Shakuntala Barua reaction on Ashish Vidyarthi marriage: জামাইষষ্ঠীর দিন জামাইয়ের দ্বিতীয় বিয়ে, প্রাক্তন শাশুড়ি শকুন্তলা বড়ুয়া কী বলছেন ?

Shakuntala Barua reaction: ছেলের মতো জামাই ছিলেন আশিস বিদ্যার্থী। দীর্ঘ ২২ বছরের সম্পর্কের ইতি আগেই ঘটে গিয়েছিল। ২৫ মে, জামাইষষ্ঠীর দিন ফের বিয়ে করেছেন পর্দার খলনায়ক আশিস বিদ্যার্থী। এই নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় নানা ধরণের মতামত শোনা গিয়েছে। শুক্রবার সকালে ইঙ্গিত পূর্ণ পোস্ট করেছেন প্রাক্তন স্ত্রী রাজশী বড়ুয়া। আর প্রাক্তন শাশুড়ি মা শকুন্তলা বড়ুয়া এখন কী বলছেন ? তিনিও কী প্রাক্তন জামাইকে দুষছেন ? আসলে প্রত্যেক মায়ের মতো তিনিও মেয়েকে নিয়ে চিন্তা করছেন। তবে তাঁর মুখে কোন কটুকথা শোনা যায়নি। বরং উল্টে আশিস বিদ্যার্থীকে আশীর্বাদ করেছেন তিনি। কী বলেছেন বর্ষীয়ান অভিনেত্রী শকুন্তলা বড়ুয়া ?

সন্তান সমস্যায় থাকলে কোনও মা ভালো থাকে না। মেয়ে ২২ বছরের দাম্পত্য ভাঙার আগে তাঁকে একবারও জানাননি। শকুন্তলা বড়ুয়া জানান, “এত বছর ওদের মধ্যে বড় কোন অশান্তি হতে দেখিনি। ঠিক কী হল এখন বলতে পারব না। আর পাঁচজনের মতোই আমিও আমার মেয়েকে নিয়ে খুব চিন্তা করছি। তবে মন থেকে জানি, ওরা ভালো আছে। আমার আর কী চাওয়ার থাকতে পারে ? আশিসও ভালো ছেলে। আমি তাঁকে আশীর্বাদ করছি। ওঁদের ছেলে এখন বড় হয়ে গিয়েছে। পড়াশোনা শেষ করে চাকরি করছে। কিছু দিন আগে দেখা করে গিয়েছে। বিয়ে ভাঙার আগে আমার সঙ্গে কোনও আলোচনা করেননি। দুজনের অনেক বয়স হয়েছে। তাই এক্ষেত্রে আমার কিছু বলার নেই”।

আর কী বলছেন রাজশী বড়ুয়া। প্রাক্তন স্বামী ফের বিয়ে করায় তিনি খুব দুঃখ পেয়েছেন। সোশ্যাল সাইটে নিজের মনের কথা উজাড় করে দিয়েছেন। কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে ইন্সটাগ্রামে পরপর পোস্ট লেখেন রাজশী। সেখানে জীবনের প্রতি তাঁর বর্তমান উপলব্ধি তুলে ধরেছেন। এই বয়সে এসে স্বামীর বিচ্ছেদ তিনি মানতে পারছেন না। প্রাক্তন স্বামীর বিয়ের খবরে তিনি যে কষ্টে আছেন, তার বুঝিয়ে রাজশী লিখেছেন, “তোমার কাছের মানুষ, কোনদিন জিজ্ঞাসা করবে না তোমার কাছে তার মূল্য কতটা বা কোনদিন এমন কোন কাজ করবে না, যাতে তুমি কষ্ট পাও”। তিনি আরও লিখেছেন, “যাবতীয় ভাবনা ও সন্দেহ দূরে সরে গিয়েছে। ধন্দ কেটে গিয়ে সব কিছু স্পষ্ট হয়ে উঠছে। জীবনে শান্তি আর স্থিতি আসুক। তুমি নিজে যথেষ্ট শক্তিশালী। ঈশ্বরের আশীর্বাদ নিয়ে আবার নতুন করে সব শুরু করতে হবে”। শেষে আরও সংযোজন, ‘জীবন নামের গোলক ধাঁধায় তুমি হারিয়ে যেও না’। রাজশীর লেখার মধ্যে কখনো কষ্ট, কোথাও আক্ষেপ দেখা গিয়েছে। আবার জীবন দর্শনের কথাও শোনা গিয়েছে।

No comments:

please do not enter any spam link in the comment box

Powered by Blogger.