টালিগঞ্জ পাড়ায় ২১ বছর কাটিয়ে ফেললেন জিত (Jeet) । একজন অবাঙালি ছেলে কীভাবে বাঙালির এত কাছের হয়ে গেলেন, তা এক ইতিহাস। তবে তিনি যে প্রসেনজিতের পর পরবর্তী বাংলার সুপারস্টার হবেন, তার ভবিষ্যৎবাণী অনেকদিন আগেই করে দিয়েছিলেন পরিচালক অঞ্জন চৌধুরী। ‘সাথী’(Sathi 2002 film) ছবির প্রথম দিনের প্রথম শো দেখেই হল থেকে বেরিয়ে বলেছিলেন, এই ছেলে চলবে। শুধু চলবে না, দৌড়াবে। বাস্তবে ঘটেছিল তাই। ‘সাথী’ টানা ২৫ সপ্তাহ বাংলার বিভিন্ন সিনেমা হলে চলেছিল। তবে প্রথমটা এমন ছিল না। শুরুতে হল ছিল খালি। কেউ দেখতে যায়নি ‘সাথী’। কিন্তু অঞ্জন চৌধুরীর কথায় কিছুটা জোর করেই হলে টিকিয়ে রাখা হয়েছিল সিনেমাটি। তারপর কী ঘটেছিল, তা আর বলার প্রয়োজন পড়ে না। চারিদিকে শুধুই ‘ও বন্ধু তুমি শুনতে কী পাও’ গান। বাংলা ছবি পেয়ে গিয়েছিল প্রসেনজিতের পরবর্তী সুপারস্টার। ২০ বছর আগে এই ১৪ জুন রিলিজ হয় ‘সাথী’।
হিন্দিতে সিনেমায় সুযোগ না পেলেও এক তামিল ছবির প্রযোজক নায়ক করলেন জিতকে। ২০০১-এ রিলিজ হয় ‘চাঁদু’। তামিল ছবি। সিনেমা সুপারফ্লপ। এদিকে ভাগ্য অন্য কিছু লিখছিল। বাংলাতে তখন শুরু হতে চলেছে তামিল ছবির রিমেকের জামানা। ১৯৯৯ সালের তামিল ছবি ‘থুলাধা মানামুম থুল্লম’-এর বাংলা চিত্রনাট্য তৈরি করলেন হরনাথ চক্রবর্তী। নায়ক করার জন্য প্রথমে গেলেন প্রসেনজিতের কাছে। চিত্রনাট্য শুনে বুম্বা দা বলেন, তাঁকে আর এই চরিত্রে মানাবে না। নতুন কাউকে নিতে। প্রথমে অডিশন দিতে এসেছিলেন যিশু সেনগুপ্ত। কিন্তু ততদিনে ‘মহাপ্রভু’ সিরিয়াল করে রীতিমতো সেলিব্রটি তিনি। তাই তাঁকে বাদ দিলেন প্রযোজক শ্রীকান্ত মেহতা। চাই নতুন মুখ। এলেন জিত। প্রোফাইল দেখে পচ্ছন্দ হল। কিন্তু ছেলের বাংলা উচ্চারণ ভালো নয়। পরিচালক বললেন, অন্য কাউকে দিয়ে ডাবিং করিয়ে নেওয়া হবে।
বড় বাজেটে নিউ থিয়েটার স্টুডিওতে বিরাট সেট তৈরি করে ছবিটি বানিয়েছিল শ্রী ভেঙ্কটেশ ফিল্ম। নায়িকা প্রিয়াঙ্কা ত্রিবেদী। ১৪ জুন ছবি রিলিজ হল। বেহালার অজান্তা হলে প্রথম দিন সিনেমাটি দেখার জন্য পরিচালক অঞ্জন চৌধুরীকে ডাকল ভেঙ্কটেশ ফিল্ম। হল ফাঁকা। কেউ নেই। হাতে গোনা কয়েকজন এসেছে গরমের দিনে এসির হাওয়া খেতে। কারণ, তখন জিতকে কেউ চিনত না। তাই সিনেমা দেখতে কেউ এল না। ভেঙ্কটেশ ফিল্ম ধরেই নিল ছবি ফ্লপ। কিন্তু অঞ্জন চৌধুরী বললেন অন্য কথা। সিনেমা দেখে বেরিয়ে নিজের এক অনুগামীকে বলেছিলেন, এই ছেলে দৌড়াবে। সুপারহিট হবে সিনেমা। ফোন করে একই কথা বলেছিলেন শ্রীকান্ত মেহতাকে। বলেছিলেন, কষ্ট করে সিনেমাটি হলে টিকিয়ে রাখতে।
অঞ্জন চৌধুরীর কথা ফলে গিয়েছিল। বাম্পার হিট হয় ‘সাথী’। গ্রামেগঞ্চে হইহই করে চলেছিল। ধুঁকতে থাকা সিঙ্গেল স্ক্রিনগুলি কিছুটা প্রাণ ফিরে পেয়েছিল। তখনও মাল্টিপ্লেক্স আসেনি। বাংলা সিনেমার দুর্দশা কিছুটা কাটাতে পেরেছিল ‘সাথী’। গান আরও বেশি হিট করে। আর বাংলা সিনেমা পেয়ে গেল আরও এক সুপারস্টারকে। ২১ বছর কাটিয়ে এখন তিনি বাংলা সিনেমার ‘চেঙ্গিস’।
কীভাবে নায়ক হলেন জিত ?
