ছেলের জন্য মাথা হেঁট হয়ে গিয়েছিল, সমাজে মুখ দেখাতে পারতেন না বাবা mithun Chakraborty, কিন্তু কেন ?

ছেলের জন্য মাথা হেঁট হয়ে গিয়েছিল, সমাজে মুখ দেখাতে পারতেন না বাবা mithun Chakraborty, কিন্তু কেন ?
কলকাতা থেকে মুম্বাই গিয়ে নিজের ‘চেষ্টা’য় জায়গা করে ছিলেন Mithun chakraborty। চেষ্টা। এই শব্দটির মধ্যে কত কষ্ট ও চোখের জল, অপমান জড়িয়ে তা নিয়ে একটি পুরো বই লেখা হয়ে যাবে। ইচ্ছা শক্তির জয়ে হয়ে উঠেছিলেন সিনেমা জগতের ‘মহাগুরু’। গায়ের রং কালো, দেখতে আহামরি কিছু নয়। এই নিয়ে কম ঘাড় ধাক্কা খেতে হয়নি। হাতে দশ টাকা দিয়ে বিদায় করে দিয়েছিলেন এক পরিচালক। তখনকার অনেক নামকরা হিরো তাঁকে দেখে মুখ টিপে হাসতেন। সব অপমান মুখ বুজে সহ্য করছেন। তারপর একদিন কাজের মধ্য দিয়ে জবাব দিয়ে ছিলেন। অভিনেত্রী যোগিতাবালিকে বিয়ে করে চার সন্তানের বাবা মিঠুন চক্রবর্তী। তিনি চেয়েছিলেন ছেলেরাও নিজের চেষ্টায় সিনেমা জগতে নাম করুক। সুপারিশ বা দয়ায় নয়। কিন্তু চার দশকের বেশি কেরিয়ারে যে সম্মান মিঠুন চক্রবর্তী অর্জন করেছিলেন তা ছেলে মহাক্ষয় চক্রবর্তীর জন্য এক নিমেষে চলে যায়। পুরো পরিবার অন্ধকারে ডুবে গিয়েছিল।
ছেলের জন্য মাথা হেঁট হয়ে গিয়েছিল, সমাজে মুখ দেখাতে পারতেন না বাবা mithun Chakraborty, কিন্তু কেন ?

ঠিক কী ঘটেছিল ?

বাবার মতো ছেলে মহাক্ষয় চক্রবর্তী সুপারস্টার হওয়ার স্বপ্ন দেখতেন। সেই মতো নিজেকে তৈরি করে পা রাখেন বলিউডে। ২০০৮ সালে রিলিজ করে ‘জিমি’। সুপারহিট ‘ডিস্কো ডান্সার’-এ মিঠুন চক্রবর্তীর নাম ছিল জিমি। সেই নাম ব্যবহার হয় ছেলের প্রথম ছবিতে। কিন্তু সিনেমাটি খুব খারাপ ভাবে ফ্লপ হয়। এক সপ্তাহও কোনও হলে টেকেনি। সেই ধাক্কা মেনে নিতে চক্রবর্তী পরিবারের অনেক কষ্ট হয়েছিল। মহাক্ষয় একটি সাক্ষাৎকারে জানান, সেই সময়টা তাঁর পরিবারের কাছে মোটেই ভালো ছিল না। বাবাও দুঃখে ভেঙে পড়েছিলেন। ‘জিমি’ ছবিটির চারিদিকে সমালোচনা হচ্ছিল। একটি প্রতিবেদনে লেখা হয়, মহাক্ষয় জুনিয়র আর্টিস্ট হওয়ার যোগ্য নয়। ছেলের এই সমালোচনা বাবা মেনে নিতে পারেননি। লজ্জায় পড়ে গিয়েছিলেন। দুঃখ পেয়েছিলেন মা যোগিতা বালিও।
ছেলের জন্য মাথা হেঁট হয়ে গিয়েছিল, সমাজে মুখ দেখাতে পারতেন না বাবা mithun Chakraborty, কিন্তু কেন ?

মহাক্ষয় আরও জানান, সুপারস্টার বাবা-মায়ের ছেলের এই সমালোচনায় পুরো পরিবার ভেঙে পড়ে। তবুও ছেলের কেরিয়ার গড়ে দিতে মাঠে নামেননি মিঠুন চক্রবর্তী। তিনি নেপোটিজিম মানেন না। তা যদি হত তাহলে এতদিনে ৪ থেকে ৫ নম্বর ছবি করতেন, জানিয়েছেন মহাক্ষয়। স্বজনপোষণে মিঠুনের বিশ্বাস নেই। তিনি চেয়েছিলেন, ছেলে নিজের যোগ্যতায় জায়গা করুক। মহাক্ষয় এরপর নিজের চেষ্টায় দুটি ছবি করেছিলেন। ‘জিমি’ ফ্লপ করার পর ‘হন্টেড থ্রিডি’ ও ‘এনিমি’ নামের দুটি ছবিতে নায়ক হিসেবে কাজ করেছেন। দুর্ভাগ্যবশত দুটোই ফ্লপ করে। এরপর নানা জায়গায় অডিশন দিয়েছেন। সিনেমা থেকে সিরিয়াল সর্বত্র। কোথাও তেমন জায়গা করতে পারেননি। তবে নিজের চেষ্টায় তিনটি ছবিতে অভিনয় করতে পেরেছিলেন। তা নিয়ে গর্ববোধ করেন মিঠুনপুত্র মহাক্ষয় চক্রবর্তী।

No comments:

please do not enter any spam link in the comment box

Powered by Blogger.