Coromandel train accident: ‘যুদ্ধ’ শেষে কেন কেঁদে ফেললেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণ

রাত জেগে, নিজে দাঁড়িয়ে থেকে উদ্ধারকাজে তদারকি করেছেন রেলমন্ত্রী। তাই এত দ্রুত শেষ হয়েছে বালাসোর রেল দুর্ঘটনার উদ্ধারকাজ। ৫১ ঘণ্টা তিনি ঘটনাস্থলেই ছিলেন। অবশেষে যখন ‘যুদ্ধ’ শেষ হল, তখন মুখে যুদ্ধ জয়ের হাসি নয়, বরং চোখে এল জল। অবশ্য এই জল উদ্ধারকাজ শেষ নিয়ে নয়। দুর্ঘটনার ক্ষত সারিয়ে ফের ট্রেন চলাচল শুরু হল। সাফল্যের সঙ্গে ট্রায়াল শেষ হওয়ার পর রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণ কেঁদে ফেলেন। রবিবার রাতে ওই লাইনে ডাউন ট্রেনের ট্রায়াল করল রেল। সবটাই নিজে দাঁড়িয়ে থেকে দেখেছেন তিনি। প্রথম রাত ১০ টা ৪০ মিনিটে ডাউন লাইনে একটি মালগাড়ি চালানো হয়। এক ঘণ্টা পর আর একটি মালগাড়ি সেখান দিয়ে পাস করানো হয়। আপ লাইনে প্রথম ট্রেন চালানো হয় রাত ১২টা ৫ মিনিটে। ট্রেন চলে যেতেই আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন রেলমন্ত্রী

পরে রেলমন্ত্রী জানান, ‘কর্মীরা খুব দক্ষতার সঙ্গে অত্যন্ত দ্রুত কাজ শেষ করেছেন। প্রধানমন্ত্রী নিজে এসে উৎসাহ দিয়ে গিয়েছেন। ৫১ ঘণ্টার চেষ্টায় লাইন মেরামত করে তিনটি গাড়ি চালানো সম্ভব হয়েছে। সোমবার ৭টি ট্রেন চালানোর পরিকল্পনা’। পরে দুর্ঘটনায় জখমদের সঙ্গেও কথা বলেন তিনি। তখনও তাঁর চোখে জল দেখা গিয়েছে। রবিবার সন্ধ্যাতেই রেলমন্ত্রী ওই লাইনে দ্রুত ট্রেন চালানোর কথা জানান। তিনি বলেন, লাইন মেরামত হয়েছে। ওভারহেডে তার পাতা হয়ে গিয়েছে। তার রাতেই ট্রেন চালিয়ে দেখল রেল।

শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা ৫৫ মিনিটে ওড়িশার বালাসোরের বাহানাগা বাজারে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে করমণ্ডল এক্সপ্রেস (Coromandel train accident) । একই সঙ্গে দুর্ঘটনায় পড়ে হাওড়া-বেঙ্গালুরু সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস ও একটি মালগাড়ি। এই তিনটি ট্রেনের দুর্ঘটনায় ২৮১ জন প্রাণ হারান। ওড়িশা সরকার অবশ্য রবিবার সকালে জানায়, ২৭৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। দুর্ঘটনার জেরে শুক্রবার রাত থেকেই ওই লাইনে ট্রেন পরিষেবা থমকে গিয়েছে। বাতিল হয়ে গিয়েছে দক্ষিণ ভারতগামী একাধিক ট্রেন। শনিবারের পর রবিবার ও সোমবারও ট্রেন পরিষেবা বন্ধ। সমস্যায় পড়েছেন যাত্রীরা। রেলের পক্ষে জানানো হয়েছে, ১০০০ জন কর্মী দিনরাত এক করে লাইন সারানোর কাজ করছেন। রবিবার রাতে ট্রায়াল হয়েছে। তবে বুধবারের আগে যাত্রী পরিষেবা পুরোপুরি স্বাভাবিক হবে না।

No comments:

please do not enter any spam link in the comment box

Powered by Blogger.