Bangla cinema actress Gita Dey: সহজ-সরল গীতা দে’কে ঠকিয়ে ছিলেন ঋতুপর্ণ ঘোষ ! জানুন অভিনেত্রীর অজানা কাহিনী
বাংলা সিনেমায় অনেক খলনায়িকা এসেছেন। কিন্তু কেউ গীতা দে’র জায়গা নিতে পারেননি। কয়েকশো ছবিতে অভিনয়, অথচ নিরীহ এই মানুষটিকে শেষ জীবন কাটাতে হয়েছে চরম দারিদ্রের মধ্যে। সংসার চালাতে তিনি কাপড়ের ব্যবসা পর্যন্ত করেছেন। এত ভালো অভিনেত্রী যিনি বিদেশে জন্মালে হয়ত অস্কার পেতেন, সেই মানুষটাকে চরম অবহেলা করেছে বাংলা সিনেমা। তার অন্যতম কারণ গীতা দে’র সারল্য। পর্দায় তিনি ছিলেন দজ্জাল শাশুড়ি অথবা কুচুটে কাকিমা। যিনি সব সময় ষড়যন্ত্র করছেন। বাস্তবে একেবারে ভিন্ন মানুষ ছিলেন গীতা দে। কেউ বিপদে পড়লে সবার আগে হাত বাড়িয়ে দিতেন। তিনি ছিলেন সকলের ‘গীতা মা’ (Bangla cinema actress Gita Dey)। আর এই পরোপকারী মনোভাবের জন্য ভেঙে গিয়েছিল সংসার। বড়লোক বাড়িতে বিয়ে হলেও শেষ পর্যন্ত স্বামীর ঘর করা হয়নি তাঁর। অথচ সারাজীবন স্বামীর দেওয়া দে পদবী বয়ে বেড়িয়েছেন।
১৯৩১ সালের ৫ আগস্ট কলকাতার দর্জিপাড়ায় জন্ম গীতা মিত্রের। বাবা অনাদিমোহন মিত্র মেয়ের গানের গলা ও অভিনয়ের প্রতি ঝোঁক দেখে গায়িকা রাধারানির কাছে তালিম নিতে পাঠান। মাত্র ছ’বছর বয়সে ‘আহুতি’ নামের একটি সিনেমায় অভিনয় করেন গীতা। যার পরিচালক ছিলেন ধীরেন গঙ্গোপাধ্যায়। যিনি সিনেমা ইন্ডাস্ট্রিতে ‘ডিজি’ নামে বিখ্যাত ছিলেন। ওই টুকু বয়সেই নিজের প্রতিভার পরিচয় দিয়েছিলেন গীতা মিত্র। সিনেমার পাশাপাশি নাটকেও চুটিয়ে অভিনয় করতে শুরু করেন। কিন্তু বেশি দিন সেটা সইল না। মাত্র ১৫ বছর বয়সে বিয়ে হয়ে যায় ধনী ব্যবসায়ী অসীমকুমার দে’র সঙ্গে। বিরাট বড়লোক শ্বশুরবাড়ি। বিরাট বাড়ি, চাকর বাকর কতকিছু। কিন্তু সেই সুখ বেশি দিন কপালে সয়নি।
মা মারা যাওয়ার সময় নাবালক ভাই বোনেদের দায়িত্ব গীতার হাতে তুলে দেন। অসহায় ভাই-বোনেদের জড়িয়ে ধরেন তিনি। আর সেটাই স্বামী পচ্ছন্দ করলেন না। ভাইদের নিয়ে সংসার করা যাবে না। তাহলে ঘর থেকে বেরিয়ে যেতে হবে। ভাইবোনদের গীতা দে ছাড়েননি। উল্টে স্বামী ছেড়ে চলে গেলেন। অথৈ জলে পড়লেন গীতা দে। সংসার চালাতে আবার অভিনয়কে বেছে নিলেন। যে ভাইদের জন্য নিজের জীবন উৎসর্গ করেছিলেন গীতা দে। তাঁরাই শেষ বয়সে অভিনেত্রীকে দেখেননি। নিঃসহায় হয়ে পড়েছিলেন। শুধু তাই নয়, সিনেমা জগতের অনেকে তাঁকে ঠকিয়ে ছিলেন। অনেক জায়গায় কাজ করিয়ে আর টাকা দেয়নি।
