সুর কেটে গিয়েছিল ২০২১ সালেই। এবার পুরোপুরি ছন্দপতন। অভিনেতা ইন্দ্রনীল সেনগুপ্তের কাছে বিবাহবিচ্ছেদ চাইলেন তাঁর অভিনেত্রী স্ত্রী বরখা বিস্ত। অবসান হতে চলেছে দীর্ঘ ১৫ বছরের বিবাহিত জীবনের। মেয়ের বয়স ১১। মেয়ে মায়ের কাছেই থাকে। এটা যে হতে চলেছে, তার আন্দাজ কয়েকদিন আগেই করেছিল ইন্ডাস্ট্রি। কারণ, সোশ্যাল সাইটে বরখা আনফোলো করেন ইন্দ্রনীলকে। তখনই বোঝা গিয়েছিল, কিছু একটা হতে চলেছে। এখন আর রটনা রইল না, বরং ঘটনা ঘটে গেল। চিরতরে পৃথক হচ্ছেন ইন্দ্রনীল ও বরখা। একসঙ্গে যাত্রা শুরু করেছিলেন ২০০৬ সাল থেকে। স্টার প্লাস চ্যানেলে ‘প্যায়ার কে দো নাম- এক রাধা, এক শ্যাম’ ধারাবাহিক দিয়ে। রাজশ্রী প্রোডাকশনের এই সিরিয়াল থেকেই অভিনয় জীবন শুরু হয় দু’জনের। এরপর একসঙ্গে অভিনয় করেন সাহারা ওয়ান চ্যানেলের ধারাবাহিক ‘ ডোলি সাজা কে’ তে। এই সিরিয়াল শেষ হওয়ার আগেই ২০০৮-এ বরখার বাড়িতে সত্যি ‘ ডোলি’ নিয়ে পৌঁছে যান ইন্দ্রনীল। সুখী দাম্পত্য জীবন ছিল। কিন্তু অবিশ্বাসের বিষবৃক্ষ একবার রোপিত হলে আর সেই সংসার টেকে না।
কেন ভাঙল বিয়ে ?
টালিগঞ্জ স্টুডিও পাড়ায় অনেক দিন ধরেই গুঞ্জন রটেছিল, বাংলা সিনেমার এক নায়িকার সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছেন ইন্দ্রনীল। কোন মহিলা তাঁর স্বামীর প্রতারণা মেনে নিতে পারেন না। বরখাও পারেননি। স্বামীর বিশ্বাসভঙ্গের পর ২০২১ সালে তিনি পৃথক থাকার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেন। ইন্দ্রনীল স্ত্রীর থেকে আলাদা হয়ে বাবা-মায়ের ফ্ল্যাটে ওঠেন। অন্যদিকে, বরখা মুম্বাইয়ে মেয়েকে নিয়ে থাকছেন। দুই বছর এইভাবেই কাটল। এখন ডিভোর্সের চিঠি ইন্দ্রনীলকে পাঠিয়েছেন বরখা। সাক্ষাৎকারে বরখা জানিয়েছিলেন, ইন্দ্রনীলের সঙ্গে বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নেওয়া তাঁর জীবনের কঠিন কাজ ছিল। শেষ পর্যন্ত সেটাই করতে হল।
No comments:
please do not enter any spam link in the comment box