বর্তমানে তাঁকে আর বড় পর্দায় দেখা যায় না। ছোট পর্দায় রীতিমতো চাঞ্চল্য তৈরি করতে পেরেছেন তিনি। সিনেমার থেকে বেশি জনপ্রিয়তা পেয়েছেন বোকা বাক্সে। অথচ, এক সময় বাংলা-ওড়িশা জয় করেছিলেন। এদিকে প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় তো ওড়িশাতে সিদ্ধান্ত মোহান্তি। সবার সঙ্গে নায়িকা হিসেবে জমিয়ে রেখেছিলেন। প্রকৃত নাম ঝুমঝুম বন্দ্যোপাধ্যায়। পরিচালক সুখেন দাস বদলে দিয়েছিলেন নাম। আর সেই নামেই এখন বিখ্যাত তিনি। প্রায় তিন দশক ধরে নিজের জনপ্রিয়তা বজায় রেখেছেন। এতক্ষণে নিশ্চয় সবাই ধরতে পেরে গিয়েছেন, কার কথা বলা হচ্ছে ? তিনি আর কেউ নন, বাংলার ‘দিদি নম্বর ওয়ান’ রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। সম্প্রতি Social media viral এই নায়িকার বহু পুরনো একটি ছবি।
অনেক ছোটবেলায় বাবা-মায়ের সঙ্গে একটি ছবি তুলেছিলেন রচনা। সেই ছবি এখন সামাজিক মাধ্যমে ভীষণ ভাইরাল। এমনিতেই প্রিয় নায়ক-নায়িকারা ছোটবেলায় কেমন দেখতে ছিলেন, জানার আগ্রহ সবার থাকে। রচনা ৫০ পেরিয়েও নিজের যৌবন ধরে রেখেছেন। রূপ যেন ঠিকরে বের হচ্ছে। সেই নায়িকা ছোটবেলায় কেমন দেখতে ছিলেন, জানার আগ্রহ সবার।
রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় খুব কম বয়সে সিনেমা জগতে পা রাখেন। কম বয়সে তিনি দেখতে খুব সুন্দরী ছিলেন। সেটা যাঁরা তাঁর কম বয়সের সিনেমা দেখেছেন, তাঁরা প্রত্যেকেই জানেন। তবে যে ছবিটি ভাইরাল হয়েছে, তা আরও আগের। কোনও স্টুডিওতে বাবা-মায়ের সঙ্গে ছবিটি তুলে ছিলেন তিনি। কিশোরী বয়সের রচনার ছবি। চুল ঘাড় পর্যন্ত কাটা, ফ্রক পড়ে বাবা-মায়ের পিছনে দাঁড়িয়ে ছবিটি তুলেছিলেন। ছোট থেকেই খুব মিষ্টি দেখতে রচনা। এই ছবি তার প্রমাণ। বাবা-মায়ের বড় আদরের মেয়ে ছিলেন রচনা। তিনি নিজেও বাবা-মায়ের প্রতি কর্তব্য পালনে পিছ পা হননি।
বাবা রবীন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়ের খুব কাছের ছিলেন রচনা। বাবাকে খুব ভালোবাসতেন। মেয়েকে সামলানোর জন্য তিনি নিজের কেরিয়ার ছেড়ে দিয়েছিলেন। চাকরি ছেড়ে মেয়েকে নায়িকা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে দিনের পর দিন ওড়িশায় পড়ে থেকেছেন। তাই বাবার মৃত্যু পর তিনি খুব ভেঙে পড়েন। তবে এখন মাকে সামলাচ্ছেন। সেই সঙ্গে নিজের টিভি শো ও কাপড়ের ব্যবসা এগিয়ে নিয়ে চলেছেন রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিছুদিন আগে তিনি কাপড়ের একটি দোকান খুলেছেন।
No comments:
please do not enter any spam link in the comment box