Cinema industry politics: নায়কের চরিত্র থেকে সরিয়ে দিয়েছিলেন রাজ চক্রবর্তী, ইন্ডাস্ট্রি নিয়ে বিস্ফোরক মৈনাক
সিনেমা জগতে রাজনীতি এখন আর নতুন কথা নয়। বারবার তা প্রমাণিত। দাদা বা শক্তিশালি গ্রুপের সদস্য হতে না পারলে ভালো সুযোগ মেলে না। এই কথা এখন ওপেন সিক্রেক্ট। এই সত্যিটা এখনকার নয়, আগেও ছিল, ভবিষ্যতেও থাকবে। প্রয়াত অভিষেক চট্টোপাধ্যায় বা শ্রীলেখা মিত্র বারবার সিনেমাতে নোংরা রাজনীতি (Cinema industry politics) নিয়ে সরব হয়েছেন। এখন সিনেমা-সিরিয়াল অভিনেতা মৈনাক বন্দ্যোপাধ্যায় ঘুরিয়ে সেই রাজনীতির কথা ফের বলেছেন। একটি সংবাদমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ‘ইচ্ছেপুতুল’ ধারাবাহিকের নীল অর্থাৎ মৈনাক জানিয়েছেন, ভালো কাজ পেতে গেলে প্রভাবশালী গ্রুপের সদস্য হওয়া প্রয়োজন। খুব ছোট চরিত্র দিয়ে জার্নি শুরু করেছিলেন মৈনাক। তারপর সিনেমা থেকে এখন সিরিয়াল করছেন। তারজন্যও অনেক কাঠখড় পোড়াতে হয়েছে তাঁকে। সাক্ষাৎকারে সেই প্রসঙ্গ জানিয়েছেন।
সিরিয়ালে কাজ না পেয়ে ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট করেছিলেন। তখন রবিন নাম্বিয়ার তাকে সুযোগ দেন। সেই সময় সিনেমাতে নায়ক হওয়ার সুযোগ আসে। মৈনাকের প্রথম সিনেমা ‘অমরসঙ্গী’। সিনেমা মোটামুটি হিট করলেও মৈনাক সেভাবে হিট হলেন না। ইন্ডাস্ট্রি তাঁকে ব্রাত্য করেই রেখে দিল। এর জন্য ভুল ছবি নির্বাচনকে দায়ী করেন মৈনাক। সুযোগ আসে রাজ চক্রবর্তীর কাছ থেকে। রাজের ‘বরবাদ’ সিনেমাতে নায়ক হওয়ার কথা ছিল। সেই মতো প্রস্তুতি নিয়েছিলেন। কিন্তু শেষ মুহূর্তে তাঁকে সরিয়ে বনি সেনগুপ্তকে নায়ক করা হয়। মৈনাক হয়ে গেলেন সিনেমার ভিলেন।
এইরকম তিক্ত অভিজ্ঞতার পরও তিনি কেন টিকে আছেন, তাঁর কারণ হিসেবে মৈনাক জানান, ধৈর্য আর কাজের প্রতি সততা তাঁকে এই জায়গায় নিয়ে এসেছে। নতুন অভিনেতাদেরও তিনি সেই পরামর্শ দেন। ভালো কাজ পেতে গেলে ধৈর্য ধরতেই হবে।
প্রথম অভিনয়
দীর্ঘ চারবছর নাটক করার পর রবি ওঝার প্রোডাকশনে খুব ছোট রোল পেয়েছিলেন। প্রায় জুনিয়র আর্টিস্টের মতোই। তারপর এক বছর কোথাও থেকে ডাক আসেনি। সেই সময়টা বাড়িতে বসে ছিলেন। খুব হতাশার মধ্যে দিয়ে জীবন কেটেছে। কারণ অন্যকিছু করা তাঁর পক্ষে সম্ভব ছিল না। মৈনাকের কথায়, ‘চাকরি আমার দ্বারা হতো না। তাই অভিনয় শুরু করি। অভিনেতা না হলে আমি পর্বত আরোহী হতাম। ট্রেনিং নিয়ে রেখেছিলাম। অভিনেতা হব, বাড়িতে এটা বোঝানো খুব কঠিন ছিল। কারণ, বাবা ব্যাংকে চাকরি করতেন। মধ্যবিত্ত মানসিকতা থেকে বের হতে পারেননি। তিনি আমায় বলেছিলেন, মাথার উপর ছাদ জোগাড় করে দিয়েছি। এবার খাবারটা নিজে করে নিস’।সিরিয়ালে কাজ না পেয়ে ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট করেছিলেন। তখন রবিন নাম্বিয়ার তাকে সুযোগ দেন। সেই সময় সিনেমাতে নায়ক হওয়ার সুযোগ আসে। মৈনাকের প্রথম সিনেমা ‘অমরসঙ্গী’। সিনেমা মোটামুটি হিট করলেও মৈনাক সেভাবে হিট হলেন না। ইন্ডাস্ট্রি তাঁকে ব্রাত্য করেই রেখে দিল। এর জন্য ভুল ছবি নির্বাচনকে দায়ী করেন মৈনাক। সুযোগ আসে রাজ চক্রবর্তীর কাছ থেকে। রাজের ‘বরবাদ’ সিনেমাতে নায়ক হওয়ার কথা ছিল। সেই মতো প্রস্তুতি নিয়েছিলেন। কিন্তু শেষ মুহূর্তে তাঁকে সরিয়ে বনি সেনগুপ্তকে নায়ক করা হয়। মৈনাক হয়ে গেলেন সিনেমার ভিলেন।
এইরকম তিক্ত অভিজ্ঞতার পরও তিনি কেন টিকে আছেন, তাঁর কারণ হিসেবে মৈনাক জানান, ধৈর্য আর কাজের প্রতি সততা তাঁকে এই জায়গায় নিয়ে এসেছে। নতুন অভিনেতাদেরও তিনি সেই পরামর্শ দেন। ভালো কাজ পেতে গেলে ধৈর্য ধরতেই হবে।




No comments:
please do not enter any spam link in the comment box