কিছুদিন আগে ‘প্রজেক্ট কে’ ছবির শ্যুটিংয়ে পাঁজরে চোট পান অমিতাভ বচ্চন। তারপর থেকে একপ্রকার গৃহবন্দি তিনি। এই প্রথম নয়। এর আগেও শ্যুটিংয়ে গুরুতর চোট পেয়েছিলেন তিনি। চোট এতটাই গুরুতর ছিল যে, প্রায় মৃত্যু মুখে পৌঁছে গিয়েছিলেন। ১৯৮৩ সালে অমিতাভ বচ্চনের ‘কুলি’ রিলিজ করে। সেই ছবি শ্যুটিংয়ে ১৯৮২ সালের ২ আগস্ট জখম হন। অস্ত্রোপচারের পর চিকিৎসকরা তাঁকে ক্লিনিক্যালি death ঘোষণা করে দিয়েছিলেন। তারপর কোন জাদুবলে ফিরে এলেন ? কীভাবে ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে ওঠেন বিগবি ? এখনও তিনি চুটিয়ে কাজ করে চলেছেন।
১৯৭৩ সালে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন জয়া ও অমিতাভ বচ্চন। আজ ৩রা জুন ৫০ বছরে পড়ল বচ্চন দম্পতির বিবাহ।
ঠিক কী ঘটনা ঘটেছিল ?
১৯৮২ সালের ২ আগস্ট ব্যাঙ্গালুরুর ইউনিভার্সিটি ক্যাম্পাসে অভিনেতা পুনিত ইসারের সঙ্গে মারপিটের দৃশ্যের শ্যুটিং করছিলেন অমিতাভ বচ্চন। সেই সময় লাফ দিতে গিয়ে একটুর ভুলে পেটে চোট পান। প্রচুর রক্তক্ষরণ শুরু হয়। অমিতাভ বচ্চন জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। তাঁকে সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কয়েক বছর আগে সিমি গিরেওয়ালের শোতে এই ঘটনার বর্ণনা দিয়েছিলেন অমিতাভ বচ্চন। তিনি বলেন, “সেটে দুর্ঘটনায় আমার অন্ত্র ফেটে গিয়েছিল। আমি কোমায় চলে যায়। জরুরি ভিত্তিতে আমার অপারেশন হয়। ব্যাঙ্গালুরু থেকে ৭ দিন পর মুম্বাই ফিরি। তখন অন্য বিপদ দেখা দেয়। অপারেশনের জায়গায় সেলাই ফেটে গিয়েছিল। ফলে আবার অস্ত্রোপাচার করতে হয়। সেই সময় আমার ১৪-১৫ ঘণ্টা জ্ঞান ফেরেনি। তখন চিকিৎসকরা ধরে নিয়ে ছিলেন সব শেষ। কারণ আমার পালস রেট ছিল না। বিপি লেভেল জিরোতে পৌঁছে গিয়েছিল। ভেন্টিলেশনে ছিলাম। এই অবস্থাকে ডাক্তাররা ক্লিনিক্যালি death বলেন।জয়ার হাতে ছিল হনুমান চালিসা
ঘটনার দিন জয়া বচ্চন অনেক দেরি করে হাসপাতালে আসেন। এই ব্যাপারে তিনি বলেন, “যখন হাসপাতালে পৌঁছায়, তখন আমার দেওর এসে প্রশ্ন করেন, কোথায় ছিলে ? আমি জানায়, বাচ্চাদের সামলে এলাম। তিনি তখন বলেন, আগে শক্ত হও, তারপর সব বলব। আমি মন থেকে বলে উঠি, এ কিছুতেই হতে পারে না। কোনওভাবেই হতে পারে না। আমার হাতে ছিল হনুমান চালিসা। তখন ডক্টর দস্তুর এসে বলেন, এখন আপনার প্রার্থনা যদি কিছু করতে পারে। কিন্তু আমি হনুমান চালিসা পড়তে পারিনি। তাকিয়ে ছিলাম ওইদিকে। দেখছিলাম ওরা হার্ট পাম্প করছে, ইঞ্জেকশন দিচ্ছে। পরপর ইঞ্জিকেশন দিচ্ছিলেন ডক্টর দস্তুর। তখন আমি প্রথম দেখি, ওর পা নড়ে উঠল। আমি চিৎকার করে উঠি, ওই তো পা নড়ছে। তারপর ধীরে ধীরে জ্ঞান ফিরল”।১৯৭৩ সালে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন জয়া ও অমিতাভ বচ্চন। আজ ৩রা জুন ৫০ বছরে পড়ল বচ্চন দম্পতির বিবাহ।
No comments:
please do not enter any spam link in the comment box