Amitabh Bachchan Sooryavasam child artist: ‘সূর্যবংশম’-এ অমিতাভের নাতি আজ তেলেগু সুপারস্টার, চেনেন তাঁকে ?

বেশ কিছু ফ্লপ ছবির পর অমিতাভ বচ্চন প্রোডাকশনের হিট ছবি ‘সূর্যবংশম’। দ্বৈত চরিত্রে অভিনয় করে রীতিমতো তাক লাগিয়েছিলেন বিগ বি। তবে ছেলের ভূমিকায় অমিতাভকে অনেকটাই বুড়ো লেগেছিল। এই নিয়ে এখন অনেক মিম তৈরি হয়। তবে সিনেমা যে আজও দর্শকের মনে গেঁথে আছে, তা বলাই যায়। ১৯৯৯ সালে রিলিজ হয় ‘সূর্যবংশম’। ১৯৯৭ সালের তামিল ছবি ‘সূর্যবংশনম’-এর রিমেক ছিল এই সিনেমা। ৭ কোটি টাকার বাজেটে তৈরি ‘সূর্যবংশম’ আয় করেছিল ১৩ কোটি। তাই মাঝারি মানের হিট ছবি বলা হয়। ডবল চরিত্রে ছিলেন অমিতাভ বচ্চন, সঙ্গে ছিলেন অনুপম খের, রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়, কাদের খান, দক্ষিণের অভিনেত্রী সৌন্দর্য। আর এই ছবিতে অমিতাভের নাতি ভানুপ্রতাপের ভূমিকায় ছিলেন শিশুশিল্পী আনন্দ বর্ধন। এখন তিনি তেলুগু ছবির সুপারস্টার।

১২ বছরের সেই ছোট ছেলে ভানুপ্রতাপ এখন ৩০ বছরের তরতাজা যুবক। সূর্যবংশম-এর পরও বেশ কিছু সিনেমায় শিশুশিল্পী হিসেবে কাজ করেছিলেন আনন্দ বর্ধন। তারপর গত ১২ বছরে তাঁকে আর বলিউডের ধারে কাছে দেখা যায়নি। এখন সম্পূর্ণ বদলে গিয়েছে তাঁর চেহারা। নিজেকে পূর্ণ তৈরি করার পর ফের অভিনয়ে ফিরে আসেন। তখন তাঁকে আর কেউ চিনতে পারেনি।

দাদু ছিলেন বিখ্যাত গায়ক পি ভি শ্রীনিবাস। দাদু চাইতেন নাতি অভিনেতা হোন। ছোট থেকেই রামায়ণের গল্প শুনতে খুব ভালোবাসতেন আনন্দ বর্ধন। মাত্র চার বছর বয়সে তেলেগু ভাষায় নির্মিত ছোটদের ‘রামায়ণ’ সিনেমাতে বাল্মিকী ও হনুমানের ভূমিকায় অভিনয় করেন। আর একটু বড় হয়ে ১৯৯৭ সালে রিলিজ তেলেগু ছবি ‘পিয়ারাগালু’তে তাঁর অভিনয় খুব প্রশংসিত হয়। সেই বছর নান্দী পুরস্কার পেয়েছিলেন। তারপর তেলেগুতেই ‘সূর্যবংশনম’। সেখান থেকেই অমিতাভের সঙ্গে অভিনয়ের সুযোগ পেয়ে যান। পড়াশোনার জন্য মাঝে অভিনয়কে বিদায় জানান। ২০১২ সালে হায়দ্রাবাদ থেকে কম্পিউটার ও ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে বিটেক ডিগ্রি অর্জন করেন। তারপর থেকে তেলেগু ছবিতে চুটিয়ে কাজ করছেন। আপাতত বলিউড নিয়ে তাঁর কোন আগ্রহ নেই। দক্ষিণে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে চান আনন্দ বর্ধন ।

No comments:

please do not enter any spam link in the comment box

Powered by Blogger.