শ্বশুরবাড়িতে রীতিমতো কোণঠাসা। স্বামীর কথা শোনার সময় নেই। শাশুড়ি একরকম দমিয়ে রাখতে চান। এমনই দমবন্ধ পরিবেশে দিন কাটছে মানালি দে’র। তারপর পাশে পেলেন একঝাঁক বান্ধবীকে। যাঁদের কাছে খোলা আকাশের স্বাদ পেলেন তিনি। প্রাণভরে নিলেন নিঃশ্বাস। না, এটা মানালি দে’র বাস্তব জীবনের গল্প নয়। নতুন সিরিয়াল ‘কার কাছে কই মনের কথা’ (kar kache koi moner kotha serial)-এর প্রোমোর গল্প। সিরিয়ালের নাম শুনেই বোঝা যাচ্ছে নতুন ধরণের কিছু আসতে চলেছে বাংলা সিরিয়ালের দর্শকদের জন্য। কয়েক মাস আগেই শেষ হয়েছে লালন-ফুলঝুড়ির গল্প ‘ধুলোকণা’। সেই গ্লপ দর্শকদের ভালোই লেগেছিল। তারপর মানালির নতুন সিরিয়াল আসতে চলেছে, তা জানা ছিল। তবে কী সিরিয়াল তার খবর সোমাবার প্রকাশ করল জি বাংলা। এদিন প্রথম দেখানো হল সিরিয়ালের প্রোমো।
২ মিনিটের ট্রেলারের শুরু হয় বিয়ে দিয়ে। নতুন বউ মানালি যার সিরিয়ালে নাম শিমূল মিত্র। বিয়ের পর প্রথমবার স্বামীর সঙ্গে শ্বশুরবাড়ি আসছেন। জানলা দিয়ে গঙ্গা দেখতে পেয়ে উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়ে। বলে ওঠে, আরে গঙ্গার এত কাছে আমাদের বাড়ি ? তখনই স্বামী তাঁকে আটকায়। বলেন, ভিতরে এস। নতুন বউ। লোকে কী বলবে ? শ্বশুরবাড়ির প্রথম দিন শুনতে হয় গায়ের রং নিয়ে খোঁটা। শাশুড়ি (ঋতা দত্ত চক্রবর্তী) সেটা সমর্থন করেন। বলেন, ছেলের পচ্ছন্দ কী আর করা যাবে!
বউমার যে গানের সখ সে খবর শাশুড়ি রাখেন না। বিয়ের তত্ত্বের সঙ্গে মা হারমোনিয়াম পাটিয়েছে দেখে রেগে গিয়ে সেটা গুদাম ঘরে পাঠিয়ে দেন তিনি। ছেলের বউয়ের মন বোঝার চেষ্টা করেন না। এইভাবে মানিয়ে নিয়ে চলতে থাকে শিমূল। তারপর একদিন ডাকযোগে বাড়িতে এসে পৌঁছায় গানের প্রতিযোগিতায় প্রথম হওয়ার সার্টিফিকেট। সেটা নিয়ে উচ্ছ্বাসের সঙ্গে শাশুড়িকে বলতে গেলে মুখ ঝামটা শুনতে হয়। স্বামীর কাছে ছূটে যায় শিমূল। কিন্তু তাঁর কথা শোনার সময় নেই স্বামীর। স্কুল শিক্ষক স্বামী ব্যস্ততার অজুহাত দিয়ে এড়িয়ে যান।
মানসিকভাবে ধাক্কা খাওয়া শিমূল কার কাছে নিজের মনের কথা বলবে। বারন্দায় দাঁড়িয়ে চোখের জল মুছে সার্টিফিকেট ছিঁড়ে ফেলে। ছাদে কাপড় মেলতে গিয়ে পড়শি মহিলার কাছ থেকে চায়ের নেমন্ত্রণ পান। তাঁরা বলেন, তোমার এত খুশির দিনেও আমাদের সঙ্গে চা খাবে না ? প্রথমে বুঝতে পারেননি শিমূল। তখন তাঁর ছিঁড়ে ফেলা সার্টিফিকেট জোড়া লাগানো অবস্থায় দেখায় তাঁরা। খুশিতে উজ্জ্বল হয়ে ওঠে শিমূলের মুখ। বাড়ির লোকের কাছে তাঁর কদর না থাকলেও বাইরে আছে। তারাই হয়ে ওঠে আপনজন।
