জীবনে অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে আজকের জায়গায় পৌঁছেছেন মিঠুন চক্রবর্তী (Mithun Chakraborty) । হিন্দি সিনেমা ইন্ডাস্ট্রিতে টিকে থাকতে তাঁকে কম স্ট্রাগল করতে হয়নি। একদম জিরো থেকে হিরো হয়েছিলেন। শুধু তাই নয়, প্রথম ছবির পর জাতীয় পুরস্কার পেলেও বলিউড তাঁর জন্য দরজা খোলেনি। গায়ের রং কালো, তারপর বাঙালি। এই রকম নানা বিধ অপমান দিনের পর দিন সহ্য করতে হয়েছে। হাতে ১০ টাকার নোট ধরিয়ে বিদায় করে দিয়েছিলেন এক পরিচালক। পরে সেই পরিচালক ডেকে এনে ছবি করিয়েছিলেন মিঠুন চক্রবর্তীকে দিয়ে। ফুটপাতে দিনের পর দিন শুয়ে থেকেছেন। তবু নিজের জেদ ছাড়েননি। মিঠুনের বিরুদ্ধে নানা সময় অনেক অভিযোগ উঠেছে। বাদ যাননি সুস্মিতা সেনও।
মিঠুন চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ তোলেন সুস্মিতা সেন (Sushmita sen)। তিনি মিঠুনের বিরুদ্ধে নোংরাভাবে স্পর্শ করার অভীজোগ তোলেন। ঘটনাটি ঘটেছিল একটি ছবির শ্যুটিংয়ের সেটে। ২০০৬ সালে রিলিজ করে ‘চিংগারি’। সুস্মিতার অভিযোগ, এই সিনেমার একটি দৃশ্যের শ্যুটিং চলাকালীন খুব খারাপভাবে স্পর্শ করেছিলেন মিঠুন। আর নিয়ে দুই অভিনেতার মধ্যে শুরু হয় গণ্ডগোল।
আসলে একটি ধর্ষণের দৃশ্য করার সময় সমস্যা হয়। তবে পরিচালক কল্পনা লাজমির খুব পচ্ছন্দ হয়েছিল মিঠুনের অভিনয়। তিনি বলেছিলেন, মিঠুন একদম বাস্তব সম্মত অভিনয় করেছেন। কোথাও কোনও ভুল ছিল না। তিনি যেমনটা চেয়েছিলেন, ঠিক তেমন করেছেন মিঠুন চক্রবর্তী। কিন্তু সুস্মিতা সেন খুব রেগে যান। সুস্মিতার অভিযোগ ছিল, ওই দৃশ্য করার সময় আপত্তিকর ভাবে স্পর্শ করেছিলেন মিঠুন। দৃশ্যটি এত অস্বস্তিকর ছিল যে মাঝপথে সেট ছেড়ে বেরিয়ে যান সুস্মিতা। পরে পরিচালকের কাছে তিনি অভিযোগ জানান। অবশ্য তাতে কোনও লাভ হয়নি। পরিচালক কল্পনা লাজমি তাঁকে বলেছিলেন, ও কিছু না। সবটাই তাঁর মনের ভুল।
এই খবর চাপা থাকেনি। এককান, দুকান হতে হতে বলিউডে রটে যায়। শুরু হয়ে যায় কানাঘুষো। নানা ধরণের কথা শোনা যেতে লাগল। পৌঁছে গেল মিডিয়ার কাছেও। সুস্মিতা সেন বুঝলেন, এই ইস্যু নিয়ে অযথা জলঘোলা করলে তাঁর কেরিয়ার ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। তাই তিনি আর এগোননি। মিঠুনের সঙ্গে মিটমাট করে নেন।
তাই সে যাত্রায় বিতর্ক থেকে রক্ষা পেয়ে যান মিঠুন। আর কোনও দিন মিঠুন আর সুস্মিতা একসঙ্গে কাজ করেননি। মিঠুনের দীর্ঘ কেরিয়ারে একমাত্র সুস্মিতা ছাড়া আর কোনও মহিলা এই ধরনের অভিযোগ করেননি। এদিকে সুস্মিতার কেরিয়ারও তেমনভাবে তৈরি হয়নি। ২০১৫ সালে বাংলার সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের ‘নির্বাক’ ছাড়া আর কোনও সিনেমাতে তাঁকে দেখা যায়নি। প্রয়াত ভুপেন হাজারিকার গল্প ‘The Prostitute and the Postman ’ গল্প থেকে ‘চিংগারি’ তৈরি করেন কল্পনা লাজমি। ১৯৯৫ সালে ‘জল্লাদ’, ২০০৫ ‘এলান’-এর পর এটা ছিল মিঠুন চক্রবর্তীর তৃতীয় ভিলেন হিসেবে অভিনয়। সিনেমাটি বক্স অফিসে তেমন প্রভাব ফেলতে পারেনি।
কী অভিযোগ ছিল সুস্মিতার ?
