Allegation against Dev: সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দিয়েও কথা রাখেনি দেব, বাবার চিকিৎসা করাতে গিয়ে অথৈ জলে হুগলীর তরুণী

Allegation against Dev: সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দিয়েও কথা রাখেনি দেব, বাবার চিকিৎসা করাতে গিয়ে অথৈ জলে হুগলীর তরুণী
প্রতিশ্রুতি দিয়ে কথা না রাখা নেতাদের অভ্যাস। অভিনেতা দেব (Dev) যে ধীরে ধীরে নেতা হয়ে উঠছেন, তার প্রমাণ অনেক আগেই মিলেছিল। ফের মিলল। কী রকম ? হুগলীর তরুণী চন্দ্রাণী চট্টোপাধ্যায় বাবার চিকিৎসা করাতে গিয়ে অথৈ জলে পড়েছেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় সাহাজ্যের জন্য আবেদন করেন। সেই আবেদনে সাড়া দিয়েছিলেন অভিনেতা- সাংসদ দেব। যাবতীয় সাহায্য করবেন বলে জানান। কিন্তু কোথায় কী ? প্রতিশ্রুতি সার। না কোনও সাহায্য এসেছে, না দেবের তরফ থেকে ফোন কল। স্বাস্থ্য সাথী কার্ড আছে। কিন্তু তা ব্যবহার করতে পারছেন না। কোনও বেসরকারি হাসপাতাল ভর্তি নিতে চাইছে না। স্বাস্থ্য সাথী শুনেই ‘বেড খালি নেই’ বলে ফিরিয়ে দিচ্ছে। এখন সরকারি হাসপাতালে পড়ে আছেন চন্দ্রাণীর বাবা। সেখানে কোনও চিকিৎসা নেই। কী করবেন ? কোথায় যাবেন ? কিছুই বুঝে উঠতে পারছেন না। নানা দিক থেকে কিছু সাহায্য আসছিল, কিন্তু দেব সাহায্য করছেন শুনে সেটাও বন্ধ হয়ে গিয়েছে। এখন সব দিক গিয়েছে।

কী হয়েছে চন্দ্রাণীর বাবার ?


২০১৯ সালে চন্দ্রাণীর মা প্রয়াত হন। তারপর ২০২১ সালে বাবার স্ট্রোক হয়। তখন হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল। কিছুটা সুস্থ হয়ে ওঠেন। নিজের হাতে খেতে পারছিলেন। কথাও বলতেন মেয়ের সঙ্গে। কয়েক মাস আগে থেকে সম্পূর্ণ অসুস্থ হয়ে পড়েছেন আবার। মা হারা চন্দ্রাণীর এখন বাবা একমাত্র সম্বল। আর কেউ নেই। বাবাকে সুস্থ করতে মেয়ে নানা দিকে ঘোরাঘুরি করেছেন। কিন্তু কোনও বেসরকারি হাসপাতাল তাঁকে ভর্তি নিচ্ছে না। স্বাস্থ্যসাথী কার্ড দেখে ফিরিয়ে দিচ্ছে। বাবা আরও অসুস্থ হয়ে পড়ছেন দেখে সোশ্যাল মিডিয়ায় সাহায্যের আর্তি জানান চন্দ্রাণী। তাঁর আবেদন ভাইরাল হয়।
Allegation against Dev: সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দিয়েও কথা রাখেনি দেব, বাবার চিকিৎসা করাতে গিয়ে অথৈ জলে হুগলীর তরুণী

দেবের এক ভক্ত অভিনেতাকে ট্যাগ করেছিলেন ওই পোস্ট। তাতে সাড়া দিয়েছিলেন অভিনেতা-সাংসদ। দেব বলেছিলেন, তিনি সব রকম সাহায্য করবেন। তাঁর টিম যোগাযোগ করবে। তারপর দেবের টিমের তরফ থেকে ফোন এসেছিল। সব শুনেছে। ব্যস। ওই টুকু। তারপর আর কিছু এগোয়নি। এদিকে রটিয়ে দেওয়া হয়েছে, দেব নাকি তাঁকে সাহায্য করেছেন। তারপর থেকে এদিক ওদিক থেকে যৎসামান্য সাহায্য আসছিল, তাও বন্ধ। বাবা সরকারি হাসপাতালে ভর্তি আছেন। কোনও চিকিৎসা সেখানে হচ্ছে না। দেবের কাছ থেকে সাহায্যের আশ্বাস পেয়ে কিছুটা আশার আলো দেখেছিলেন চন্দ্রাণী। কিন্তু এখন সেখানেও অন্ধকার।

No comments:

please do not enter any spam link in the comment box

Powered by Blogger.