Comedy king Bhanu Banerjee: টলিউডের কমেডি কিং ভানু বন্দ্যোপাধ্যায়, শেষ বয়সে হয়েছিল মর্মান্তিক পরিণতি
বাংলা সিনেমার জগতে সর্বশ্রেষ্ঠ কৌতুক অভিনেতা বলতে যাঁর কথা মাথায় আসে তিনি ভানু বন্দ্যোপাধ্যায়। নিখুঁত অভিনয় দিয়ে দশকের পর দশক দর্শকদের হাসিয়েছেন। প্রায় ৩০০ বেশি ছবিতে অভিনয়। শুধু কী সিনেমা ? নাটক, যাত্রা মঞ্চ মাতিয়েছেন। তাঁর কৌতুক ক্যাসেট বিক্রি হয়েছে হাজারে হাজারে। বাংলা সিনেমা জগতের প্রতি যাঁর এত অবদান, সেই মানুষটাকে একঘরে করে দিয়েছিল ইন্ডাস্ট্রি। শেষ বয়সে সংসার চালাতে হাড় ভাঙা খাটুনি খাটতে হয়েছে। অত্যন্ত করুণ পরিণতি হয়েছিল ভানু বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তবু তিনি মাথা নত করেননি। কারণ কমেডির রাজা (Comedy king) ভানু বন্দ্যোপাধ্যায় ছিলেন বাঘাযতীনের শিষ্য। স্বদেশী মন্ত্রে দীক্ষিত।
১৯২০ সালের ২৬ আগস্ট বাংলাদেশের মুন্সীগঞ্জের বিক্রমপুরে জন্ম হয় ভানু বন্দ্যোপাধ্যায়ের। প্রকৃত নাম সাম্যময় বন্দ্যোপাধ্যায়। স্কুলে পড়ার সময় থেকেই স্বাধীনতা আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত হয়ে পড়েন। পরে অবশ্য কাজের সন্ধানে ১৯৪১ সালে আসেন কলকাতায়। অভিনেতা হিসেবে পথ চলা শুরু আরও পাঁচ বছর পরে। ২৬ বছর বয়সে প্রথম স্টেজে অভিনয়। ‘চন্দ্রগুপ্ত’ নাটকে চাণ্যকের চরিত্রে অভিনয় করেন। সেই বছরই বেতার শিল্পী নীলিমা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিয়ে করে সংসারী হন।
বিয়ের পর ভানু বন্দ্যোপাধ্যায় প্রথম সিনেমায় সুযোগ পান। ১৯৪৭ সালে সুমিত্রা দেবী অভিনীত ‘অভিযোগ’ ছবিতে প্রথম কাজ করেন। তবে ভানু বন্দ্যোপাধ্যায়ের জীবনে বড় ব্রেক ছিল ১৯৫১ সালের নির্মল দে’র ‘বসু পরিবার’। এর পরের বছর ‘সাড়ে চুয়াত্তর’ ছবিতে তাঁর বলা সংলাপ ‘মাসিমা মালপো খামু’ আজও মানুষের মুখে মুখে ফেরে। এরপর ‘ভ্রান্তি বিলাস’, ‘ওরা থাকে ওধারে’, ‘যমালয়ে জীবন্ত মানুষ’, ‘আশিতে আসিও না’ ইত্যাদি সিনেমা তাঁকে শিখরে নিয়ে যায়। ভানু বন্দ্যোপাধ্যায় অভিনীত কয়েকটি উল্লেখযোগ্য সিনেমা হল ‘ভানু গোয়েন্দা, জহর অ্যাসিসট্যান্ট’, ‘মিস প্রিয়ংবদা’, ‘ভানু পেল লটারি’, ‘অভয়া ও শ্রীকান্ত’, ‘মহারাজা নন্দকুমার’, ‘বিন্দুর ছেলে’ ইত্যাদি। তাঁর অভিনীত শেষ ছবি ছিল ‘শোরগোল’। সেই সময় উত্তম কুমার-সুচিত্রা সেনের জনপ্রিয়তাকে টক্কর দিতেন ভানু বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁকে দেখার জন্য হলে হাউসফুল বোর্ড ঝুলত।
