সুচিত্রা বা সুপ্রিয়া যখন বাংলা সিনেমা কাঁপাচ্ছেন তখন এক আট পৌড়ে মেয়ে এসে প্রথম সারীতে জায়গা করে নিলেন। তিনি সন্ধ্যা রায় (Sandhya Roy)। আজ ১১ এপ্রিল তাঁর জন্মদিনে ফিরে দেখব সন্ধ্যা রায়ের জীবনের কিছু অজানা অধ্যায়। ১৯৬০ থেকে ১৯৮৫ সাল পর্যন্ত টানা বাংলা সিনেমার নায়িকা ছিলেন। যে চরিত্র করেছেন, দর্শক দেখে বলেছে, এটা সন্ধ্যা রায় ছাড়া কাউকে মানত না। এতটাই প্রাণ ঢেলে দিতে পারতেন। খুব সাধারণ পরিবার থেকে উঠে আসা সন্ধ্যা রায়ের মধ্যে এত প্রতিভা ছিল, তা প্রথম আবিষ্কার করেন পরিচালক পশুপতিনাথ চট্টোপাধ্যায়। একজন জুনিয়র আর্টিস্ট হিসেবে অভিনয় জীবন শুরু করেছিলেন। ভিড়ের মাঝে দাঁড়িয়ে থাকার কাজ। কিন্তু সেই ভিড়ের মধ্যে দাঁড়িয়ে থাকা তরুণী সন্ধ্যাকে চিনে নিয়েছিলেন পরিচালক রাজেন তরফদার। প্রথম ছবি ‘অন্তরীক্ষ’ (১৯৫৭)। তারপর শুধুই এগিয়ে চলা। চার দশকের বেশি সময় ধরে বাংলা ছবির দাপুটে অভিনেত্রী সন্ধ্যা রায় (Sandhya Roy)। ঘরোয়া লুক ও সেই মতো পোষাক ছিল তাঁর ইউএসপি। কোনদিন কোন ছবিতে ওয়েস্টার্ন লুকে সন্ধ্যা রায়কে দেখা যায়নি। আটপৌড়ে শাড়ি পরেই অভিনয় করতেন। কখনো দর্শকদের চোখের জলে ভাসাতেন। কখনো বা হাসাতেন। এইভাবে কেটে গিয়েছে জীবনের অনেকগুলি বছর। আজ ৮১ বছর বয়সে নিঃসঙ্গ একা সন্ধ্যা রায়। অভিনয় জীবনে এতো সাফল্য পেলেও ব্যক্তিগত জীবন কোনদিন সুন্দর ছিল না।
আরও পড়ুনঃ ঘাড় ধাক্কা দিয়ে তাড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল, কেন বলছেন জিত
১৯৪১ সালের ১১ এপ্রিল ব্রিটিশ শাসিত বাংলার নবদ্বীপে জন্ম গ্রহণ করেছিলেন। ছোট থেকেই দুর্ভাগা তিনি। কিছু দিনের মধ্যেই তাঁর পরিবার বাংলাদেশের যশোরে চলে যান। সন্ধ্যা রায়ের যখন ৭ বছর বয়স তখন বাবাকে হারান। তার দু’বছরের মধ্যেই মা চলে যান। চরম অর্থ কষ্টের জেরে বাধ্য হয়ে কলকাতার পাইকপাড়ার বস্তিতে মামার বাড়িতে এসে ওঠেন। ফলে লেখাপড়া তেমন করতে পারেননি। দিন আনা দিন খাই পরিবারে পড়াশোনার চিন্তা করা তখন বিলাসিতা। তবে ভাগ্যের লিখন অন্য কিছু ছিল। বস্তির পাশে সিনেমার শ্যুটিং হচ্ছে শুনে পাড়ার মেয়েদের সঙ্গে দেখতে গিয়েছিলেন। ভিড়ের মাঝে মায়ায় ভরা মুখখানি নজরে পড়ে পরিচালকের। তিনি সন্ধ্যাকে ডেকে ভীড়ের মাঝে একটি দৃশ্যে অভিনয় করতে বলেন। ছবির নাম ছিল ‘মামলার ফলে’। ভিড়ের মাঝে সন্ধ্যাকে আবিষ্কার করেন পরিচালক রাজেন তরফদার। জুনিয়র আর্টিস্ট থেকে সোজা সিনেমার নায়িকা।
