কথায় আছে, নিজের শিকড় বা অতীতকে ভুলে যেতে নেই। ভোলেননি বাংলা সিনেমার সুপারস্টার জিত (Jeet)। তবে একদিনেই তিনি সুপারস্টার হয়ে যাননি। পিছনে আছে অনেক লড়াই আর বিনিদ্র রজনী। কোন নামী অভিনেতার ছেলে ছিলেন না। তাই কেউ একবারে সুযোগ দেয়নি। অনেক স্ট্রাগল করতে হয়েছে। কী হবে এই ভাবনায় রাতের ঘুম উড়ে গিয়েছিল। মনের মধ্যে নিজেকে নিয়ে সংশয় দেখা দিতে লেগেছিল। আদৌ আমি পারব তো ? আমার দ্বারা হবে তো ? এই ভাবনা তাঁকে তাড়িয়ে নিয়ে বেড়াত। অভিনয় জগতে আজ থেকে নেই তিনি। অনেক আগে নবাব গেঞ্জির অ্যাড করতে দেখা জেত। তারপর সিরিয়ালে কাজের চেষ্টা করতে থাকেন। কিন্তু একদিন সেখান থেকেও ঘাড় ধাক্কা খেতে হয়েছিল। ঠিক কী হয়েছিল জিতের সঙ্গে ?
কিছুদিনের মধ্যেই হিন্দি ও বাংলা ভাষায় রিলিজ হবে ‘ চেঙ্গিস’। তার প্রচার তুঙ্গে নিয়ে গিয়েছেন তিনি। এমনিতে বাংলা সিনেমার বাজার ভীষণ মন্দা। বিশেষ করে বাণিজ্যিক ছবির হাল বেহাল। শেষ কোন ছবি সুপারহিট হয়েছে, ব্লা মুশকিল। জিতের নতুন ছবির হাত ধরে বাজার ফিরবে ? সেটাই এখন লাখ টাকার প্রশ্ন। তবে সুপারহিট তকমা তাঁর সঙ্গে প্রথম বাংলা সিনেমা থেকেই জুড়ে গিয়েছিল। ‘সাথী’। ১৯৯৯ সালের একটি তামিল ছবির রিমেক। বিরাট হিট করেছিল। বেশি হিট করেছিল ছবির গান। অনেকেই জানেন না, জিত (Jeet) তাঁর হিরো হিসেবে যাত্রা দক্ষিণের ছবি দিয়েই করেছিলেন।
একটি সাক্ষাৎকারে জিত (Jeet) জানিয়েছেন, ২০০১ সালে তেলেগু ছবি ‘চাঁদু’ মুক্তি পায়। সুপার ফ্লপ করে ‘চাঁদু’। এত খারাপ ভাবে ফ্লপ করেছিল যে আর তিনি তেলেগু ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ পাননি। ফিরে আসতে বাধ্য হন এই বাংলায়। যেখান থেকে তিনি যাত্রা শুরু করেছিলেন। একটি বাংলা সিরিয়ালে সুযোগ পেয়েছিলেন। কিন্তু খুব ভালো পারফর্ম করতে পারেননি বলে তাঁকে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে তাড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল।
ঘাড় ধাক্কা খাওয়ার পর নিজের প্রতি বিশ্বাস হারিয়ে ফেলেছিলেন জিত। কী হবে আমার ? আমি কি অভিনয়ের জন্য ফিট নই ? এই প্রশ্ন তাঁকে রাতের পর রাত ঘুমতো দেয়নি। ভেবেছিলেন সিনেমা জগত ছেড়ে অন্যকিছু করবেন। অবশ্য লেগে থাকলে যে কোন কাজে একদিন সাফল্য আসে। জিতের ক্ষেত্রে ঠিক তাই হয়েছিল। একদিন হরনাথ চক্রবর্তীর অফিস থেকে ডাক এল। দেখা করার পর ‘সাথী’ ছবির জন্য সিলেক্ট হলেন। ‘সাথী’ কীভাবে তাঁর ভাগ্য পাল্টে ফেলেছিল, সে ইতিহাস সবার জানা। ‘সাথী’ ছবির চিত্রনাট্য নিয়ে পরিচালক হরনাথ চক্রবর্তী আর প্রযোজক শ্রীকান্ত মেহতা গিয়েছিলেন প্রসেনজিতের কাছে। তিনি তাঁদের ফিরিয়ে দিয়ে বলেছিলেন, এই চরিত্র করার বয়স আর তাঁর নেই। নতুন কোন মুখ নেওয়া উচিত। পরিচালক প্রথমে ডেকে ছিলেন যিশু সেনগুপ্তকে। ততদিনে যিশু ‘মহাপ্রভু’ সিরিয়াল করে ঘরে ঘরে জনপ্রিয়। তাই নতুন ফেস হিসেবে তিনি বাদ পড়েন। সেদিন খুব কেঁদেছিলেন যিশু। কিন্তু একজনের সর্বনাশ, অন্যের পৌষ মাস নিয়ে আসে। ঠিক সেটাই ঘটেছিল জিতের ক্ষেত্রে।