ষাটের দশকের শেষের দিকে অভিনেতার শরীর খারাপ হতে শুরু করে। আসলে মানসিক আঘাত তাঁকে মনে মনে শেষ করে দিচ্ছিল। তখন শিল্পী সমিতিতে ভাঙন ধরে। উত্তম কুমার, অনিল চট্টোপাধ্যায়রা সমিতি ছেড়ে বেড়িয়ে যান। পৃথক সংসদ তৈরি করেন। এই আঘাত মানসিকভাবে ভানু বন্দ্যোপাধ্যায় সহ্য করতে পারেননি। এরপর বাংলা সিনেমা তাঁকে ব্যাকলিস্ট করে। কাজ পেতেন না ভানু বন্দ্যোপাধ্যায়। হার্ট অ্যাটাক হয়। তবে সে যাত্রা সামলে নিয়েছিলেন। ইনকামের জন্য যাত্রা-থিয়েটার করতে শুরু করেন। দূর-দূরান্তে কাজ করতে যেতে হত। শরীর ক্রমশ ভেঙে পড়তে শুরু করে। এইভাবে ১৯৮৩ সালের ৪ মার্চ তিনি পরলোক গমন করেন। ভানু বন্দ্যোপাধ্যায়ের শূন্যতা কোনওদিন পূরণ হবার নয়।
১৯২০ সালের ২৬ আগস্ট বাংলাদেশের মুন্সীগঞ্জের বিক্রমপুরে জন্ম হয় ভানু বন্দ্যোপাধ্যায়ের। প্রকৃত নাম সাম্যময় বন্দ্যোপাধ্যায়। স্কুলে পড়ার সময় থেকেই স্বাধীনতা আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত হয়ে পড়েন। পরে অবশ্য কাজের সন্ধানে ১৯৪১ সালে আসেন কলকাতায়। অভিনেতা হিসেবে পথ চলা শুরু আরও পাঁচ বছর পরে। ২৬ বছর বয়সে প্রথম স্টেজে অভিনয়। ‘চন্দ্রগুপ্ত’ নাটকে চাণ্যকের চরিত্রে অভিনয় করেন। সেই বছরই বেতার শিল্পী নীলিমা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিয়ে করে সংসারী হন।
বিয়ের পর ভানু বন্দ্যোপাধ্যায় প্রথম সিনেমায় সুযোগ পান। ১৯৪৭ সালে সুমিত্রা দেবী অভিনীত ‘অভিযোগ’ ছবিতে প্রথম কাজ করেন। তবে ভানু বন্দ্যোপাধ্যায়ের জীবনে বড় ব্রেক ছিল ১৯৫১ সালের নির্মল দে’র ‘বসু পরিবার’। এর পরের বছর ‘সাড়ে চুয়াত্তর’ ছবিতে তাঁর বলা সংলাপ ‘মাসিমা মালপো খামু’ আজও মানুষের মুখে মুখে ফেরে। এরপর ‘ভ্রান্তি বিলাস’, ‘ওরা থাকে ওধারে’, ‘যমালয়ে জীবন্ত মানুষ’, ‘আশিতে আসিও না’ ইত্যাদি সিনেমা তাঁকে শিখরে নিয়ে যায়। ভানু বন্দ্যোপাধ্যায় অভিনীত কয়েকটি উল্লেখযোগ্য সিনেমা হল ‘ভানু গোয়েন্দা, জহর অ্যাসিসট্যান্ট’, ‘মিস প্রিয়ংবদা’, ‘ভানু পেল লটারি’, ‘অভয়া ও শ্রীকান্ত’, ‘মহারাজা নন্দকুমার’, ‘বিন্দুর ছেলে’ ইত্যাদি। তাঁর অভিনীত শেষ ছবি ছিল ‘শোরগোল’। সেই সময় উত্তম কুমার-সুচিত্রা সেনের জনপ্রিয়তাকে টক্কর দিতেন ভানু বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁকে দেখার জন্য হলে হাউসফুল বোর্ড ঝুলত।
ষাটের দশকের শেষের দিকে অভিনেতার শরীর খারাপ হতে শুরু করে। আসলে মানসিক আঘাত তাঁকে মনে মনে শেষ করে দিচ্ছিল। তখন শিল্পী সমিতিতে ভাঙন ধরে। উত্তম কুমার, অনিল চট্টোপাধ্যায়রা সমিতি ছেড়ে বেড়িয়ে যান। পৃথক সংসদ তৈরি করেন। এই আঘাত মানসিকভাবে ভানু বন্দ্যোপাধ্যায় সহ্য করতে পারেননি। এরপর বাংলা সিনেমা তাঁকে ব্যাকলিস্ট করে। কাজ পেতেন না ভানু বন্দ্যোপাধ্যায়। হার্ট অ্যাটাক হয়। তবে সে যাত্রা সামলে নিয়েছিলেন। ইনকামের জন্য যাত্রা-থিয়েটার করতে শুরু করেন। দূর-দূরান্তে কাজ করতে যেতে হত। শরীর ক্রমশ ভেঙে পড়তে শুরু করে। এইভাবে ১৯৮৩ সালের ৪ মার্চ তিনি পরলোক গমন করেন। ভানু বন্দ্যোপাধ্যায়ের শূন্যতা কোনওদিন পূরণ হবার নয়।
No comments:
please do not enter any spam link in the comment box