ঘরের চার দেওয়ালের মধ্যে মনের কথা কেউ না বুঝলেও বাইরের ক’জন সখী তাঁর গুরুত্ব দেয়। সেই সখীদের ভূমিকায় (kar kache koi moner kotha serial) বাসবদত্তা চট্টোপাধ্যায়, সৃজনী মিত্র, কুয়াশা বিশ্বাস এবং স্নেহা চট্টোপাধ্যায়। এই ধারাবাহিকের প্রোমো অনেকের মনে ধরলেও কটাক্ষও এসেছে। অনেকে লিখেছেন, নতুন ধরণের গল্প দেখালও শেষে সেই গতানুগতিক দিকের মোড় নেবে সিরিয়াল। গল্পের গোরু গাছে উঠবে।
২ মিনিটের ট্রেলারের শুরু হয় বিয়ে দিয়ে। নতুন বউ মানালি যার সিরিয়ালে নাম শিমূল মিত্র। বিয়ের পর প্রথমবার স্বামীর সঙ্গে শ্বশুরবাড়ি আসছেন। জানলা দিয়ে গঙ্গা দেখতে পেয়ে উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়ে। বলে ওঠে, আরে গঙ্গার এত কাছে আমাদের বাড়ি ? তখনই স্বামী তাঁকে আটকায়। বলেন, ভিতরে এস। নতুন বউ। লোকে কী বলবে ? শ্বশুরবাড়ির প্রথম দিন শুনতে হয় গায়ের রং নিয়ে খোঁটা। শাশুড়ি (ঋতা দত্ত চক্রবর্তী) সেটা সমর্থন করেন। বলেন, ছেলের পচ্ছন্দ কী আর করা যাবে!
বউমার যে গানের সখ সে খবর শাশুড়ি রাখেন না। বিয়ের তত্ত্বের সঙ্গে মা হারমোনিয়াম পাটিয়েছে দেখে রেগে গিয়ে সেটা গুদাম ঘরে পাঠিয়ে দেন তিনি। ছেলের বউয়ের মন বোঝার চেষ্টা করেন না। এইভাবে মানিয়ে নিয়ে চলতে থাকে শিমূল। তারপর একদিন ডাকযোগে বাড়িতে এসে পৌঁছায় গানের প্রতিযোগিতায় প্রথম হওয়ার সার্টিফিকেট। সেটা নিয়ে উচ্ছ্বাসের সঙ্গে শাশুড়িকে বলতে গেলে মুখ ঝামটা শুনতে হয়। স্বামীর কাছে ছূটে যায় শিমূল। কিন্তু তাঁর কথা শোনার সময় নেই স্বামীর। স্কুল শিক্ষক স্বামী ব্যস্ততার অজুহাত দিয়ে এড়িয়ে যান।
মানসিকভাবে ধাক্কা খাওয়া শিমূল কার কাছে নিজের মনের কথা বলবে। বারন্দায় দাঁড়িয়ে চোখের জল মুছে সার্টিফিকেট ছিঁড়ে ফেলে। ছাদে কাপড় মেলতে গিয়ে পড়শি মহিলার কাছ থেকে চায়ের নেমন্ত্রণ পান। তাঁরা বলেন, তোমার এত খুশির দিনেও আমাদের সঙ্গে চা খাবে না ? প্রথমে বুঝতে পারেননি শিমূল। তখন তাঁর ছিঁড়ে ফেলা সার্টিফিকেট জোড়া লাগানো অবস্থায় দেখায় তাঁরা। খুশিতে উজ্জ্বল হয়ে ওঠে শিমূলের মুখ। বাড়ির লোকের কাছে তাঁর কদর না থাকলেও বাইরে আছে। তারাই হয়ে ওঠে আপনজন।
ঘরের চার দেওয়ালের মধ্যে মনের কথা কেউ না বুঝলেও বাইরের ক’জন সখী তাঁর গুরুত্ব দেয়। সেই সখীদের ভূমিকায় (kar kache koi moner kotha serial) বাসবদত্তা চট্টোপাধ্যায়, সৃজনী মিত্র, কুয়াশা বিশ্বাস এবং স্নেহা চট্টোপাধ্যায়। এই ধারাবাহিকের প্রোমো অনেকের মনে ধরলেও কটাক্ষও এসেছে। অনেকে লিখেছেন, নতুন ধরণের গল্প দেখালও শেষে সেই গতানুগতিক দিকের মোড় নেবে সিরিয়াল। গল্পের গোরু গাছে উঠবে।
No comments:
please do not enter any spam link in the comment box