Rituparna Sengupta and Prosenjit Chatterjee hit jodi: প্রেমে দ্বন্দ্ব, নাকি ইগোর লড়াই, কেন ভেঙেছিল প্রসেনজিৎ - ঋতুপর্ণার জুটি ?

১৯৯৪ সালে ‘নাগপঞ্চমী’ ছবি থেকে জুটি বাঁধেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় (Prosenjit Chatterjee) ও ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত (Rituparna Sengupta)। তারপর পুরো ৯০ দশক জুড়ে একসঙ্গে কত ছবি করেছেন, তার হিসেব দিতে গেলে পাতা ভরে যাবে। ‘নাগপঞ্চমী’ থেকে ‘শ্বশুরবাড়ি জিন্দাবাদ’। অসংখ্য হিট। কিন্তু সেই জুটি ভেঙে গেল ঋতুপর্ণ ঘোষের ‘উৎসব’ করার পর। কে ভালো অভিনয় করেছেন, এই নিয়ে শুরু হয় ইগোর লড়াই। শোনা যায়, এর নেপথ্যে ছিলেন পরিচালক ঋতুপর্ণ ঘোষ। প্রসেনজিৎ তখন অর্পিতা পাল ও রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে জুটি বাঁধতে লাগলেন। কিন্তু সেই ম্যাজিক আর ফিরল না। অন্যদিকে, ঋতুপর্ণা (rituparna sengupta movies) নারী কেন্দ্রিক সিনেমায় অভিনয় করতে শুরু করলেন। একমাত্র তরুণ মজুমদারের ‘আলো’ ছাড়া আর কোন ছবি বক্স অফিসে তেমন সাড়া ফেলতে পারল না। প্রসেনজিৎ ও ঋতুপর্ণার জুটির চাহিদা ছিল আকাশ ছোঁয়া। আজও এত বছর পরে এই জুটি নিয়ে বাংলা ছবির দর্শক কথা বলেন।

এত ছবিতে অভিনয়, দুজনের মধ্যে মাখো মাখো প্রেম, অসাধারণ কেমেস্ট্রি দেখে সবাই ধরেই নিয়েছিল একে অপরের প্রতি অনুরক্ত। সেটা কতটা সত্যি আর কতটা মিথ, তা নিয়ে জল্পনা আছে। তবে এই জুটি যে ভবিষ্যতে ভেঙে যাবে, তা কেউ কল্পনা করতে পারেনি। শেষ পর্যন্ত সেটাই সত্যি হল। প্রসেনজিৎ অন্য নায়িকার সঙ্গে জুটি বাঁধলেন। আর ঋতুপর্ণার নতুন করে লড়াই শুরু হল। নায়িকা বাদ দিয়ে শুধুমাত্র অভিনেত্রী হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার সংগ্রাম।

কিছু দিন আগে একটি সাক্ষাৎকারে ঋতুপর্ণা বলেন, “অনেক পরিশ্রমের ফল ছিল ওই জুটি। প্রচুর মানুষের ভালোবাসা, আশীর্বাদ ছিল। হাজার হাজার দর্শক টেনেছে এই জুটি। নিজের চোখে দেখেছি, মানুষ কীভাবে আমাদের ছুঁতে চাইছে। একবার চোখের দেখা দেখতে ছুটে আসছেন। কেউ আনন্দে কাঁদছেন। এটা একদিনে উপার্জন করা যায় না। অনেক মেহনত লাগে”। তবে জুটি ভেঙে যাওয়ার পর কী অবস্থা হয়েছিল, তাও বলেছেন ঋতুপর্ণা। তিনি জানান, জুটি ভাঙার পর তাঁকে অনেক পরিশ্রম করতে হয়েছে নতুন করে। তবে তিনি অন্ধকারে তলিয়ে যাননি। হতাশার অন্ধকারে ডুবে যাননি। তিনি জানতেন, আবার নতুন করে তাঁকে দাঁড়াতে হবে। সেই কাজে সাফল্য পেয়েছিলেন। ‘আলো’, ‘পারমিতার একদিন’-এর মতো ছবিতে কাজ করার সুযোগ পেয়েছেন।

জুটি ভেঙে যাওয়ার পর অনেক চর্চা, আলোচনা হয়েছে। অনেক পরিচালক চেষ্টা করেছিলেন তাঁদের ফের একসঙ্গে করার। কিন্তু সাফল্য পাননি। এমনকি ‘ চোখের বালি’ ছবিতে প্রথমে বিনোদিনীর চরিত্রে ঋতুপর্ণাকে অফার করা হয়েছিল। যেহেতু প্রসেনজিৎ ছবিতে মহেন্দ্রের চরিত্রটি করছিলেন তাই ‘না’ বলে দিয়েছিলেন তিনি। অনেক বছর পরে পরিচালক জুটি শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় ও নন্দিতা রায় ফের সেই জুটিকে একসঙ্গে আনতে পেরেছিলেন ‘প্রাক্তন’ ছবিতে।

No comments:

please do not enter any spam link in the comment box

Powered by Blogger.