দুই ষাট উত্তীর্ণ হিরো বক্স অফিসে রীতিমতো ঝড় তুলেছেন। প্রথম জন সানি দেওল। যাঁর বয়স প্রায় ৬৫। আর দ্বিতীয় জন রজনীকান্ত। তিনিও প্রায় ৭০-এর দোড় গোড়ায়। প্রথমে আসা যাক সানি দেওলের কথা। গত সপ্তাহে রিলিজ হয়েছে ‘গদর -২’ (Gadar-2)। রিলিজের সাত দিন পরেও ছুটির দিন ছাড়া এই ছবির ব্যবসা ২২ কোটি টাকা। সর্বসাকুল্যে এখনও পর্যন্ত গদরের ব্যবসা ৩০০ কোটি ছাড়িয়ে গিয়েছে। এই ঝড় কোথায় গিয়ে থামবে, তা এখন বলে উঠতে পারছেন না ফিল্মি বিশেষজ্ঞরা। অনেকেই আন্দাজ করছেন, তামিল রিমেক ছেড়ে অরিজিনাল কনটেন্টে ফেরায় শাহরুখের ‘পাঠান’ বা সানি দেওলের ‘গদর’ ফাটিয়ে ব্যবসা করছে। টিকিটের এত চাহিদা যে পাটনায় হলের বাইরে রীতিমতো বোমাবাজি হয়েছে। অন্যদিকে আর এক বৃদ্ধ বুড়ো হাড়ে ভেল্কি দেখাচ্ছেন। রজনীকান্ত। তাঁর ছবি রিলিজ মানে চেন্নাইয়ে অঘোষিত ছুটি। অফিস -আদালতে রীতিমতো সরকারি ছুটি। যতদূর খবর, রজনীকান্তের ‘জেলার’ (jailer) শুধুমাত্র তামিল সংস্করণ আয় করেছে ১৫০ কোটি। আর সারা বিশ্বে এই সিনেমা ৪০০ কোটিতে পৌঁছে গিয়েছে। এবার ফেরা যাক বাংলায়।
অনেকেই বলছেন, বিগ বাজেটের হিন্দি সিনেমার সঙ্গে পাল্লা দেওয়ার মতো ক্ষমতা বাংলা সিনেমার নেই। বাজেটে নেই, গল্পেও নেই। সেই থোড় বড়ি খাড়া গল্প। সাংসারিক কুটকাচালি। পরকিয়া। এর বাইরে মৈনাক ভৌমিক বেরতে পারেন না। ঠিক এই সময় সিনেমাটি রিলিজ করা ভেঙ্কটেশ ফিল্মের উচিত হয়নি। তুলনায় কিছুটা ভালো অবস্থানে দেব। তাঁর ‘ব্যোমকেশ ও দুর্গ রহস্য’ প্রথম সপ্তাহে রোজগার করেছে দেড় কোটি টাকা। স্বাধীনতা দিবসে ছুটি থাকায় ওই দিন ভালো দর্শক টানতে পেরেছিল। তবে সর্বত্র হাউসফুল ছিল এই কথা অবশ্য বুক বাজিয়ে বলা যায় না। ছুটির দিন বাদে সাধারণ কাজের দিনে গদর-২ বা ওমাইগড-২ দেখতে যেখান ভিড় উপচে পড়ছে, সেখানে ফাঁকা যাচ্ছে ব্যোমকেশ।
ধুঁকছে দেব
গদর বা জেলার-এর সঙ্গে এই বঙ্গে রিলিজ হয়েছিল দুটি বাংলা সিনেমা। দেবের ‘ব্যোমকেশ ও দুর্গ রহস্য’ আর মৈনাক ভৌমিকের ‘চিনি -২’। বক্স অফিসের রিপোর্ট বলছে, চিনি -২ রীতিমতো ডিজাস্টার। সুপার ডুপার ফ্লপ। প্রথম ‘চিনি’ মানুষের যত ভালো লেগেছিল, দ্বিতীয়তে মুখ ফিরিয়ে রইল দর্শক। দর্শকের অভাবে হল মালিকরা সিনেমাটি তুলে নিতে বাধ্য হয়েছে। সেখানে শো দেওয়া হয়েছে গদর বা OMG2 কে। দুটি ছবির ব্যবসা অত্যন্ত ভালো। এত বড় বড় ছবির সঙ্গে পেড়ে উঠতে পারল না বাংলা ছবি ‘চিনি-২’। তার কারণ কী ?অনেকেই বলছেন, বিগ বাজেটের হিন্দি সিনেমার সঙ্গে পাল্লা দেওয়ার মতো ক্ষমতা বাংলা সিনেমার নেই। বাজেটে নেই, গল্পেও নেই। সেই থোড় বড়ি খাড়া গল্প। সাংসারিক কুটকাচালি। পরকিয়া। এর বাইরে মৈনাক ভৌমিক বেরতে পারেন না। ঠিক এই সময় সিনেমাটি রিলিজ করা ভেঙ্কটেশ ফিল্মের উচিত হয়নি। তুলনায় কিছুটা ভালো অবস্থানে দেব। তাঁর ‘ব্যোমকেশ ও দুর্গ রহস্য’ প্রথম সপ্তাহে রোজগার করেছে দেড় কোটি টাকা। স্বাধীনতা দিবসে ছুটি থাকায় ওই দিন ভালো দর্শক টানতে পেরেছিল। তবে সর্বত্র হাউসফুল ছিল এই কথা অবশ্য বুক বাজিয়ে বলা যায় না। ছুটির দিন বাদে সাধারণ কাজের দিনে গদর-২ বা ওমাইগড-২ দেখতে যেখান ভিড় উপচে পড়ছে, সেখানে ফাঁকা যাচ্ছে ব্যোমকেশ।
No comments:
please do not enter any spam link in the comment box