শুরুর দিন থেকে সাহসিকতার পরিচয় দিচ্ছে ‘কার কাছে কই মনের কথা’ সিরিয়াল। ভদ্র বাড়িতেও কীভাবে বধূ নির্যাতন হয়, সেটাই দারুণভাবে ফুটিয়ে তোলা হচ্ছে। এর আগে ছেলের ফুলশয্যা নষ্ট করতে ঘরে মায়ের প্রবেশ দেখিয়ে প্রবল বিতর্কে জড়িয়েছিল এই সিরিয়াল। এবার আরও এক কদম এগিয়ে বিতর্ক আরও বাড়িয়ে তুলল। দেখানো হল স্বামী জোর করে স্ত্রীর সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপনের চেষ্টা করছে। এই দৃশ্য দেখানোর পর ফের সোশ্যাল সাইটে এই সিরিয়ালের বিষয় নিয়ে বিতর্ক বেড়েছে। অনেকেই প্রশ্ন তুলছে, কেন বারবার বিতর্কিত দৃশ্য দেখিয়ে TRP বাড়ানোর চেষ্টা চলছে ? প্রোমোতে দেখানো হয়েছিল, বাড়িতে গুরুত্ব না পেয়ে পাড়ায় পাঁচ মহিলার সঙ্গে বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে শিমুলের। কিন্তু সিরিয়াল শুরুর পর থেকে গল্প এখনও পর্যন্ত সে পথে হাঁটেনি। বরং দেখানো হচ্ছে, কীভাবে শিমুল শ্বশুরবাড়ি আসার পর থেকে ক্রমাগত অত্যাচারিত হচ্ছে।
সিরিয়ালে দেখানো হচ্ছে, কলকাতা শহরের মেয়ে শিমুল। পড়াশোনার পাশাপাশি তিনি নাচ-গানেও ভীষণ পারদর্শী। কিন্তু বাড়ির আর্থিক অবস্থা ভালো না হওয়ায় কলেজ পাশ করার পর বিয়ে হয়ে যায় শিমুলের। এসে পড়ে মফঃস্বলে। সেখানে তাঁর শ্বশুরবাড়ি প্রাচীন পন্থী। বাড়ির বউকে নাচ-গান করতে দেয় না। ভালো মন্দ খাওয়ার অধিকার নেই। কোথাও যাওয়ার অধিকার নেই। এমনকি বাপের বাড়ি পর্যন্ত যেতে পারবে না। স্বামী ও শাশুড়ির সম্মতি ছাড়া কিছু করতে পারবে না সে। বাড়ির বউয়ের কাজ হল সংসার সামলানো আর রাত্রে স্বামীকে যৌন সুখ দেওয়া।
গত পর্বে দেখানো হল শিমুলের ইচ্ছার বিরুদ্ধে তাঁর সঙ্গে জোর করে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করল স্বামী পরাগ। অনেক কাকুতিমিনতি বা চোখের জল ফেলেও কোনও লাভ হল না। বৈবাহিক ধর্ষণের মুখে পড়তে হল শিমুলকে। এই দৃশ্য দেখানোর পরে প্রবল সমালোচনা শুরু হয়েছে। যদিও চ্যানেল এই দৃশ্যে সচেতনা মূলক ঘোষণা দিয়েছিল, সৃজনশীলতার জন্য এই দৃশ্য দেখানো হচ্ছে। বাস্তবে চ্যানেল মহিলাদের উপর অত্যাচারের প্রবল বিরোধিতা করে। কিন্তু তাতেও সমালোচনা থামছে না। অনেকের মতে, এইভাবে খোলামেলা বৈবাহিক ধর্ষণ দেখানো সমাজের উপর খারাপ প্রভাব ফেলবে। এটা কোনও মতেই মেনে নেওয়া যায় না। একটা সিরিয়ালের মূল উদ্দেশ্য শুধু টিআরপি বাড়ানো হতে পারে না।
সিরিয়ালে দেখানো হচ্ছে, কলকাতা শহরের মেয়ে শিমুল। পড়াশোনার পাশাপাশি তিনি নাচ-গানেও ভীষণ পারদর্শী। কিন্তু বাড়ির আর্থিক অবস্থা ভালো না হওয়ায় কলেজ পাশ করার পর বিয়ে হয়ে যায় শিমুলের। এসে পড়ে মফঃস্বলে। সেখানে তাঁর শ্বশুরবাড়ি প্রাচীন পন্থী। বাড়ির বউকে নাচ-গান করতে দেয় না। ভালো মন্দ খাওয়ার অধিকার নেই। কোথাও যাওয়ার অধিকার নেই। এমনকি বাপের বাড়ি পর্যন্ত যেতে পারবে না। স্বামী ও শাশুড়ির সম্মতি ছাড়া কিছু করতে পারবে না সে। বাড়ির বউয়ের কাজ হল সংসার সামলানো আর রাত্রে স্বামীকে যৌন সুখ দেওয়া।
গত পর্বে দেখানো হল শিমুলের ইচ্ছার বিরুদ্ধে তাঁর সঙ্গে জোর করে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করল স্বামী পরাগ। অনেক কাকুতিমিনতি বা চোখের জল ফেলেও কোনও লাভ হল না। বৈবাহিক ধর্ষণের মুখে পড়তে হল শিমুলকে। এই দৃশ্য দেখানোর পরে প্রবল সমালোচনা শুরু হয়েছে। যদিও চ্যানেল এই দৃশ্যে সচেতনা মূলক ঘোষণা দিয়েছিল, সৃজনশীলতার জন্য এই দৃশ্য দেখানো হচ্ছে। বাস্তবে চ্যানেল মহিলাদের উপর অত্যাচারের প্রবল বিরোধিতা করে। কিন্তু তাতেও সমালোচনা থামছে না। অনেকের মতে, এইভাবে খোলামেলা বৈবাহিক ধর্ষণ দেখানো সমাজের উপর খারাপ প্রভাব ফেলবে। এটা কোনও মতেই মেনে নেওয়া যায় না। একটা সিরিয়ালের মূল উদ্দেশ্য শুধু টিআরপি বাড়ানো হতে পারে না।
No comments:
please do not enter any spam link in the comment box