জীবনের ঝড় ঝাপ্টা তাঁকে অভিনয় শিখিয়েছিল। প্রথাগত কোন ট্রেনিং ছিল না। ‘অন্তরীক্ষ’ ছবির সেই কিশোরী সন্ধ্যা ধীরে ধীরে হয়ে ওঠেন বাংলা সিনেমার প্রথম সারির নায়িকা। সুচিত্রা সেনের যুগে নিজের জায়গা করে নিতে পেরেছিলেন। বাংলা, হিন্দি মিলিয়ে কয়েকশো ছবিতে অভিনয় করেছেন। বাঘিনী, পলাতক, ফুলেশ্বরী, গঙ্গা, সূর্যতপা, ঠগিনী, শ্রীমান পৃথ্বীরাজ, নিমন্ত্রণ, অশনি সংকেত, গণদেবতা, বাবা তারকনাথ, দাদার কীর্তি, দোলন চাঁপা, ছোটবউ ইত্যাদি সুপারহিট ছবিতে তিনি ছিলেন নায়িকা। আবার হিন্দিতে আসলি নকলি, পূজা কি ফুল, রাহগীর ছিল উল্লেখযোগ্য। কাজ করেছেন সত্যজিৎ রায়, তপন সিনহা, অঞ্জন চৌধুরী থেকে তরুণ মজুমদারের (Tarun Majumdar) সঙ্গে।
ভালোবেসে ১৯৬৭ সালে তরুণ মজুমদারকে বিয়ে করেন সন্ধ্যা রায় (Sandhya Roy)। কিন্তু বিবাহিত জীবন সুখের হয়নি। বেশ কয়েক বছর ঠিকঠাক কাটার পর আশির দশকে ওড়িয়া অভিনেত্রী মহাশ্বেতা রায়ের সঙ্গে তরুণ মজুমদারের ঘনিষ্ঠতার গুঞ্জন ছড়ায়। সেটা মেনে নিতে পারেননি সন্ধ্যা রায়। আলাদা হয়ে যান। তবে বিয়ে ভাঙেনি। স্বামী হিসেবে চিরদিন তরুণ মজুমদারের নামে মাথায় সিঁদুর পরেছেন। গত বছর তরুণ মজুমদারের মৃত্যুর পর কান্নায় ভেঙে পড়েছিলেন।
বর্তমানে ৮১ বছর বয়সে নিঃসঙ্গ একা হয়ে পড়েছেন সন্ধ্যা রায় (Sandhya Roy)। একাই থাকেন। মাঝে কিছুদিন রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হয়েছিলেন। কিন্তু সেখান থেকে বিদায়ও খুব একটা সম্মানের হয়নি। এককালে বড় পর্দার পাশাপাশি যাত্রা, থিয়েটারে দাপটের সঙ্গে কাজ করেছেন। এখন বহু বছর সিনেমা থেকে দূরে। অনেক দূরে সন্ধ্যা রায় (Sandhya Roy)।
১৯৪১ সালের ১১ এপ্রিল ব্রিটিশ শাসিত বাংলার নবদ্বীপে জন্ম গ্রহণ করেছিলেন। ছোট থেকেই দুর্ভাগা তিনি। কিছু দিনের মধ্যেই তাঁর পরিবার বাংলাদেশের যশোরে চলে যান। সন্ধ্যা রায়ের যখন ৭ বছর বয়স তখন বাবাকে হারান। তার দু’বছরের মধ্যেই মা চলে যান। চরম অর্থ কষ্টের জেরে বাধ্য হয়ে কলকাতার পাইকপাড়ার বস্তিতে মামার বাড়িতে এসে ওঠেন। ফলে লেখাপড়া তেমন করতে