বাংলা সিনেমার ( Bangla cinema) অন্যতম দাপুটে অভিনেতা চিরঞ্জিত চক্রবর্তী (Chiranjit Chakraborty)। দীর্ঘ চার দশকের কেরিয়ারে ২০০ বেশি ছবিতে অভিনয় করেছেন। মুনমুন সেন, দেবশ্রী, শতাব্দী থেকে ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। একাধিক নায়িকার সঙ্গে পর্দায় রোমান্স করেছেন। অনেকে তাঁকে ‘যাত্রা মার্কা’ অভিনেতা বললেও দীর্ঘ কেরিয়ারে যেমন ‘বেদের মেয়ে জ্যোৎস্না’ (beder meye josna chiranjit) আছে, তেমনি চতুষ্কোণ, অবৈধ বা বাড়িওয়ালি-র মতো ছবিও আছে। বাণিজ্যিক ছবির হিরো হিসেবে তিনি অন্যতম সফল অভিনেতা। আবার পরিচালক হিসেবে যে কটি সিনেমা করেছেন, তার সবগুলি সুপারহিট, সংসার সংগ্রাম , কেঁচো খুড়তে কেউটে বা বসতির মেয়ে রাধা। সব বক্স অফিসে দারুণ আয় করেছিল। চিরঞ্জিতের মতে, তিনি পাবলিকের পালস বোঝেন। সাধারণ গ্রামগঞ্জের দর্শক কী দেখতে পচ্ছন্দ করেন, তা তিনি ভালোই বোঝেন।
প্রকৃত নাম দীপক চক্রবর্তী। সিনেমা জগতে আসার পর নাম পাল্টে চিরঞ্জিত রাখেন। তিনি বিশ্বাস করেন, তাঁর মধ্যে দু’রকম সত্তা বাস করে। চিরঞ্জিত বেদের মেয়ে জ্যোৎস্না করেন। আর দীপক চক্রবর্তী ছবি আঁকেন, কবিতা লেখেন, আবার সিনেমা পরিচালনা করেন। জন্ম ১৯৫৫ সালের ২ নভেম্বর কলকাতায়। ১৯৮১ সালে ‘সোনায় সোহাগা’ ছবিতে ডেবিউ করেন চিরঞ্জিত। তার আগে দেশ পত্রিকায় কাজ করতেন। আর মাঝে মাঝে দূরদর্শনে সংবাদ পাঠ করতেন। সত্যজিৎ রায়ের ‘সুকুমার সেন’ তথ্যচিত্রে লক্ষ্মণের ভূমিকায় প্রথম অভিনয়। তবে অঞ্জন চৌধুরীর ‘শত্রু’ ছবি থেকে তিনি পরিচিতি পান।
একক নায়ক হিসেবে প্রথম হিট সিনেমা ১৯৮৫ সালের ‘অন্তরালে’। নায়িকা ছিলেন মুনমুন সেন। ছবি সুপারহিট। গান তার থেকে বেশি হিট। তারপর প্রতিকার, পাপি, পাপ পূণ্য, বেদের মেয়ে জ্যোৎস্না, অমর কণ্টক, ভয়, জীবন যোদ্ধা, বেয়াদপ, ফিরিয়ে দাও, শক্তি, রক্ত নদীর ধারা, তোমার রক্তে আমার সোহাগ, ত্রিশূল ইত্যাদি প্রায় ২০০ টি ছবিতে তিনি অভিনয় করেছেন। বাংলা সিনেমার ইতিহাসে তিনি সবথেকে সফল অভিনেতা হিসেবে গণ্য হন। একবার ‘অমর কণ্টক’ ছবির শ্যুটিংয়ে ঘটেছিল লজ্জাজনক ঘটনা। একটি দৃশ্যে নায়িকা মুনমুন সেন তাঁর পা থেকে চুষে বিষ বের করবেন। শ্যুটিং মুনমুন সত্যিই কামড়ে চিরঞ্জিতের পা থেকে রক্ত বের করে দিয়েছিলেন। যন্ত্রণা সহ্য করতে না পেরে ব্যথায় ককিয়ে ওঠেন তিনি। কিন্তু শট খারাপ হবে ভেবে কিছু বলেননি। পরিচালক সুখেন দাস কাট বলতেই আর রাগ সামলাতে পারেননি। সজোরে মুনমুন সেনকে এক লাথি মারেন। ছিটকে পড়েন মুনমুন।