এখন আর ‘নবাব’ গেঞ্জির সেই বিজ্ঞাপন আর দেখা যায় না। যেখানে অন্যতম মুখ ছিলেন জিত। তবে প্রথম সিনেমা নয়। লড়াইটা শুরু হয়েছিল টেলিভিশন থেকে। নবাগত জিত তখন ছবি নিয়ে এদ্বার ওদ্বার ঘুরছেন। প্রথম সুযোগ পেলেন প্রয়াত পরিচালক বিষ্ণু পালচৌধুরীর ধারাবাহিক ‘বৃষবৃক্ষ’। সেই প্রথম ক্যামেরার সামনে অভিনয়। ১৯৯৩ সাল থেকে বিজ্ঞাপন জগতের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন জিত। অবাঙালি সুলভ উচ্চারণ। যা শুনে অনেকেই হেসেছেন। ফিরিয়ে দিয়েছেন। সিরিয়ালের পর তপণ সিনহার ‘শতাব্দীর কন্যারা’ ছবিতে খুব ছোট ভূমিকায় অভিনয়। প্রায় নজরে না পড়ার মতোই চরিত্র। জুনিয়র আর্টিস্টের সমান। বাংলাতে অনেক দিন ঘুরে কিছু করতে না পেরে মুম্বাই পাড়ি দিয়েছিলেন জিত।হিন্দিতে সিনেমায় সুযোগ না পেলেও এক তামিল ছবির প্রযোজক নায়ক করলেন জিতকে। ২০০১-এ রিলিজ হয় ‘চাঁদু’। তামিল ছবি। সিনেমা সুপারফ্লপ। এদিকে ভাগ্য অন্য কিছু লিখছিল। বাংলাতে তখন শুরু হতে চলেছে তামিল ছবির রিমেকের জামানা। ১৯৯৯ সালের তামিল ছবি ‘থুলাধা মানামুম থুল্লম’-এর বাংলা চিত্রনাট্য তৈরি করলেন হরনাথ চক্রবর্তী। নায়ক করার জন্য প্রথমে গেলেন প্রসেনজিতের কাছে। চিত্রনাট্য শুনে বুম্বা দা বলেন, তাঁকে আর এই চরিত্রে মানাবে না। নতুন কাউকে নিতে। প্রথমে অডিশন দিতে এসেছিলেন যিশু সেনগুপ্ত। কিন্তু ততদিনে ‘মহাপ্রভু’ সিরিয়াল করে রীতিমতো সেলিব্রটি তিনি। তাই তাঁকে বাদ দিলেন প্রযোজক শ্রীকান্ত মেহতা। চাই নতুন মুখ। এলেন জিত। প্রোফাইল দেখে পচ্ছন্দ হল। কিন্তু ছেলের বাংলা উচ্চারণ ভালো নয়। পরিচালক বললেন, অন্য কাউকে দিয়ে ডাবিং করিয়ে নেওয়া হবে।
বড় বাজেটে নিউ থিয়েটার স্টুডিওতে বিরাট সেট তৈরি করে ছবিটি বানিয়েছিল শ্রী ভেঙ্কটেশ ফিল্ম। নায়িকা প্রিয়াঙ্কা ত্রিবেদী। ১৪ জুন ছবি রিলিজ হল। বেহালার অজান্তা হলে প্রথম দিন সিনেমাটি দেখার জন্য পরিচালক অঞ্জন চৌধুরীকে ডাকল ভেঙ্কটেশ ফিল্ম। হল ফাঁকা। কেউ নেই। হাতে গোনা কয়েকজন এসেছে গরমের দিনে এসির হাওয়া খেতে। কারণ, তখন জিতকে কেউ চিনত না। তাই সিনেমা দেখতে কেউ এল না। ভেঙ্কটেশ ফিল্ম ধরেই নিল ছবি ফ্লপ। কিন্তু অঞ্জন চৌধুরী বললেন অন্য কথা। সিনেমা দেখে বেরিয়ে নিজের এক অনুগামীকে বলেছিলেন, এই ছেলে দৌড়াবে। সুপারহিট হবে সিনেমা। ফোন করে একই কথা বলেছিলেন শ্রীকান্ত মেহতাকে। বলেছিলেন, কষ্ট করে সিনেমাটি হলে টিকিয়ে রাখতে।
অঞ্জন চৌধুরীর কথা ফলে গিয়েছিল। বাম্পার হিট হয় ‘সাথী’। গ্রামেগঞ্চে হইহই করে চলেছিল। ধুঁকতে থাকা সিঙ্গেল স্ক্রিনগুলি কিছুটা প্রাণ ফিরে পেয়েছিল। তখনও মাল্টিপ্লেক্স আসেনি। বাংলা সিনেমার দুর্দশা কিছুটা কাটাতে পেরেছিল ‘সাথী’। গান আরও বেশি হিট করে। আর বাংলা সিনেমা পেয়ে গেল আরও এক সুপারস্টারকে। ২১ বছর কাটিয়ে এখন তিনি বাংলা সিনেমার ‘চেঙ্গিস’।
No comments:
please do not enter any spam link in the comment box