২০০০ সালে Kaho Na Pyar Hai দিয়ে যে যাত্রা শুরু করে ছিলেন। সে যাত্রা মাঝপথে যেমন হোঁচট খেল। হারিয়ে গেলেন ছবির নায়িকা আমিশা প্যাটেল। এরপর Gadar আরও বড় সফল ছিল। কিন্তু কেন সেই সাফল্য ধরে রাখতে পারলেন না আমিশা। ভুল কোথায় হয়েছিল ? সবথেকে বড় ভুল ছিল ছবির নির্বাচন। বেছে বেছে সিনেমা তিনি করেননি। একটা সময় বড় বড় নায়কদের বিপরীতে একের পর এক ফ্লপ ছবি করেছেন। যেটা তাঁকে ফ্লপ নায়িকা হিসেবে চিহ্নিত করে দেয়। তার থেকেও বড় ব্যাপার ছিল ব্যক্তিগত জীবনে ঝড়। কিছুটা নিজেই ডেকে এনেছিলেন সেই ঝড়। যা সব কিছু তছনছ করে দিয়েছিল। প্রেমিকের উস্কানিতে বাবা-মার বিরুদ্ধে আদালতে পর্যন্ত গিয়েছিলেন। আবার বহু বছর পর Gadar 2 দিয়ে বড় পর্দায় ফিরছেন আমিশা। কিন্তু মাঝে সময়টা বড্ড বেশি চলে গেল।
কিন্তু তারপর ‘আপ মুঝে আছে লাগনে লাগে’, ‘ক্রান্তি’, ‘ইয়ে হে জলবা’-এর মতো একাধিক ফ্লপ ছবি পরপর আসতে শুরু করে। আমিশা আর তাঁর সেই হারানো জমি ফিরে পেলেন না। সলমান খান, ঋত্বিক রোশন, অজয় দেবগন ইত্যাদি বড় বড় নায়কের সঙ্গে স্ক্রিন শেয়ার করেও আমিশা কিছু করে উঠতে পারছিলেন না।
আমিশার অভিযান
আইনজীবী-রাজনৈতিক নেতা প্রদেশ কংগ্রেস কমিটির সভাপতি রজনী প্যাটেলের নাতনি আমিশার জন্ম ১৯৭৫ সালে। বিদেশ থেকে পড়াশোনা শেষ করে আসার পর মুম্বাইয়ে নাটকের গ্রুপে জয়েন করেন আমিশা। একইসঙ্গে মডেলিং চলতে থাকে। একাধিক নামী ব্রান্ডের মডেল ছিলেন তিনি। বাবার স্কুলের সহপাঠী রাকেশ রোশন তাঁর ছেলের বিপরীতে প্রথম কাস্ট করেন ‘কহো না প্যায়ার হ্যায়’ ছবিতে। প্রথম ছবি কত বড় হিট ছিল, তা আর বলার প্রয়োজন পড়ে না। দ্বিতীয় সিনেমা তামিলে। নাম ‘বদ্রী’। সেটাও বিরাটি হিট ছিল। এরপর Anil Sharma's cross-border romance ‘Gadar: Ek Prem Katha’ আরও বড় হিট ছিল। ৫০০ মেয়ের মধ্য থেকে ২২ জনকে প্রাথমিকভাবে সিলেক্ট করা হয়। স্ক্রিনটেস্টে নির্বাচিত হন আমিশা প্যাটেল। এটাই আমিশার জীবনের সবথেকে বড় হিট।কিন্তু তারপর ‘আপ মুঝে আছে লাগনে লাগে’, ‘ক্রান্তি’, ‘ইয়ে হে জলবা’-এর মতো একাধিক ফ্লপ ছবি পরপর আসতে শুরু করে। আমিশা আর তাঁর সেই হারানো জমি ফিরে পেলেন না। সলমান খান, ঋত্বিক রোশন, অজয় দেবগন ইত্যাদি বড় বড় নায়কের সঙ্গে স্ক্রিন শেয়ার করেও আমিশা কিছু করে উঠতে পারছিলেন না।
No comments:
please do not enter any spam link in the comment box