Rinku Singh earlier life: জানেন কীভাবে ঝাড়ুদার থেকে ক্রিকেটার হলেন ‘আইপিএল হিরো’ রিংকু সিং ?

শেষ ৬ বলে দরকার ছিল ৩১ রান। হার এক রকম নিশ্চিত। কারণ লাস্ট ওভারে ৩১ রান তোলা একপ্রকার অসম্ভব। মিরাকেল কিছু না ঘটলে যা কোনভাবেই হতে পারে না। হাল ছেড়ে দিয়েছিলেন কলকাতা নাইট রাইডাসের (Kolkata Knight Riders) সমর্থকরা। টিভি স্ক্রিনে বারবার ভেসে উঠছিল কোচ চন্দকান্ত পণ্ডিতের থমথমে মুখ। তবে এভাবেও ফিরে আসা যায় দেখিয়ে দিলেন নাইটের ক্রিকেটার রিংকু সিং (Rinku Singh)। শুধু গুজরাতের নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়াম নয়, সারা দেশ দেখল এক অখ্যাত ক্রিকেটারের ‘হিরো’ হয়ে ওঠা। শেষ পাঁচ বলে পরপর ছক্কা হাঁকিয়ে হেরে যাওয়া গেম ঘুরিয়ে দিলেন তিনি। গোটা স্টেডিয়াম মন্ত্র মুদ্ধের মতো তাঁর তাণ্ডব দেখল। শুধু তাই নয়, গুজরাত টিমের ক্রিকেটার যশ দয়ালের ক্রিকেট কেরিয়ার প্রশ্নের মুখে ফেলে দিলেন তিনি।

READ MORE: ঘাড় ধাক্কা দিয়ে তাড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল, কেন বলছেন জিত    


Unknown story about Rinku Singh

উত্তর প্রদেশের আলিগড়ে দু’কামরার ঘর থেকে জার্নি শুরু হয়ে ছিল। জন্ম ১৯৯৭ সালের ১২ অক্টোবর। ৫ ভাইবোনের মধ্যে তিনি তিন নম্বর। বাবা খানচন্দ্র সিং একটি এলপিজি সরবরাহকারী কোম্পানিতে কাজ করতেন। বিরাট সংসার। বাবার একার রোজগারে কুলিয়ে উঠত না। আলিগড় স্টেডিয়ামের কাছে কোম্পানির দেওয়া দু’কামরার ঘরে এতোগুলি মানুষ কোনও রকমে মাথা গুঁজে থাকতেন। বাড়ির আর্থিক অবস্থা খুবই খারাপ ছিল। বাবাকে সাহায্য করার জন্য ঝাড়ুদারের চাকরি নিয়েছিলেন রিংকু। কিন্তু মনের মধ্যে ক্রিকেটার হওয়ার বাসনা ছিল তীব্র। অভাবের সংসারের চাপে নিজের স্বপ্নকে জলাঞ্জলি দিয়ে দেননি। স্টেডিয়ামের কাছেই বাড়ি ছিল। অবসর পেলেই সেখানে প্র্যাকটিস করতেন বাঁহাতি ব্যাটসম্যান রিংকু সিং (Rinku Singh)

কিন্তু এভাবে হবে না। স্বপ্ন বাস্তবায়িত করতে গেলে ঝাড়ুদারের চাকরি ছাড়তেই হবে। শেষে কোন কিছু না ভেবে চাকরি ছেড়ে বাড়ি থেকে পালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। অবশ্য পালিয়ে যেতে হয়নি। বাবা-মা তখন পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। ছেলের ক্রিকেটার হওয়ার বাসনা পূর্ণ করতে আরও বেশি মেহনত করতে শুরু করেন বাবা। ভাই-বোনেরাও পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। ভালো খেলে উত্তর প্রদেশের আন্ডার-১৬ ডিস্ট্রিক লেভেল খেলার সুযোগ আসে। তারপর আন্ডার-১৯। মাত্র ১৬ বছর বয়সে উত্তর প্রদেশের হয়ে খেলতে নেমে ৮৩ রান করেছিলেন। এরপর সুযোগ আসে রঞ্জি ট্রফি খেলার। ২০১৬-১৭ সালের রঞ্জি ট্রফিতে ভালো খেলে ছিলেন তিনি। ১০টি ম্যাচে ৯৮৩ রানের রেকর্ড তৈরি করেছিলেন।

ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ অর্থাৎ আইপিএলে প্রথম খেলেন পাঞ্জাব টিমের হয়ে। পরে ২০১৮ সালে ৮০ লক্ষ টাকার বিনিময়ে কলকাতা নাইট রাইডার কিনেছিল। কিন্তু পায়ে চোট লাগায় খেলতে পারেননি। ২০২২ সাল থেকে ফের নাইটের হয়ে খেলতে শুরু করেন।

কেন সাসপেন্ড হয়েছিলেন ?

ক্রিকেটার জীবনের প্রথমেই বড় ধাক্কা খেয়েছিলেন রিংকু সিং (Rinku Singh)। তিন মাসের জন্য তাঁকে সাসপেন্ড করেছিল বিসিসিআই। কারণ অনুমতি না নিয়েই আবু ধাবিতে রমজান টি২০ টুর্নামেন্ট খেলতে গিয়েছিলেন রিংকু।

No comments:

please do not enter any spam link in the comment box

Powered by Blogger.