দেবশ্রী রায়কে কেন divorce দিয়েছিলেন প্রসেনজিৎ, এতদিনে মুখ খুললেন অভিনেতা

প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়। দীর্ঘ ৪০ বছর ধরে বাংলা সিনেমার একছত্র অধিপতি। যদিও মুখে এখন তিনি বলছেন, ‘আর বাংলা ইন্ডাস্ট্রি নিয়ে ভাবি না’। এখন তিনি সিনিয়র সিটিজেন। বাংলা ছাড়িয়ে মুম্বাইয়ে নিয়মিত কাজ করছেন। এতদিন ধরে আধিপত্য বজায় রাখা সহজ কথা নয়। হিটের সংখ্যাও হাতে গুণে শেষ করা যাবে না। কর্মজীবনে তিনি যতই সফল হোন, ব্যক্তিগত জীবনে বারবার ছিন্নভিন্ন হয়েছেন। তিনবার বিয়ে করেছেন। তার মধ্যে প্রথম বিয়ে ভেঙে যাওয়া তাঁর কাছে আজও বেদনার। প্রথম বিয়ে করেছিলেন অভিনেত্রী দেবশ্রী রায়কে। কিন্তু মাত্র তিন বছরের মধ্যে সেই বিয়ে ভেঙে যায়। divorce হয়ে যায়। কেন ? কী ছিল নেপথ্য কারণ ? একটি সাক্ষাৎকারে সেই নিয়ে মুখ খুলেছেন Tollywood-এর বুম্বা দা।

Divorce-এর প্রকৃত কারণ ?

সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে জীবনের নানা দিক নিয়ে মুখ খুলেছেন প্রসেনজিৎ। একাধিক অভিনেতা তাঁর বিরুদ্ধে রাজনীতি করার অভিযোগ করেছেন। প্রয়াত অভিষেক চট্টোপাধ্যায় সরাসরি তাঁর দিকে আঙুল তুলেছিলেন। তিনি দাবি করেছিলেন, প্রসেনজিতের জন্য তাঁর সিনেমা কেরিয়ার শেষ হয়ে গিয়েছে। একই দাবি করেছিলেন অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্র। তবে বুম্বা দা সব অভিযোগ অস্বীকার করে বাংলা সিনেমা জগতে অভিনেতা হিসেবে এগিয়ে রেখেছেন প্রয়াত তাপস পালকে। তিনি এখনও মনে করেন, আজ থেকে বহু বছর পরেও অভিনেতা তাপস পালকে লোকে মনে রাখবে। তিনি দারুণ অভিনেতা ছিলেন। তাঁর প্রকৃত বন্ধু ছিলেন।

সিনেমার পাশাপাশি ব্যক্তিগত জীবনের গোপন অধ্যায়ও সেই ইন্টারভিউয়ে খুলেছেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়। সিনেমা করতে গিয়ে একাধিক নারীর সঙ্গে প্রেম হয়েছে। সেই প্রেম আবার অচিরে ভেঙেও গিয়েছে। তবে তাঁকে সবথেকে বেশি নাড়া দেয় প্রথম প্রেম। দেবশ্রী রায় ছিলেন তাঁর ছোটবেলার বন্ধু। একসঙ্গে বড় হয়েছেন। সিনেমার নায়ক-নায়িকা হতে গিয়ে প্রেম শুরু হয়। তারপর দ্রুত বিয়ে করে ফেলেন। মাত্র তিন বছর টিকে ছিল সেই বিয়ে। প্রসেনজিৎ জানান, বিয়ে ভাঙার পর আমি দেড় বছর বাড়ি থেকে বের হয়নি। কোনও কাজ করিনি। ফ্ল্যাটের দরজা বন্ধ রেখেছিলাম। আসলে তখন খুব অপরিণত ছিলাম। যদি আর পাঁচ বছর পরে বিয়ে করতাম, তাহলে বিষয়টা হয়তো অন্যরকম হত। তখন আর হয়ত ওই রকম করতাম না।

বিয়ে না টেকার কারণ হিসেবে অভিনেতা মনে করেন, অপরিণত বয়সে ইগোর লড়াই। বিস্তারিত তিনি না বললেও ইন্ডাস্ট্রিতে আজও কান পাতলে শোনা যায়, ১৯ শে এপ্রিল ছবির জন্য সেরা অভিনেত্রীর জাতীয় পুরস্কার পান দেবশ্রী। এটাই ছিল ইগোর কারণ। প্রয়াত পরিচালক ঋতুপর্ণ ঘোষ যাতে আরও ইন্ধন দিয়েছিলেন বলে শোনা যায়। দেবশ্রীর পর অপর্ণা গুহ ঠাকুরতাকে বিয়ে করেন। আবার একই ঘটনা ঘটে। অবশ্য তখন কারণ ছিল জীবনে অর্পিতা পালের আগমন। পরে অর্পিতা পালকে বিয়ে করেন। এখন বুম্বাদার সুখের সংসার। কোথাও দেবশ্রী রায়ের সঙ্গে দেখা হলে কথা বলবেন ? উত্তরে প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় জানান, কেন নয় ? অনেক বছর কেটে গিয়েছে।

No comments:

please do not enter any spam link in the comment box

Powered by Blogger.