বড় এক অভিনেতার সঙ্গে বসে খেতে চাওয়ায় Nawazuddin Siddiqui কে ঘাড় ধাক্কা দেওয়া হয়েছিল

তিনি এখন হিন্দি সিনেমা ইন্ডাস্ট্রির নামজাদা একজন। একটা সময় অবশ্য এমনটা ছিল না। কাজ পাওয়ার জন্য দ্বারে দ্বারে ঘুরতে হয়েছে। খুব ছোট চরিত্র দিয়ে অভিনয় জীবন শুরু করেন। সরফোরজ, শূল, মুন্নাভাই এম বি বি এস-এই রকম বেশ কিছু ছবিতে ছোট চরিত্র দিয়ে জীবন শুরু করেছিলেন nawazuddin siddiqui। প্রায় দুই দশক লেগেছিল নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে। একজন অভিনেতা হিসেবে জায়গা করতে অনেক কাঠখড় পোড়াতে হয়েছিল তাঁকে। অনেক অপমান সহ্য করতে হয়েছে। সম্প্রতি বিবিসিকে দেওয়া হিন্দি সাক্ষাৎকারে একজন স্ট্রাগলার হিসেবে কত কিছু সহ্য করতে হয়েছে, সেই সব ‘কাহিনী’ তুলে ধরেছেন নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকি।

ন্যাশনাল স্কুল অব ড্রামা থেকে স্নাতক হওয়ার পর ১৯৯৯ সালে মুম্বাই আসেন। প্রথম অভিনয় আমির খানের সঙ্গে Sarfarosh ছবিতে। এরপর রামগোপাল বর্মার Shool এবং ২০০০ সালের ছবি Jungle- এ অভিনয় করেন। ২০০৩ সালে সঞ্জয় দত্তের সঙ্গে Munnabhai MBBS-এ ছোট চরিত্রে কাজ করেন। টেলিভিশনে সিরিয়ালে কাজ করে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তেমন সুযোগ পাননি। ২০০২ থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত তেম্ন কোন কাজ পাননি। চার জনের সঙ্গে একটি ফ্ল্যাট শেয়ার করে থাকতেন। কিন্তু বাড়িভাড়া দিতে না পেরে উৎখাত হয়ে যান। পরে এক বন্ধুর কাছে থাকতে শুরু করেন। শর্ত ছিল রান্না করতে হবে।

সাক্ষাৎকারে ফেলে আসা দিনের কথা জানিয়েছেন নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকি। কীভাবে খারাপ ব্যবহার করা হত। সিনেমার মূল অভিনেতাদের সঙ্গে বসে খেতে চাইলে রীতিমতো ঘাড়ধাক্কা দেওয়া হত। তিনি জানিয়েছেন, “সহস্রবার অপমানিত হয়েছি আমি। কোনও সিনেমার সেটে স্পটবয়ের কাছে জল চাইলে সম্পূর্ণ ইগনোর করত। নিজে উঠে গিয়ে জল খেয়ে আসতে হত। কেউ পাত্তা দিতে চাইত না। এছাড়া বিভিন্ন প্রযোজনা সংস্থার তরফে শিল্পীদের গুরুত্ব বুঝে আলাদা খাবারের ব্যবস্থা করা থাকত। জুনিয়র আর্টিস্টরা আলাদা খেত, সহ-অভিনেতারা আলাদা আর প্রধান চরিত্র যাঁরা তাঁদের আলাদা ব্যবস্থা থাকত”।

তিনি আরও জানান, “যশরাজ ফিল্মের তরফে অবশ্য সবার একসঙ্গে বসে খাওয়া দাওয়ার ব্যবস্থা করা হত। কিন্তু বেশিরভাগ প্রযোজনা সংস্থা এই ভেদাভেদ থাকে। আমি কোনও সময় ছবির মুখ্য অভিনেতার সঙ্গে খেতে চাইলে রীতিমতো কলার ধরে বের করে দেওয়া হয়েছিল। আবার কোথায় ঘাড়ধাক্কা দেওয়া হয়েছে। খুব অপমানবোধ করতাম। রাগ হত। ভাবতাম, শিল্পীদের অন্তত সম্মান দেওয়া হোক। কিন্তু বাস্তবে তা কোনও দিন হয় না”।

২০১২ সালে Peepli live ছবিতে একজন লোকাল সাংবাদিকের চরিত্রে অভিনয় করেন তিনি। সেখান থেকেই পরিচিত পান। ইন্ডাস্ট্রি নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকিকে অভিনেতা হিসেবে চিহ্নিত করেন। তারপর Kahaani সিনেমায় একজন পুলিশ অফিসার হিসেবে নওয়াজের অভিনয় তাঁকে স্টার হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করে।

No comments:

please do not enter any spam link in the comment box

Powered by Blogger.