আজ থেকে ৪২ বছর আগে না ফেরার দেশে পাড়ি দিয়েছেন বাঙালির মহানায়ক উত্তম কুমার
(Uttam Kumar) । মাত্র ৫৬ বছর বয়সে তাঁর অকাল প্রয়াণ আজও ভক্তরা মেনে নিতে পারেন না। ‘ওগো বধূ সুন্দরী’ ছবির শ্যুটিংয়ের সময় হার্ট অ্যাটাক হয়। পরদিন অর্থাৎ ২৮ জুলাই সবাইকে কাঁদিয়ে চলে যান উত্তম কুমার। তাঁর অকাল প্রয়াণের জন্য কেউ দায়ী না থাকলেও একজনের দিকে পরোক্ষভাবে আঙুল তুলেছিলেন সুপ্রিয়া দেবী
(Supriya devi) । ওগো বধূ সুন্দরী’র শ্যুটিংয়ের আগে থেকেই কমবেশি অসুস্থ ছিলেন। শরীর খারাপ নিয়েই সেটে যেতেন। ওই ছবিতে উত্তম কুমারের সঙ্গে অভিনয় করেন মৌসুমী চট্টোপাধ্যায়, সুমিত্রা মুখোপাধ্যায়, রঞ্জিত মল্লিক ও সন্তোষ দত্ত। সুপ্রিয়া দেবী অভিযোগ করেছিলেন, এই ছবির শ্যুটিংয়ের সময় উত্তম কুমারকে অপমান করা হয়। যা তিনি মানতে পারেননি। আর এই অপমান আর কেউ নয়, করেছিলেন মৌসুমী চট্টোপাধ্যায়
(Mousumi Chatterjee)।
সুপ্রিয়া দেবীর দাবি
সুপ্রিয়া দেবী
(Supriya devi) দাবি করেছিলেন, মৌসুমী
(Mousumi Chatterjee) তখন বম্বের নামকরা নায়িকা। প্রচণ্ড ব্যস্ত। তার উপর হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের বউমা। ভীষণ দাম্ভিক। শ্যুটিং-এ একদিন উত্তম কুমারের মেক আপ রুমে কিছু সমস্যা দেখা যায়। তখন তাঁকে অন্য মেকআপ রুমে যাওয়ার অনুরোধ করেন ইউনিটের লোকজন। এন টি ওয়ান স্টুডিওতে শ্যুটিং চলছিল। উত্তম কুমার যখন অন্য রুমে ঢুকতে যাবেন, তখন একজন বাধা দেয়। ওই ব্যক্তি বলে, দাদা একজন বড় নায়িকা মেকআপ করছেন। এখন ঢোকা যাবে না। নায়িকার বারণ আছে। সেই নায়িকা মৌসুমী চট্টোপাধ্যায়
(Mousumi Chatterjee)। এই কথা শুনে কিছুটা থমকে যান উত্তম কুমার
(Uttam Kumar) । নিজের স্টুডিও পাড়ার মেকআপ রুমে তাঁর আজ ঢোকার অনুমতি নেই ? এত বড় স্পর্ধা। শেষ জীবনে আপনাদের দাদার এই অপমান প্রাপ্তি ছিল? প্রশ্ন সুপ্রিয়া দেবীর। এই আঘাত তিনি মানতে পারেননি। ভিতর থেকে ভেঙে পড়েছিলেন। এর কয়েকদিনের মধ্যেই তাঁর মৃত্যু হয়। উত্তম কুমারের মৃত্যুর পর একটি সাক্ষাৎকারে এই প্রশ্ন তুলেছিলেন সুপ্রিয়া দেবী।
মৌসুমীর বক্তব্য
সুপ্রিয়া দেবীর এই অভিযোগ শুনে কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছিলেন মৌসুমী চট্টোপাধ্যায়
(Mousumi Chatterjee)। তিনি বলেন, “আমার কাছে উত্তম কুমার
(Uttam Kumar) শুধু একজন নায়ক নন। আমাদের উত্তম কাকু। আমার শ্বশুর মশাইয়ের প্রাণের বন্ধু। কত ভালোবাসতেন। ইন্দু বলে কাছে ডেকে আদর করতেন। তাঁকে আমি মেকআপ রুম থেকে তাড়িয়ে দেব ? আমার এত সাহস কোনদিন হয়নি। আমার কাছে সেদিন এই খবর আসেনি যে উত্তম কুমার আমার রুমে মেকআপ করতে আসছেন”। তবে এখানেই থেমে যাননি ‘বালিকা বধূ’। তিনি সুপ্রিয়া দেবীকে ঠুকে বলেছেন, “একজন মহিলা উত্তম কুমারকে আপনাদের দাদা বলে চালাতেন। নিজের সম্পত্তি ভাবতেন। আমার নামে কুৎসা তিনি রটিয়েছিলেন”।
No comments:
please do not enter any spam link in the comment box