Mousumi Chatterjee talked about her daughter: মরা মেয়ের শেষ দেখাটাও দেখতে পাইনি, মেয়ে পায়েলের মৃত্যুর ৪ বছর পর মুখ খুললেন মৌসুমী
জীবনে তিনি না চাইতেই অনেক কিছু পেয়েছেন। আবার হারিয়েছেন তার থেকে অনেক বেশি। সবসময় হাসিখুশি থাকা মৌসুমী চট্টোপাধ্যায়ের (Mousumi Chatterjee) জীবনের সবথেকে বড় শোক বড় মেয়ে পায়েলের মৃত্যু। আপনজন, আত্মীয়-অনাত্মীয় মিলিয়ে জীবনে অনেক মৃত্যু তিনি দেখেছেন। কিন্তু নিজের সন্তানের চলে যাওয়া যে কোনও শোকের চেয়ে বড়। তারপর থেকে নিজেকে একপ্রকার গুটিয়ে নিয়েছিলেন। কোথাও যেতেন না। বাইরের কারও সঙ্গে মিট করতেন না। হাসতে ভুলে গিয়েছিলেন একপ্রকার। শেষ অভিনয় করেছেন অমিতাভ বচ্চন ও দীপিকা পাড়ুকোনের সঙ্গে ‘পিকু’ ছবিতে। তারপর থেকে আর দেখা যায়নি বড় পর্দায়। শোকের প্রাথমিক ধাক্কা কাটিয়ে উঠতে প্রায় চার বছর লেগে গেল। এখন ধীরে ধীরে বাইরে বের হচ্ছেন। সদ্য একটি সংবাদমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন। সেই কথোপকথনে জীবনের নানা দিক উন্মোচিত করেছেন বালিকা বধূ। জানিয়েছেন, বড় মেয়ের মৃত্যু তাঁকে কতটা ধাক্কা দিয়েছিল।
১৯৬৭ সালে রাস্তা থেকে ডেকে এনে ‘বালিকা বধূ’ (Balika badhu) ছবিতে সুযোগ দিয়েছিলেন পরিচালক তরুণ মজুমদার। এর জন্য নিজেকে ভাগ্যবতী বলেন মৌসুমী চট্টোপাধ্যায় (Mousumi Chatterjee) । এমন চান্স ক’জন পান ? শুধু তাই নয়, খুব অল্প বয়সে বিয়ে হয়ে যায় হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের ছেলে জয়ন্তর সঙ্গে। তিনি প্রকৃত অর্থে ‘বালিকা বধূ’। বিয়ের এক বছরের মধ্যে মা হয়েছেন। তারপর শ্বশুর মশাইয়ের আগ্রহে হিন্দি সিনেমায় অভিনয়। প্রথম মেয়ের সঙ্গে বন্ডিং অন্য রকম ছিল, জানিয়েছেন মৌসুমী। তখন তিনিও ছোট। মেয়ের সঙ্গে মিলে পুতুল খেলতেন। বড় মেয়ে এক অর্থে বন্ধু হয়ে উঠেছিলেন। সেই মেয়ে একদিন চলে গেলেন।
২০১৯ সালে মাত্র ৪৫ বছর বয়সে মারা যান মৌসুমীর কন্যা পায়েল। খুব ছোট থেকেই ডায়বেটিসের রোগী ছিলেন তিনি। মৃত্যুর দু’বছর আগেই তিনি খুব অসুস্থ হয়ে পড়েন। কোমায় চলে যান। তখন শ্বশুর বাড়ি এসে একরকম ঝগড়াঝাঁটি করেই পায়েলকে নিয়ে গিয়েছিলেন স্বামী বস্ত্র ব্যবসায়ী ডিকি সিনহা। তারপর থেকেই খুব অসুস্থ হয়ে পড়েন। অনেক চেষ্টা করেও পায়েলকে বাঁচানো যায়নি। ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে না ফেরার দেশে পাড়ি দিয়েছেন পায়েল। স্ত্রীর মৃত্যুর পর শাশুড়ি মৌসুমীর দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছিলেন ডিকি সিনহা। তাঁর অভিযোগ ছিল, মেয়ের যত্ন করেননি মৌসুমী। মৃত্যুর পর মেয়েকে একবার দেখতে পর্যন্ত আসেননি তিনি। বাবা জয়ন্ত ও বোন মেঘা অবশ্য গিয়েছিলেন। এরপর জামাইয়ের রাগ আরও বেড়ে যায়।