মিঠুন চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ তোলেন সুস্মিতা সেন (Sushmita sen)। তিনি মিঠুনের বিরুদ্ধে নোংরাভাবে স্পর্শ করার অভীজোগ তোলেন। ঘটনাটি ঘটেছিল একটি ছবির শ্যুটিংয়ের সেটে। ২০০৬ সালে রিলিজ করে ‘চিংগারি’। সুস্মিতার অভিযোগ, এই সিনেমার একটি দৃশ্যের শ্যুটিং চলাকালীন খুব খারাপভাবে স্পর্শ করেছিলেন মিঠুন। আর নিয়ে দুই অভিনেতার মধ্যে শুরু হয় গণ্ডগোল।
আসলে একটি ধর্ষণের দৃশ্য করার সময় সমস্যা হয়। তবে পরিচালক কল্পনা লাজমির খুব পচ্ছন্দ হয়েছিল মিঠুনের অভিনয়। তিনি বলেছিলেন, মিঠুন একদম বাস্তব সম্মত অভিনয় করেছেন। কোথাও কোনও ভুল ছিল না। তিনি যেমনটা চেয়েছিলেন, ঠিক তেমন করেছেন মিঠুন চক্রবর্তী। কিন্তু সুস্মিতা সেন খুব রেগে যান। সুস্মিতার অভিযোগ ছিল, ওই দৃশ্য করার সময় আপত্তিকর ভাবে স্পর্শ করেছিলেন মিঠুন। দৃশ্যটি এত অস্বস্তিকর ছিল যে মাঝপথে সেট ছেড়ে বেরিয়ে যান সুস্মিতা। পরে পরিচালকের কাছে তিনি অভিযোগ জানান। অবশ্য তাতে কোনও লাভ হয়নি। পরিচালক কল্পনা লাজমি তাঁকে বলেছিলেন, ও কিছু না। সবটাই তাঁর মনের ভুল।
এই খবর চাপা থাকেনি। এককান, দুকান হতে হতে বলিউডে রটে যায়। শুরু হয়ে যায় কানাঘুষো। নানা ধরণের কথা শোনা যেতে লাগল। পৌঁছে গেল মিডিয়ার কাছেও। সুস্মিতা সেন বুঝলেন, এই ইস্যু নিয়ে অযথা জলঘোলা করলে তাঁর কেরিয়ার ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। তাই তিনি আর এগোননি। মিঠুনের সঙ্গে মিটমাট করে নেন।
তাই সে যাত্রায় বিতর্ক থেকে রক্ষা পেয়ে যান মিঠুন। আর কোনও দিন মিঠুন আর সুস্মিতা একসঙ্গে কাজ করেননি। মিঠুনের দীর্ঘ কেরিয়ারে একমাত্র সুস্মিতা ছাড়া আর কোনও মহিলা এই ধরনের অভিযোগ করেননি। এদিকে সুস্মিতার কেরিয়ারও তেমনভাবে তৈরি হয়নি। ২০১৫ সালে বাংলার সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের ‘নির্বাক’ ছাড়া আর কোনও সিনেমাতে তাঁকে দেখা যায়নি। প্রয়াত ভুপেন হাজারিকার গল্প ‘The Prostitute and the Postman ’ গল্প থেকে ‘চিংগারি’ তৈরি করেন কল্পনা লাজমি। ১৯৯৫ সালে ‘জল্লাদ’, ২০০৫ ‘এলান’-এর পর এটা ছিল মিঠুন চক্রবর্তীর তৃতীয় ভিলেন হিসেবে অভিনয়। সিনেমাটি বক্স অফিসে তেমন প্রভাব ফেলতে পারেনি।





No comments:
please do not enter any spam link in the comment box