Shakuntalam shooting story: খরগোশের কামড় থেকে ফুলের অ্যালার্জিতে অসুস্থ হয়ে পড়েন ‘শকুন্তলা’ সামান্থা, শ্যুটিংয়ের অজানা গল্প
আর কিছু দিনের অপেক্ষা। মুক্তি পেতে চলেছে বহু প্রতিক্ষিত ‘শকুন্তলম’। কালিদাসের মহাকাব্য ‘অভিজ্ঞানম শকুন্তলম’ অবলম্বনে তৈরি হয়েছে ছবিটি। অভিনেত্রী সামান্থা নাম ভূমিকায়। সাউথের অভিনেতা দেব মোহনকে দেখা যাবে রাজা দুষ্মন্তের চরিত্রে। দেবরাজ ইন্দ্রের চরিত্রে বাংলার অভিনেতা যীশু দাশগুপ্ত। সাহিত্যের চরিত্রকে পর্দায় ফুটিয়ে তোলা খুব কঠিন কাজ। কারণ, সাহিত্য পড়ার সময় পাঠক নিজের মতো করে সব কিছু কল্পনা করেন। সেই কল্পনার সঙ্গে সিনেমার মিল না পেলে তখনই ধাক্কা লাগে। তাই সবকিছু নিখুঁত হওয়া চায়। শকুন্তলা যখন গল্প, তখন সেট-সেটিং থেকে কস্টিউম সবকিছু ঠিকঠাক হওয়া বাঞ্চনীয়। ভারি গয়না, পোশাক পরে শ্যুটিং করতে হয়েছে সামান্থাকে। একটি সাক্ষাৎকারে সেই শ্যুটিং কতটা কষ্টদায়ক ছিল সেই অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন অভিনেত্রী সামান্থা।
এতো পরিশ্রমের ফল ‘শকুন্তলম’-এর রিলিজ নিয়ে বেশ টালবাহানা চলছে। শ্যুটিং হয়ে ছিল কোভিড পিরিয়ডের আগে। কিন্তু মুক্তি আটকে যায়। চলতি বছরের শুরুতে মুক্তির কথা ছিল। কিন্তু শাহরুখ খানের ‘পাঠান’ ঝড়ের মুখে পরে রিলিজ পিছিয়ে দেওয়া হয়। বিরাট বাজেটের ‘শকুন্তলম’ নিয়ে কোন রকম ঝুঁকি নিতে নারাজ পরিচালক গুণশেখর। হলিউড থেকে ভিএফএক্সের ১০০ জনের একটি টিম এসে দিনরাত এক করে কাজ করেছেন। এখন দেখার দর্শকের কতটা ভালো লাগে।
খরগোশের কামড়
সাদা ধপধপে ছোট্ট প্রাণী খরগোশ। সামান্থার মতে, তাদের দেখতে যতই মিষ্টি লাগুক, আসলে তারা মোটেই সে রকম নয়। শকুন্তলা শব্দের অর্থ হল শকু অর্থাৎ পশুপক্ষীদের দ্বারা যে লালিত পালিত। তাই শ্যুটিংয়ে সত্যি পাখি ও খরগোশ আনা হয়েছিল। ছোট থেকেই তাদের স্নঙ্গে খেলা করতেন শকুন্তলা। একটি দৃশ্যে খরগোশ নিয়ে খেলা করতে গিয়ে বিপদ ঘটে। শ্যুটিংয়ের ধকলে বিরক্ত একটি খরগোশ কোন কিছু না পেয়ে সামান্থার হাতে কামড় বসিয়ে দেয়। রক্তাক্ত হয়ে যায় হাত। বন্ধ হয়ে যায় শ্যুটিং। পরে অবশ্য লক্ষ্মী ছেলের মতো শট দিয়েছিল সেই খরগোশ।ফুলে অ্যালার্জি
বন জঙ্গলে বড় হওয়া শকুন্তলা ফুলের গয়না বানিয়ে পড়তেন। দৃশ্যগুলি বাস্তব সম্মত করতে প্ল্যাস্টিকের বদলে সত্যি ফুলের গয়না পড়ানো হয়েছিল সামান্থাকে। বেশ কয়েকদিন ধরে ফুলের গয়না পরার ফলে সামান্থার গায়ে অ্যালার্জি বেড়িয়ে যায়। গোল গোল চাকা চাকা দাগ ফুটে ওঠে। ফুলের দাগও বসে গিয়েছিল। মেক আপ দিয়ে দাগ ঢেকে শট দিতেন সামান্থা। ছ’মাস পর্যন্ত দাগগুলি ছিল। কিছুতেই তোলা যেত না। অবশ্য ধীরে ধীরে দাগ মিলিয়ে যায়। আর অ্যালার্জির জন্য রীতিমতো অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি।৩০ কেজির লেহেঙ্গা
কস্টিউম ডিজাইনার নীতা লুল্লা শকুন্তলার জন্য নানা ধরণের পোশাক বানিয়েছিলেন। গানের দৃশ্যগুলিতে ভারী ভারী গয়না আর পোশাক পড়তে হয়েছিল সামান্থাকে। একটি গানে যে পোশাক পড়ানো হয়েছিল, তার ওজন ছিল ৩০ কেজি। সেই লেহেঙ্গা পড়েই নেচে ছিলেন তিনি। এত ভারী পোশাক পড়ে নাচতে কতটা কষ্ট হয়েছিল , তা ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না। জানিয়েছেন সামান্থা।এতো পরিশ্রমের ফল ‘শকুন্তলম’-এর রিলিজ নিয়ে বেশ টালবাহানা চলছে। শ্যুটিং হয়ে ছিল কোভিড পিরিয়ডের আগে। কিন্তু মুক্তি আটকে যায়। চলতি বছরের শুরুতে মুক্তির কথা ছিল। কিন্তু শাহরুখ খানের ‘পাঠান’ ঝড়ের মুখে পরে রিলিজ পিছিয়ে দেওয়া হয়। বিরাট বাজেটের ‘শকুন্তলম’ নিয়ে কোন রকম ঝুঁকি নিতে নারাজ পরিচালক গুণশেখর। হলিউড থেকে ভিএফএক্সের ১০০ জনের একটি টিম এসে দিনরাত এক করে কাজ করেছেন। এখন দেখার দর্শকের কতটা ভালো লাগে।
No comments:
please do not enter any spam link in the comment box