‘আমি কোনওদিন তোমার মা হতে পারব না’ ! সৎছেলেকে নিয়ে কেন এমন লিখলেন রান্নাঘরের সুদীপা ?

‘আমি কোনওদিন তোমার মা হতে পারব না’ ! সৎছেলেকে নিয়ে কেন এমন লিখলেন রান্নাঘরের সুদীপা ?
বাংলা টেলিভিশনের অত্যন্ত পরিচিত মুখ ছিলেন সুদীপা চট্টোপাধ্যায়। দীর্ঘ ১৭ বছর ধরে জি বাংলার ‘রান্নাঘর’ শো হোস্ট করেছিলেন। টেলিভিশনের ইতিহাসে এত দিন ধরে কোনও শো চলার রেকর্ড নেই। তবে সব কিছুর শেষ আছে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে চাহিদা কমতে থাকে। ‘রান্নাঘর’ শো ক্ষেত্রে তেমনটাই হয়েছিল। একটা সময়ে বন্ধ হয়ে যায়। বাংলার মা-মাসিদের কাছে খুব কাছের সঞ্চালিকা ছিলেন সুদীপা চট্টোপাধ্যায়। মাঝে রেস্টুরেন্ট খুলেছিলেন। এখন সেটা বন্ধ। বর্তমানে স্বামী-সন্তান ও কাপড়ের ব্যবসা নিয়ে বেজায় ব্যস্ত তিনি। টিভি থেকে বিদায় নিলেও সোশ্যাল সাইটে নিয়মিত দেখা দেন। সেখানে নানা বিষয় সংসার থেকে ব্যবসা-সব কিছু নেটিজেনদের সঙ্গে শেয়ার করেন। সকলেই জান পরিচালক অগ্নিদেব চট্টোপাধ্যাইয়ের দ্বিতীয় স্ত্রী সুদীপা। প্রথম পক্ষের সন্তানদের সঙ্গে তাঁর কেমন সম্পর্ক ?
‘আমি কোনওদিন তোমার মা হতে পারব না’ ! সৎছেলেকে নিয়ে কেন এমন লিখলেন রান্নাঘরের সুদীপা ?

কিছুদিন আগে সুদীপার সৎ ছেলে আকাশ চট্টোপাধ্যায়ের জন্মদিন ছিল। সোশ্যাল সাইটে ছেলেকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন ‘সৎমা’ সুদীপা। আকাশের সঙ্গে একটি ছবি শেয়ার করেছেন। একইসঙ্গে তিনি লিখেছেন, ‘আমি যখন এই ছেলেকে প্রথম দেখি, তখন সে স্কুলে পড়ত। এখন যুবক। নিয়তি আমাদের একসঙ্গে করেছে। আমরা খুব ভালো বন্ধু হয়েছি। আবার কখনো দুজন দুজনের সমালোচক। সবথেকে বেশি বোধহয় একে অপরের সমর্থক’। ছেলেকে নিয়ে তিনি লিখেছেন, ‘আমি যদি পড়ে যাই, জানি তুমি পাশে দাঁড়াবে। তেমনি তুমিও পড়ে গেলে আমি সব সময় তোমার পাশে থাকব। তোমার শর্তহীন ভালোবাসা দিয়ে আমার পাশে দাঁড়াবে। আমি আমাদের সম্পর্কে নাম দিতে চাই না’।
‘আমি কোনওদিন তোমার মা হতে পারব না’ ! সৎছেলেকে নিয়ে কেন এমন লিখলেন রান্নাঘরের সুদীপা ?

সুদীপা আরও লিখেছেন, ‘আমি কোনওদিন তোমার মা হতে পারিনি। আমি চিরদিন তোমার ‘ওই জো’ হয়েই থাকতে চাই। হ্যাপি বার্থ ডে হ্যান্ডসাম। তুমি নতুন পয়সার মতো উজ্জ্বল হও। গাছের মতো বড় হও। তোমার মুখের হাসি অটূট থাকুক’। রান্নাঘর অনুষ্ঠান করে এক সময়ে জনপ্রিয়তার শীর্ষে পৌঁছে ছিলেন সুদীপা চট্টোপাধ্যায়। তবে শেষের দিকে নানা কারণে জনপ্রিয়তা কমতে থাকে। মানুষের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার, রূঢ় আচরণ ইত্যাদি ইস্যুতে চরম ট্রোলিং শুরু হয়। শাড়ির ব্যবসা নিয়েও নানা ঝামেলায় জড়িয়ে পড়েন। লাইভে এসে ধর্মীয় আবেগে আঘাত করার অভিযোগ ওঠে। এই নিয়ে তীব্র বিতর্ক শুরু হয়। নিজের কর্মচারীদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করা নিয়ে ‘অহংকারী’ তকমা জোটে। শেষে রান্নাঘর বন্ধ করে দেয় জি বাংলা। এখন নিজের ব্যবসা নিয়ে আছেন সুদীপা চট্টোপাধ্যায়।

No comments:

please do not enter any spam link in the comment box

Powered by Blogger.