সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ব্যায়াম করার ছবি দিয়েছিলেন শুধু। আর সেই ছবি নিয়ে শালীনতার সীমা ছাড়িয়ে গেলেন ট্রোলাররা। এতো হেনস্তার মুখে পড়তে হবে, কোনও দিন ভাবেননি ঊষসী চক্রবর্তী। শুধু হেনস্তা বললে ভুল হবে, রীতিমতো মৌখিক যৌন হয়রানি করা হয়েছে তাঁকে। যত ধরনের কুৎসিত কথা বলা সম্ভব, সব বলা হয়েছে অভিনেত্রীকে। ঊষসীর যোগ ব্যায়ামের পোজ দেখে অনেকে কামোদ্দীপক হয়ে অশ্লীল মন্তব্য করেছেন। এই নিয়ে চুপ থাকেননি তিনি। পালটা কড়া জবাব দিয়েছেন প্রয়াত বাম নেতার মেয়ে। বাবা শ্যামল চক্রবর্তীর মৃত্যুর পর থেকে একাই থাকেন ঊষসী। বাবার মতো সক্রিয় রাজনীতিতে তিনি যাননি। একাই থাকেন। এক বছর আগে শেষ হওয়া ‘শ্রীময়ী’ ধারাবাহিকে খলনায়িকা ‘জুন আন্টি’র ভূমিকায় অভিনয় করে প্রচুর জনপ্রিয়তা পেয়েছিলেন। যেহেতু বিনোদন মাধ্যমের সঙ্গে যুক্ত, তাই নিজেকে সবসময় ফিট রাখতে হয়। শরীর ছিমছাম রাখতে যোগ ব্যায়াম করেন নিয়মিত। সেই রকম যোগ ব্যায়ামের একটি ছবি ফেসবুকে পোস্ট করে ছিলেন ঊষসী চক্রবর্তী। আর তারপর শুরু হয় অশ্লীল মন্তব্যের বন্যা। যার জবাব কড়া ভাষায় দিয়েছেন অভিনেত্রী।
বুধবার সকালে নিজের ফেসবুক পেজে যোগাসনের ছবিটি ফের পোস্ট করেন ঊষসী। একই সঙ্গে লিখেছেন, “আমার করণপিড যোগ ব্যায়ামের ছবি অনেক মানসিক ও শারীরিক পুরুষকে কামোদ্দীপক করেছে। হয়তো ওই ব্যক্তিদের প্রচুর যৌন খিদে। অথবা এমন পরিবেশে বড় হয়েছেন, যেখানে মহিলাদের হেনস্তা করাটা স্বাভাবিক ব্যাপার। তাই মহিলাদের প্রতি নূন্যতম সম্মান প্রদর্শন বা ভদ্রতা অভাব স্পষ্ট। এদের জীবনে মহিলাদের প্রতি আমার করুণা হয়”।
এখানেই থামেননি ঊষসী। তিনি আরও লেখেন, “আমার ফ্লেক্সিবেল বডি দেখে যাঁদের কামনা জাগছে, তাঁদের সঙ্গে আমার শত্রুতা নেই। কিন্তু সেটা যারা জাহির করছে, তাদের সুস্থ মানসিকতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। পাবলিক ফোরামে কী লেখা উচিত, নূন্যতম সেই জ্ঞান থাকা প্রয়োজন। আমার দুঃখ হয়, এরা নিজেদের আনফিট শরীর ও অসুস্থ মানসিকতা দিয়ে কামনা পূরণ করতে পারবে না”। সবশেষে নিজের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন ঊষসী। তিনি লিখেছেন, “যাঁরা জানতে চান, তাঁদের জানিয়ে রাখি, এটা খুব কঠিন ব্যায়াম। এর মাধ্যমে মেরুদণ্ডের স্টিফনেস, মানসিক অবসাদ ও হজমের সমস্যার মতো একাধিক রোগ দূর হয়। অনুগামীদের জন্য আমি এই ধরণের ছবি আরও দেব। নোংরা মানসিকতার লোকজন উচ্ছন্নে যাক”।
No comments:
please do not enter any spam link in the comment box