েছে তিন দশকের বেশি সময়। মাস্টার তাপু সিনেমা থেকে হারিয়ে গেলেও মানুষের মনে তিনি আজও আছেন। এখনও গুগলে তাঁর খবর জানার জন্য সার্চ করেন দর্শকরা। কিন্তু কোথায় হারিয়ে গেলেন তাপু ?
READ MORE: তুমি বেশ্যা ছিলে, আর থাকবে ! কাকে আক্রমণ করলেন সুশান্ত সিংয়ের দিদি
তাপুর বাবা নৃপেন দে সিনেমা জগতের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। বাবার হাত ধরেই সিনেমাতে প্রবেশ। পরিচালক অঞ্জন চৌধুরী তাঁর ‘হব ইতিহাস’ ছবির জন্য শিশু শিল্পী খুঁজছিলেন। প্রসঙ্গত, ‘হব ইতিহাস’ ছবিটির চিত্রনাট্য অঞ্জন চৌধুরীর লেখা হলেও পরিচালনা করার কথা ছিল শুভেন্দু চট্টোপাধ্যায়ের। জোতদার ভিলেনের চরিত্রে অভিনয় করার কথা ছিল উত্তম কুমারের। কিন্তু তাঁর মৃত্যুতে ছবির কাজ আটকে যায়। পরিচালনার দায়িত্ব নেন অঞ্জন চৌধুরী। ভিলেনের চরিত্রে মনোজ মিত্র। নায়ক রঞ্জিত মল্লিক। আর শিশুশিল্পীর একটি খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল। অনেক দেখেও মনের মতো কাউকে পাচ্ছিলেন না তিনি। একদিন স্টুডিওতে তাপুকে দেখেই পচ্ছন্দ হয়ে যায় পরিচালক অঞ্জন চৌধুরীর। সারল্যে ভরা তাপুর মুখ তাঁর ‘ছোট্টু’ জন্য একদম পারফেক্ট ছিল। শ্যুটিং হয়েছিল বীরভূমে। উত্তম কুমারের মৃত্যুর পর বাংলা সিনেমার কী হবে, তা নিয়ে অনেকেই সংশয় প্রকাশ করেছিলেন। শত্রু রিলিজের পর বাংলা ছবির মোড় ঘুরে যায়। আবার নতুন করে বাংলা সিনেমা দাঁড়ায়। সিনেমার পাশাপাশি মাস্টার তাপুর মুখের সংলাপও হিট হয়েছিল। বিরাট স্টার হয়ে ওঠেন তাপু। আর সেটাই কাল হল।
‘শত্রু’ ছবির হিন্দি রূপান্তরে সব শিল্পী বদলে গেলেও ছোট্টুর চরিত্রে কোন বদল করা হয়নি। মাস্টার তাপু হিন্দিতেও একই চরিত্র করেন। তবে বাংলার মতো ‘শত্রু’ হিন্দি অতটা দাগ কাটতে পারেনি। নায়ক ছিলেন রাজেশ খান্না। এরপর ‘একান্ত আপন’, ‘প্রতিকার’ ও ‘আশা-ভালোবাসা’ ছবিতেও শিশু শিল্পী হিসেবে কাজ করেছিলেন। সিনেমার প্রতি ভালোবাসা থেকেই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফিল্ম স্টাডিজ নিয়ে পড়াশোনা করেন। বড় হয়ে বাংলা সিনেমার হিরো হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু কাঙ্ক্ষিত সাফল্য তিনি পাননি। ছোট্টু হিসেবেই তিনি বাংলা সিনেমার ইতিহাসে রয়ে গেলেন। কেউ তাঁকে হিরো নেওয়ার কথা ভাবেনি। বাংলা সিনেমার ইতিহাসে খুব কম শিশুশিল্পী পরবর্তী কালে নিজেকে হিরো হিসেবে দাঁড় করাতে পেরেছেন। এইভাবেই সিনেমা জগত থেকে হারিয়ে গিয়েছেন সবার প্রিয় তাপু বা ছোট্টু।
তাপুর বাবা নৃপেন দে সিনেমা জগতের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। বাবার হাত ধরেই সিনেমাতে প্রবেশ। পরিচালক অঞ্জন চৌধুরী তাঁর ‘হব ইতিহাস’ ছবির জন্য শিশু শিল্পী খুঁজছিলেন। প্রসঙ্গত, ‘হব ইতিহাস’ ছবিটির চিত্রনাট্য অঞ্জন চৌধুরীর লেখা হলেও পরিচালনা করার কথা ছিল শুভেন্দু চট্টোপাধ্যায়ের। জোতদার ভিলেনের চরিত্রে অভিনয় করার কথা ছিল উত্তম কুমারের। কিন্তু তাঁর মৃত্যুতে ছবির কাজ আটকে যায়। পরিচালনার দায়িত্ব নেন অঞ্জন চৌধুরী। ভিলেনের চরিত্রে মনোজ মিত্র। নায়ক রঞ্জিত মল্লিক। আর শিশুশিল্পীর একটি খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল। অনেক দেখেও মনের মতো কাউকে পাচ্ছিলেন না তিনি। একদিন স্টুডিওতে তাপুকে দেখেই পচ্ছন্দ হয়ে যায় পরিচালক অঞ্জন চৌধুরীর। সারল্যে ভরা তাপুর মুখ তাঁর ‘ছোট্টু’ জন্য একদম পারফেক্ট ছিল। শ্যুটিং হয়েছিল বীরভূমে। উত্তম কুমারের মৃত্যুর পর বাংলা সিনেমার কী হবে, তা নিয়ে অনেকেই সংশয় প্রকাশ করেছিলেন। শত্রু রিলিজের পর বাংলা ছবির মোড় ঘুরে যায়। আবার নতুন করে বাংলা সিনেমা দাঁড়ায়। সিনেমার পাশাপাশি মাস্টার তাপুর মুখের সংলাপও হিট হয়েছিল। বিরাট স্টার হয়ে ওঠেন তাপু। আর সেটাই কাল হল।
‘শত্রু’ ছবির হিন্দি রূপান্তরে সব শিল্পী বদলে গেলেও ছোট্টুর চরিত্রে কোন বদল করা হয়নি। মাস্টার তাপু হিন্দিতেও একই চরিত্র করেন। তবে বাংলার মতো ‘শত্রু’ হিন্দি অতটা দাগ কাটতে পারেনি। নায়ক ছিলেন রাজেশ খান্না। এরপর ‘একান্ত আপন’, ‘প্রতিকার’ ও ‘আশা-ভালোবাসা’ ছবিতেও শিশু শিল্পী হিসেবে কাজ করেছিলেন। সিনেমার প্রতি ভালোবাসা থেকেই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফিল্ম স্টাডিজ নিয়ে পড়াশোনা করেন। বড় হয়ে বাংলা সিনেমার হিরো হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু কাঙ্ক্ষিত সাফল্য তিনি পাননি। ছোট্টু হিসেবেই তিনি বাংলা সিনেমার ইতিহাসে রয়ে গেলেন। কেউ তাঁকে হিরো নেওয়ার কথা ভাবেনি। বাংলা সিনেমার ইতিহাসে খুব কম শিশুশিল্পী পরবর্তী কালে নিজেকে হিরো হিসেবে দাঁড় করাতে পেরেছেন। এইভাবেই সিনেমা জগত থেকে হারিয়ে গিয়েছেন সবার প্রিয় তাপু বা ছোট্টু।
No comments:
please do not enter any spam link in the comment box