Kar kache koi moner kotha serial: বাস্তবে এমন শাশুড়ি হয় ? প্রশ্ন তুলে ‘কার কাছে কই মনের কথা’ বন্ধের দাবী
সংসার ভাঙছে ‘কার কাছে কই মনের কথা’ (Kar kache koi moner kotha)। মনের কথা বলতে গিয়ে এমন কিছু বলা হচ্ছে, যা ২০২৩ সালে দাঁড়িয়ে ভাবা যায় না। এই সিরিয়াল অঞ্জন চৌধুরীর ‘ছোটবউ’কে হার মানায়। কুটিল শাশুড়ি প্রতি পদে ষড়যন্ত্র করছেন। নতুন বিয়ে হয়ে আসা বউকে তিনি সহ্য করতে পারছেন না। কীভাবে ছেলের থেকে আলাদা করা যায়, সেই চক্রান্ত করছেন। অনেকেই বলবেন, এ আর নতুন কথা কি ? প্রতিটি সিরিয়ালে এমনটা দেখানো হয়। কিন্তু এই সিরিয়াল সব কিছুকে ছাপিয়ে গিয়েছে। দুদিন আগে ছেলের ফুলশয্যা আটকাতে শাশুড়ির ষড়যন্ত্র সবাইকে চমকে দিয়েছে। বউয়ের বদলে ‘অসুস্থ’ মাকে নিয়ে বিছানায় শুয়ে থাকল ছেলে। আর বউ চেয়ারে মুখ কালো করে বসে থাকল। এই দৃশ্য সম্প্রচার হতেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ঝড় ওঠে। TRP-এর নামে অসুস্থ মানসিকতার সম্প্রচার হচ্ছে, অভিযোগ ওঠে। ছিঃ ছিঃ রব উঠে যায়।
তবে এর বিরুদ্ধ মতও আছে। একজন সিরিয়ালের লেখককে কুর্নিশ জানিয়েছেন। তিনি লিখেছেন, বাস্তবেও এমন শাশুড়ি হয়। কিন্তু বউমা লোকলজ্জার ভয়ে বলতে পারেন না। বাইরে এইসব জানালে সেই বউকে লোকে ভুল ভাবে। তাই সবাই সব কিছু চেপে যায়। বাস্তবের এই ঘটনা তুলে ধরেছেন লেখক। তাঁর সাহস আছে। বেশির ভাগ কমেন্ট বিরোধিতা করেই। ‘সংসার ভাঙার মূলমন্ত্র এই সিরিয়াল’। যা দেখানো হচ্ছে তাতে বাড়ি বাড়ি অবিশ্বাসের পরিবেশ তৈরি হবে। সিরিয়াল বয়কটের ডাক উঠেছে। এত বিরোধিতা সত্ত্বেও কি সিরিয়াল নিয়ে ভাবনা-চিন্তা করবে সংশ্লিষ্ট চ্যানেল ?
সিরিয়াল বন্ধের দাবী
ফুলশয্যার তুলকালাম পর্বের পর গত এপিসোডে দেখানো হয়েছে, ছেলে-বউমাকে বাপের যাওয়া আটকাতে আর এক প্রস্থ নাটক করেন শাশুড়ি। সোশ্যাল মিডিয়ায় এই সিরিয়ালের বিরুদ্ধে সরব নেটিজেনরা। যত দিন যাচ্ছে, প্রতিবাদ আরও সোচ্চার হচ্ছে। অনেকেই সিরিয়াল বন্ধের দাবী তুলছেন। কেউ তো আবার শাশুড়ি ঋতা দত্ত চক্রবর্তীকে কাঠগড়ায় তুলেছেন। বাস্তবে তিনি বোধহয় নিজের বউমার সঙ্গে এমনটাই করেন। আবার অনেকে এর বিরুদ্ধে বলেছেন, অভিনেত্রীর কী দোষ। আসল কালপিট তো সিরিয়ালের লেখক অর্ক গঙ্গোপাধ্যায় (লীনা গঙ্গোপাধ্যায়ের ছেলে)। ২০২৩ সালে দাঁড়িয়ে ৮০ দশকের সিনেমার মতো দৃশ্য লিখছেন। এটা মেনে নেওয়া যায় না। মহিলাদের নিচু করে দেখানো হচ্ছে। নোংরা মানসিকতার প্রমাণ দিচ্ছেন লেখক। সাংসারিক কূটকাচালি বাদ দিয়ে অন্য কিছু দেখানো হোক।তবে এর বিরুদ্ধ মতও আছে। একজন সিরিয়ালের লেখককে কুর্নিশ জানিয়েছেন। তিনি লিখেছেন, বাস্তবেও এমন শাশুড়ি হয়। কিন্তু বউমা লোকলজ্জার ভয়ে বলতে পারেন না। বাইরে এইসব জানালে সেই বউকে লোকে ভুল ভাবে। তাই সবাই সব কিছু চেপে যায়। বাস্তবের এই ঘটনা তুলে ধরেছেন লেখক। তাঁর সাহস আছে। বেশির ভাগ কমেন্ট বিরোধিতা করেই। ‘সংসার ভাঙার মূলমন্ত্র এই সিরিয়াল’। যা দেখানো হচ্ছে তাতে বাড়ি বাড়ি অবিশ্বাসের পরিবেশ তৈরি হবে। সিরিয়াল বয়কটের ডাক উঠেছে। এত বিরোধিতা সত্ত্বেও কি সিরিয়াল নিয়ে ভাবনা-চিন্তা করবে সংশ্লিষ্ট চ্যানেল ?



No comments:
please do not enter any spam link in the comment box