ঠিক যেমনটা করেছিলেন প্রয়াত পরিচালক ঋতুপর্ণ ঘোষ। অনেক বছর আগে জি বাংলার জন্য ঋতুপর্ণ ঘোষ তৈরি করেছিলেন ‘১ নং মালতীবালা লেন’। সোমা চক্রবর্তী, পুষ্পিতা মুখোপাধ্যায়, স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায় ও শঙ্কর চক্রবর্তী অভিনীত টেলিফিল্মে গীতা দে বয়স্ক ঠাকুমার চরিত্র করেছিলেন। বর্ষীয়ান অভিনেত্রী পরে এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন, ঋতুপর্ণ অভিনয় করিয়ে টাকা দেননি। জীবনে অনেক যন্ত্রণা সহ্য করে ২০১১ সালে মারা যান গীতা দে। বাংলা সিনেমার গীতা মা।
১৯৩১ সালের ৫ আগস্ট কলকাতার দর্জিপাড়ায় জন্ম গীতা মিত্রের। বাবা অনাদিমোহন মিত্র মেয়ের গানের গলা ও অভিনয়ের প্রতি ঝোঁক দেখে গায়িকা রাধারানির কাছে তালিম নিতে পাঠান। মাত্র ছ’বছর বয়সে ‘আহুতি’ নামের একটি সিনেমায় অভিনয় করেন গীতা। যার পরিচালক ছিলেন ধীরেন গঙ্গোপাধ্যায়। যিনি সিনেমা ইন্ডাস্ট্রিতে ‘ডিজি’ নামে বিখ্যাত ছিলেন। ওই টুকু বয়সেই নিজের প্রতিভার পরিচয় দিয়েছিলেন গীতা মিত্র। সিনেমার পাশাপাশি নাটকেও চুটিয়ে অভিনয় করতে শুরু করেন। কিন্তু বেশি দিন সেটা সইল না। মাত্র ১৫ বছর বয়সে বিয়ে হয়ে যায় ধনী ব্যবসায়ী অসীমকুমার দে’র সঙ্গে। বিরাট বড়লোক শ্বশুরবাড়ি। বিরাট বাড়ি, চাকর বাকর কতকিছু। কিন্তু সেই সুখ বেশি দিন কপালে সয়নি।
মা মারা যাওয়ার সময় নাবালক ভাই বোনেদের দায়িত্ব গীতার হাতে তুলে দেন। অসহায় ভাই-বোনেদের জড়িয়ে ধরেন তিনি। আর সেটাই স্বামী পচ্ছন্দ করলেন না। ভাইদের নিয়ে সংসার করা যাবে না। তাহলে ঘর থেকে বেরিয়ে যেতে হবে। ভাইবোনদের গীতা দে ছাড়েননি। উল্টে স্বামী ছেড়ে চলে গেলেন। অথৈ জলে পড়লেন গীতা দে। সংসার চালাতে আবার অভিনয়কে বেছে নিলেন। যে ভাইদের জন্য নিজের জীবন উৎসর্গ করেছিলেন গীতা দে। তাঁরাই শেষ বয়সে অভিনেত্রীকে দেখেননি। নিঃসহায় হয়ে পড়েছিলেন। শুধু তাই নয়, সিনেমা জগতের অনেকে তাঁকে ঠকিয়ে ছিলেন। অনেক জায়গায় কাজ করিয়ে আর টাকা দেয়নি।
ঠিক যেমনটা করেছিলেন প্রয়াত পরিচালক ঋতুপর্ণ ঘোষ। অনেক বছর আগে জি বাংলার জন্য ঋতুপর্ণ ঘোষ তৈরি করেছিলেন ‘১ নং মালতীবালা লেন’। সোমা চক্রবর্তী, পুষ্পিতা মুখোপাধ্যায়, স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায় ও শঙ্কর চক্রবর্তী অভিনীত টেলিফিল্মে গীতা দে বয়স্ক ঠাকুমার চরিত্র করেছিলেন। বর্ষীয়ান অভিনেত্রী পরে এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন, ঋতুপর্ণ অভিনয় করিয়ে টাকা দেননি। জীবনে অনেক যন্ত্রণা সহ্য করে ২০১১ সালে মারা যান গীতা দে। বাংলা সিনেমার গীতা মা।
No comments:
please do not enter any spam link in the comment box