Mukesh Ambani daughter in law: পৃথিবীর সবথেকে দামী নেকলেস পুত্রবধূকে উপহার দিলেন মুকেশ আম্বানি, দেখলে মাথা ঘুরে যাবে

বিশ্বের সবথেকে দামী জিনিসের সখ আছে আম্বানি পরিবারের। তবে এব্যাপারে সব থেকে বেশি সৌখিন মুকেশ আম্বানির স্ত্রী নীতা আম্বানি। দামী ঘড়ি, ব্যাগ, জুতো থেকে জলের বোতল। সব কিছু অতুলনীয়। এর মধ্যে গয়নার সখ তাঁর বরাবরের। কোটি কোটি টাকার গয়নার কালেকশন আছে নীতা আম্বানির জিম্মায়। কী নেই সেখানে ? হীরে, মানিক-মুক্তো। পুরোর রাজার খাজানা। সম্প্রতি গয়নার ব্যাপারে তাঁকে টক্কর দিচ্ছেন অন্য কেউ। জানেন তিনি কে ? বাড়ির বড়বউ শ্লোকা আম্বানি (Mukesh Ambani daughter in law)। সদ্য তিনি একটি কন্যা সন্তানের জন্ম দিয়েছেন। সেই খুশিতে শ্বশুরমশাই অর্থাৎ মুকেশ আম্বানি বিশ্বের সবথেকে অমূল্য ঐশ্বর্য উপহার দিয়েছেন তাঁকে। সেটা কী ?

৪৫১ কোটির নেকলেস !

সদ্য কন্যা সন্তান অর্থাৎ লক্ষ্মী এসেছে আম্বানি পরিবারে। সেই কন্যাসন্তানের নাম রাখা হয়েছে বেদা। তবে শুধু সন্তান জন্ম দিয়ে নয়, শ্লোকা আম্বানি লাইমলাইটে আছেন অন্য কারণে। সেটি হল একটি বহুমূল্য হীরের নেকলেস উপহার পেয়েছেন তিনি। দিয়েছেন শ্বশুর মুকেশ আম্বানি ও শাশুড়ি নীতা আম্বানি। যার মূল্য ৪৫১ কোটি টাকা। হীরের এই নেকলেসটি তৈরি করেছে বিখ্যাত গয়না প্রস্তুতকারক ‘মোওয়াদ’।

বহুমূল্য হীরের গয়নাটির একটি ছোটখাটো ইতিহাস আছে। জানা যায়, ঊনবিংশ শতাব্দীতে প্রথম এই গয়না তৈরি হয়। এই নেকলেসে আছে কিছু দুর্মূল্য হীরে। সুন্দর কারুকাজ করা এই গয়নার মূল আকর্ষণ একটি সোনালী বর্ণের হীরে। জানা যায়, ১৮৮০ সালে আফ্রিকার কঙ্গোতে এই হীরেটি পাওয়া গিয়েছিল। এটি আবিষ্কার করে ছোট্ট একটি বাচ্চা মেয়ে। পাহাড়ের মধ্যে এটি সে কুড়িয়ে পায়।

আম্বানি পরিবারের হাতে আসার আগে হীরেটি নানা প্রদর্শনশালায় প্রদর্শিত হয়েছে। সোনালী বর্ণের হীরেটির ওজন ৪০৭.৪৮ ক্যারেট। ওই রত্নের জন্যই নেকলেসটি এত দামী। সোনালী হীরে ছাড়াও নেকলেসে মোট ৯১টি সাদা হীরে আছে। যার মোট ওজন ২০০ ক্যারেট। ‘মোওয়াদ ল’ইনকম্পারেবল  ’ নামের এই নেকলেসটি বর্তমানে বিশ্বের সবথেকে মূল্যবান গয়না।

No comments:

please do not enter any spam link in the comment box

Powered by Blogger.