মেয়ের শ্বশুরবাড়ির সঙ্গে কোনদিন সম্পর্ক ভালো ছিল না অভিনেত্রীর। মেয়ের দেখভালের দাবি নিয়ে তিনি আদালত পর্যন্ত গিয়েছিলেন। সাক্ষাৎকারে মৌসুমী পাল্টা দাবি করেন, “মেয়ের মরা মুখটা তাঁর শ্বশুর বাড়ি একবার দেখতে দেয়নি। এই মৃত্যু মানতে পারি না। তবে এখন আমি অনেক ঠিক আছি। ভালো আছি। কত বাবা-মায়ের কোল রোজ খালি হয়ে যাচ্ছে, এই ভেবে নিজেকে শান্ত করি। নিজেকে শক্ত রেখেছি”।
১৯৬৭ সালে রাস্তা থেকে ডেকে এনে ‘বালিকা বধূ’ (Balika badhu) ছবিতে সুযোগ দিয়েছিলেন পরিচালক তরুণ মজুমদার। এর জন্য নিজেকে ভাগ্যবতী বলেন মৌসুমী চট্টোপাধ্যায় (Mousumi Chatterjee) । এমন চান্স ক’জন পান ? শুধু তাই নয়, খুব অল্প বয়সে বিয়ে হয়ে যায় হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের ছেলে জয়ন্তর সঙ্গে। তিনি প্রকৃত অর্থে ‘বালিকা বধূ’। বিয়ের এক বছরের মধ্যে মা হয়েছেন। তারপর শ্বশুর মশাইয়ের আগ্রহে হিন্দি সিনেমায় অভিনয়। প্রথম মেয়ের সঙ্গে বন্ডিং অন্য রকম ছিল, জানিয়েছেন মৌসুমী। তখন তিনিও ছোট। মেয়ের সঙ্গে মিলে পুতুল খেলতেন। বড় মেয়ে এক অর্থে বন্ধু হয়ে উঠেছিলেন। সেই মেয়ে একদিন চলে গেলেন।
২০১৯ সালে মাত্র ৪৫ বছর বয়সে মারা যান মৌসুমীর কন্যা পায়েল। খুব ছোট থেকেই ডায়বেটিসের রোগী ছিলেন তিনি। মৃত্যুর দু’বছর আগেই তিনি খুব অসুস্থ হয়ে পড়েন। কোমায় চলে যান। তখন শ্বশুর বাড়ি এসে একরকম ঝগড়াঝাঁটি করেই পায়েলকে নিয়ে গিয়েছিলেন স্বামী বস্ত্র ব্যবসায়ী ডিকি সিনহা। তারপর থেকেই খুব অসুস্থ হয়ে পড়েন। অনেক চেষ্টা করেও পায়েলকে বাঁচানো যায়নি। ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে না ফেরার দেশে পাড়ি দিয়েছেন পায়েল। স্ত্রীর মৃত্যুর পর শাশুড়ি মৌসুমীর দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছিলেন ডিকি সিনহা। তাঁর অভিযোগ ছিল, মেয়ের যত্ন করেননি মৌসুমী। মৃত্যুর পর মেয়েকে একবার দেখতে পর্যন্ত আসেননি তিনি। বাবা জয়ন্ত ও বোন মেঘা অবশ্য গিয়েছিলেন। এরপর জামাইয়ের রাগ আরও বেড়ে যায়।
মেয়ের শ্বশুরবাড়ির সঙ্গে কোনদিন সম্পর্ক ভালো ছিল না অভিনেত্রীর। মেয়ের দেখভালের দাবি নিয়ে তিনি আদালত পর্যন্ত গিয়েছিলেন। সাক্ষাৎকারে মৌসুমী পাল্টা দাবি করেন, “মেয়ের মরা মুখটা তাঁর শ্বশুর বাড়ি একবার দেখতে দেয়নি। এই মৃত্যু মানতে পারি না। তবে এখন আমি অনেক ঠিক আছি। ভালো আছি। কত বাবা-মায়ের কোল রোজ খালি হয়ে যাচ্ছে, এই ভেবে নিজেকে শান্ত করি। নিজেকে শক্ত রেখেছি”।
No comments:
please do not enter any spam link in the comment box