কিছুদিনের মধ্যেই হিন্দি ও বাংলা ভাষায় রিলিজ হবে ‘ চেঙ্গিস’। তার প্রচার তুঙ্গে নিয়ে গিয়েছেন তিনি। এমনিতে বাংলা সিনেমার বাজার ভীষণ মন্দা। বিশেষ করে বাণিজ্যিক ছবির হাল বেহাল। শেষ কোন ছবি সুপারহিট হয়েছে, ব্লা মুশকিল। জিতের নতুন ছবির হাত ধরে বাজার ফিরবে ? সেটাই এখন লাখ টাকার প্রশ্ন। তবে সুপারহিট তকমা তাঁর সঙ্গে প্রথম বাংলা সিনেমা থেকেই জুড়ে গিয়েছিল। ‘সাথী’। ১৯৯৯ সালের একটি তামিল ছবির রিমেক। বিরাট হিট করেছিল। বেশি হিট করেছিল ছবির গান। অনেকেই জানেন না, জিত (Jeet) তাঁর হিরো হিসেবে যাত্রা দক্ষিণের ছবি দিয়েই করেছিলেন।
একটি সাক্ষাৎকারে জিত (Jeet) জানিয়েছেন, ২০০১ সালে তেলেগু ছবি ‘চাঁদু’ মুক্তি পায়। সুপার ফ্লপ করে ‘চাঁদু’। এত খারাপ ভাবে ফ্লপ করেছিল যে আর তিনি তেলেগু ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ পাননি। ফিরে আসতে বাধ্য হন এই বাংলায়। যেখান থেকে তিনি যাত্রা শুরু করেছিলেন। একটি বাংলা সিরিয়ালে সুযোগ পেয়েছিলেন। কিন্তু খুব ভালো পারফর্ম করতে পারেননি বলে তাঁকে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে তাড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল।
ঘাড় ধাক্কা খাওয়ার পর নিজের প্রতি বিশ্বাস হারিয়ে ফেলেছিলেন জিত। কী হবে আমার ? আমি কি অভিনয়ের জন্য ফিট নই ? এই প্রশ্ন তাঁকে রাতের পর রাত ঘুমতো দেয়নি। ভেবেছিলেন সিনেমা জগত ছেড়ে অন্যকিছু করবেন। অবশ্য লেগে থাকলে যে কোন কাজে একদিন সাফল্য আসে। জিতের ক্ষেত্রে ঠিক তাই হয়েছিল। একদিন হরনাথ চক্রবর্তীর অফিস থেকে ডাক এল। দেখা করার পর ‘সাথী’ ছবির জন্য সিলেক্ট হলেন। ‘সাথী’ কীভাবে তাঁর ভাগ্য পাল্টে ফেলেছিল, সে ইতিহাস সবার জানা। ‘সাথী’ ছবির চিত্রনাট্য নিয়ে পরিচালক হরনাথ চক্রবর্তী আর প্রযোজক শ্রীকান্ত মেহতা গিয়েছিলেন প্রসেনজিতের কাছে। তিনি তাঁদের ফিরিয়ে দিয়ে বলেছিলেন, এই চরিত্র করার বয়স আর তাঁর নেই। নতুন কোন মুখ নেওয়া উচিত। পরিচালক প্রথমে ডেকে ছিলেন যিশু সেনগুপ্তকে। ততদিনে যিশু ‘মহাপ্রভু’ সিরিয়াল করে ঘরে ঘরে জনপ্রিয়। তাই নতুন ফেস হিসেবে তিনি বাদ পড়েন। সেদিন খুব কেঁদেছিলেন যিশু। কিন্তু একজনের সর্বনাশ, অন্যের পৌষ মাস নিয়ে আসে। ঠিক সেটাই ঘটেছিল জিতের ক্ষেত্রে।
No comments:
please do not enter any spam link in the comment box