Gadar real story: বাস্তবের তারা সিং, এই ভারতীয় সৈনিকের জীবনের মর্মান্তিক কাহিনীর উপর তৈরি হয় ‘গদর’-এক প্রেম কথা
২০০১ সালে রিলিজ হয়েছিল ‘গদর এক প্রেম কথা’। ২২ বছর আগে সেই ছবি ছিল সুপার ডুপার হিট। বক্স অফিসে ধামাকা। এত বছর পরে সেই সিনেমার সিক্যুয়েল দেখতে হলে মানুষ লাইন দিচ্ছেন। ফের হিট। শুধু হিট নয়, সুপারহিট ‘গদর’। পর্দায় তারা-সাকিনার প্রেম কাহিনী দেখতে মানুষের উৎসাহ তুঙ্গে। প্রথম ছবি তