Bangla serial actress: আর ফোন আসবে না! স্বামীর মৃত্যুর একদিন পরেই শ্যুটিং ফ্লোরে আসতে হয়, অকপট তনুকা চট্টোপাধ্যায়

দীর্ঘ দুই দশকের অভিনয় জীবনে কোনওদিন অন্যথা হয়নি। রোজ মনে করে দুপুরে ফোনটা আসত। ‘খেয়েছো’ ? ছোট্ট একটা জিজ্ঞাসা। তার মধ্যেই জড়িয়ে থাকত কত ভালোবাসা, স্নেহ, প্রেম। ৩২ বছরের নির্ভেজাল দাম্পত্য জীবন এই একটা জিনিস বেঁধে রেখেছিল। বড় মায়ায় বেঁধে ফেলেছিল। কিন্তু এক ঝটকায় সব উলটপালট হয়ে গেল। চলে গেলেন স্বামী। বিরাট এই পৃথিবীতে একা রেখে বিদায় নিয়েছেন তিনি। তারপর থেকে আর ফোন আসে না। মাঝে মাঝে ভুল করে লাঞ্চের পরে অপেক্ষা করেন। পরক্ষণে মনে পড়ে, আর তো সে ফোন করবে না। ডুকরে ওঠে মন। গলার কাছে একরাশ বাষ্প জমা হয়। কিন্তু অভিনয় এমন এক পেশা, যেখানে কান্নার অনুমতি নেই। সব সময় যেন অভিনয় করে যেতে হচ্ছে। একটি সাক্ষাৎকারে জীবনের সেই সব দিকের কথা তুলে ধরেছেন অভিনেত্রী তনুকা চট্টোপাধ্যায়।

বাংলা সিরিয়ালের অভিনেত্রী (Bangla serial actress) তনুকা চট্টোপাধ্যায় এই মুহূর্তে দুটি মেগা ধারাবাহিকে অভিনয় করছেন। স্টার জলসার ‘গাঁটছড়া’ আর কালারস বাংলার ‘সোহাগ চাঁদ’। ভীষণ ব্যস্ততা। দুটি সিরিয়ালে সমান্তরাল কাজ চালিয়ে যাওয়া মুখের কথা নয়। চিরদিন নেগেটিভ চরিত্র বেশি করেছেন। কিন্তু বাস্তবে তিনি অন্যরকম। পজেটিভ চিন্তাকে বেশি গুরুত্ব দেন। তাই তো স্বামীর মৃত্যুর একদিন পরেই শ্যুটিং ফ্লোরে চলে আসেন। ফের চরিত্রের প্রয়োজনে সিঁথিতে সিঁদুর পরে অভিনয় করেন।

ফ্লোরে বসেই স্বামীর অকাল প্রয়াণের কথা জানতে পারেন। কাজ অসমাপ্ত রেখেই ছুটে যান। ততক্ষণে সব শেষ। কিছু আর করার ছিল। সেই বিপদের দিনে ইউনিটের সবাই পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। তাই তনুকা সবার কাছে কৃতজ্ঞ। কোনও দিন ভুলতে পারবে না। কিন্তু অভিনয় এমন এক পেশা, যেখানে ছুটি বলে কিছু নেই। the show must go on। এটাই মূল মন্ত্র। জীবনে যতবড় ধাক্কায় লাগুক না কেন, অভিনয় চালিয়ে যেতে হবে। এই শিক্ষা তাঁকে দিয়েছিলেন তাঁর গুরু রবি ঘোষ। অভিনেতা অনুপ কুমার ছিলেন তাঁর মেসো। এইসব দিকপালদের কাছে অভিনয়ের অ, আ শিখেছিলেন। নতুন প্রজন্মকেও সেই গুরুমন্ত্র দিয়ে যেতে চান তিনি। এখন মা ও মেয়ের কাছে থাকেন তনুকা। তাঁদের জন্য অভিনয় চালিয়ে যেতেই হবে।

No comments:

please do not enter any spam link in the comment box

Powered by Blogger.