ভারতের আদি মহাকাব্য Ramayan। মহাকবি বাল্মিকীর দ্বারা রচিত রামায়ণ শুধু আমাদের দেশে নয়, প্রতিবেশী রাষ্ট্র শ্রীলঙ্কা সহ বিভিন্ন রাষ্ট্রে জনপ্রিয়। বিভিন্ন সময়ে নানা কবি বা সাহিত্যিক এই মহাকাব্যকে নিজেদের মতো করে লিখেছেন। ফলে অনেক ক্ষেত্রে নানা অংশ সংযোজিত হয়েছে। আবার কোথাও বাদ পড়েছে। রামায়ণের নতুন নতুন সংস্করণে নতুন গল্প যোগ হয়েছে। ভারতের মতো শ্রীলঙ্কাতেও রামায়ণ ভীষণ জনপ্রিয়। কারণ, রামায়ণ অনুযায়ী রাবণের বাস ছিল লঙ্কাতেই। তখন ছিল সোনার লঙ্কা। দেবকারিগর বিশ্বকর্মাকে বন্দি করে সোনার লঙ্কা বানিয়েছিলেন তিনি। শ্রীলঙ্কার পাশাপাশি থাইল্যান্ডে ‘রামকিন রামায়ণ’ ও কম্বোডিয়ায় ‘রামাকার রামায়ণ’ বিপুল জনপ্রিয়। এখানকার রামায়ণের বিশেষত্ব হল, রাম, সীতা, লক্ষ্মণ, রাবণের পাশাপাশি আরও একটি চরিত্র খুব বিখ্যাত। তিনি রাবণের কন্যা সুবর্ণমৎস্য।
বাবার নির্দেশে সুবর্ণমৎস্য সমুদ্রে শ্রীরাম লেখা সব পাথর বিলীন করে দিতে থাকেন। বিষয়টি হনুমানের নজরে পড়ে। তিনি তৎক্ষণাত সমুদের তলায় যান। গিয়ে দেখেন এক মৎস্যকন্যা পাথরগুলি সরিয়ে ফেলছেন। হে রাজকন্যা , তুমি কে? কেন তুমি এই কাজ করছ ? জানতে চান হনুমান। কথিত আছে, হনুমানজিকে দেখে তখন প্রেমে পড়ে যান সুবর্ণমৎস্য। কিন্তু পবনপুত্র তাঁকে বোঝান, তিনি চিরব্রহ্মচারী। তাঁর পক্ষে বিয়ে করা সম্ভব নয়। একই সঙ্গে রাবণের সীতাহরণের মতো পাপের কথাও তিনি জানান। সব শুনে সুবর্ণমৎস্য সব পাথর ফিরিয়ে দেন। এইভাবে সমুদ্রের বুকে নির্মিত হয় রামসেতু।
তবে ভারতীয় রামায়ণে সুবর্ণমৎস্য-এর কোনও উল্লেখ পাওয়া যায় না। এই গল্পটি সম্পূর্ণভাবে থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার। সেখানে আজও সুবর্ণমৎস্য-এর পুজো হয়।
কে এই সুবর্ণমৎস্য ?
থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার রামায়ণ অনুসারে, রাবণের তিন রানি ছিলেন। তাঁদের মোট আট সন্তান। সাতটি ছেলে আর একটি মেয়ে। মেয়ের নাম ছিল সুবর্ণমৎস্য। তিনি দেখতে খুব সুন্দর ছিলেন। তাঁর অর্ধেক শরীর মানুষের মতো। আর অর্ধেক মাছের মতো। তাই তাঁর নাম ছিল সুবর্ণমৎস্য বা সোনার মাছ। থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ায় এখনও সুবর্ণমৎস্য-এর পুজো করা হয়। তাঁদের রামায়ণ অনুসারে, শ্রীরাম যখন লঙ্কা জয় করতে সমুদ্রে সেতুবন্ধের সিদ্ধান্ত নেন, তখন তাঁর বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন এই সুবর্ণমৎস্য। রাবণ সেতুবন্ধ রুখতে সুবর্ণমৎস্যকে দায়িত্ব দেন।বাবার নির্দেশে সুবর্ণমৎস্য সমুদ্রে শ্রীরাম লেখা সব পাথর বিলীন করে দিতে থাকেন। বিষয়টি হনুমানের নজরে পড়ে। তিনি তৎক্ষণাত সমুদের তলায় যান। গিয়ে দেখেন এক মৎস্যকন্যা পাথরগুলি সরিয়ে ফেলছেন। হে রাজকন্যা , তুমি কে? কেন তুমি এই কাজ করছ ? জানতে চান হনুমান। কথিত আছে, হনুমানজিকে দেখে তখন প্রেমে পড়ে যান সুবর্ণমৎস্য। কিন্তু পবনপুত্র তাঁকে বোঝান, তিনি চিরব্রহ্মচারী। তাঁর পক্ষে বিয়ে করা সম্ভব নয়। একই সঙ্গে রাবণের সীতাহরণের মতো পাপের কথাও তিনি জানান। সব শুনে সুবর্ণমৎস্য সব পাথর ফিরিয়ে দেন। এইভাবে সমুদ্রের বুকে নির্মিত হয় রামসেতু।
তবে ভারতীয় রামায়ণে সুবর্ণমৎস্য-এর কোনও উল্লেখ পাওয়া যায় না। এই গল্পটি সম্পূর্ণভাবে থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার। সেখানে আজও সুবর্ণমৎস্য-এর পুজো হয়।
No comments:
please do not enter any spam link in the comment box