সদ্য একটি চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এই ঘটনার কথা বলেছেন চিরঞ্জিত। মুখের উপর সোজাসুজি কথা বলতে ভয় পান না কখনো। প্রকাশ্যে প্রসেনজিতের সমালোচনা করতেও পিছ পা হননি। বহুবছর তিনি আর হিরো নন। আর তেমন সিনেমাতে দেখা যায় না। তবুও জনপ্রিয়তা আজও সমান।
প্রকৃত নাম দীপক চক্রবর্তী। সিনেমা জগতে আসার পর নাম পাল্টে চিরঞ্জিত রাখেন। তিনি বিশ্বাস করেন, তাঁর মধ্যে দু’রকম সত্তা বাস করে। চিরঞ্জিত বেদের মেয়ে জ্যোৎস্না করেন। আর দীপক চক্রবর্তী ছবি আঁকেন, কবিতা লেখেন, আবার সিনেমা পরিচালনা করেন। জন্ম ১৯৫৫ সালের ২ নভেম্বর কলকাতায়। ১৯৮১ সালে ‘সোনায় সোহাগা’ ছবিতে ডেবিউ করেন চিরঞ্জিত। তার আগে দেশ পত্রিকায় কাজ করতেন। আর মাঝে মাঝে দূরদর্শনে সংবাদ পাঠ করতেন। সত্যজিৎ রায়ের ‘সুকুমার সেন’ তথ্যচিত্রে লক্ষ্মণের ভূমিকায় প্রথম অভিনয়। তবে অঞ্জন চৌধুরীর ‘শত্রু’ ছবি থেকে তিনি পরিচিতি পান।
একক নায়ক হিসেবে প্রথম হিট সিনেমা ১৯৮৫ সালের ‘অন্তরালে’। নায়িকা ছিলেন মুনমুন সেন। ছবি সুপারহিট। গান তার থেকে বেশি হিট। তারপর প্রতিকার, পাপি, পাপ পূণ্য, বেদের মেয়ে জ্যোৎস্না, অমর কণ্টক, ভয়, জীবন যোদ্ধা, বেয়াদপ, ফিরিয়ে দাও, শক্তি, রক্ত নদীর ধারা, তোমার রক্তে আমার সোহাগ, ত্রিশূল ইত্যাদি প্রায় ২০০ টি ছবিতে তিনি অভিনয় করেছেন। বাংলা সিনেমার ইতিহাসে তিনি সবথেকে সফল অভিনেতা হিসেবে গণ্য হন। একবার ‘অমর কণ্টক’ ছবির শ্যুটিংয়ে ঘটেছিল লজ্জাজনক ঘটনা। একটি দৃশ্যে নায়িকা মুনমুন সেন তাঁর পা থেকে চুষে বিষ বের করবেন। শ্যুটিং মুনমুন সত্যিই কামড়ে চিরঞ্জিতের পা থেকে রক্ত বের করে দিয়েছিলেন। যন্ত্রণা সহ্য করতে না পেরে ব্যথায় ককিয়ে ওঠেন তিনি। কিন্তু শট খারাপ হবে ভেবে কিছু বলেননি। পরিচালক সুখেন দাস কাট বলতেই আর রাগ সামলাতে পারেননি। সজোরে মুনমুন সেনকে এক লাথি মারেন। ছিটকে পড়েন মুনমুন।
সদ্য একটি চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এই ঘটনার কথা বলেছেন চিরঞ্জিত। মুখের উপর সোজাসুজি কথা বলতে ভয় পান না কখনো। প্রকাশ্যে প্রসেনজিতের সমালোচনা করতেও পিছ পা হননি। বহুবছর তিনি আর হিরো নন। আর তেমন সিনেমাতে দেখা যায় না। তবুও জনপ্রিয়তা আজও সমান।
No comments:
please do not enter any spam link in the comment box