পারেননি। দিন আনা দিন খাই পরিবারে পড়াশোনার চিন্তা করা তখন বিলাসিতা। তবে ভাগ্যের লিখন অন্য কিছু ছিল। বস্তির পাশে সিনেমার শ্যুটিং হচ্ছে শুনে পাড়ার মেয়েদের সঙ্গে দেখতে গিয়েছিলেন। ভিড়ের মাঝে মায়ায় ভরা মুখখানি নজরে পড়ে পরিচালকের। তিনি সন্ধ্যাকে ডেকে ভীড়ের মাঝে একটি দৃশ্যে অভিনয় করতে বলেন। ছবির নাম ছিল ‘মামলার ফলে’। ভিড়ের মাঝে সন্ধ্যাকে আবিষ্কার করেন পরিচালক রাজেন তরফদার। জুনিয়র আর্টিস্ট থেকে সোজা সিনেমার নায়িকা।
জীবনের ঝড় ঝাপ্টা তাঁকে অভিনয় শিখিয়েছিল। প্রথাগত কোন ট্রেনিং ছিল না। ‘অন্তরীক্ষ’ ছবির সেই কিশোরী সন্ধ্যা ধীরে ধীরে হয়ে ওঠেন বাংলা সিনেমার প্রথম সারির নায়িকা। সুচিত্রা সেনের যুগে নিজের জায়গা করে নিতে পেরেছিলেন। বাংলা, হিন্দি মিলিয়ে কয়েকশো ছবিতে অভিনয় করেছেন। বাঘিনী, পলাতক, ফুলেশ্বরী, গঙ্গা, সূর্যতপা, ঠগিনী, শ্রীমান পৃথ্বীরাজ, নিমন্ত্রণ, অশনি সংকেত, গণদেবতা, বাবা তারকনাথ, দাদার কীর্তি, দোলন চাঁপা, ছোটবউ ইত্যাদি সুপারহিট ছবিতে তিনি ছিলেন নায়িকা। আবার হিন্দিতে আসলি নকলি, পূজা কি ফুল, রাহগীর ছিল উল্লেখযোগ্য। কাজ করেছেন সত্যজিৎ রায়, তপন সিনহা, অঞ্জন চৌধুরী থেকে তরুণ মজুমদারের (Tarun Majumdar) সঙ্গে।
ভালোবেসে ১৯৬৭ সালে তরুণ মজুমদারকে বিয়ে করেন সন্ধ্যা রায় (Sandhya Roy)। কিন্তু বিবাহিত জীবন সুখের হয়নি। বেশ কয়েক বছর ঠিকঠাক কাটার পর আশির দশকে ওড়িয়া অভিনেত্রী মহাশ্বেতা রায়ের সঙ্গে তরুণ মজুমদারের ঘনিষ্ঠতার গুঞ্জন ছড়ায়। সেটা মেনে নিতে পারেননি সন্ধ্যা রায়। আলাদা হয়ে যান। তবে বিয়ে ভাঙেনি। স্বামী হিসেবে চিরদিন তরুণ মজুমদারের নামে মাথায় সিঁদুর পরেছেন। গত বছর তরুণ মজুমদারের মৃত্যুর পর কান্নায় ভেঙে পড়েছিলেন।
বর্তমানে ৮১ বছর বয়সে নিঃসঙ্গ একা হয়ে পড়েছেন সন্ধ্যা রায় (Sandhya Roy)। একাই থাকেন। মাঝে কিছুদিন রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হয়েছিলেন। কিন্তু সেখান থেকে বিদায়ও খুব একটা সম্মানের হয়নি। এককালে বড় পর্দার পাশাপাশি যাত্রা, থিয়েটারে দাপটের সঙ্গে কাজ করেছেন। এখন বহু বছর সিনেমা থেকে দূরে। অনেক দূরে সন্ধ্যা রায় (Sandhya Roy)।
No comments:
please do not enter any spam link in the comment box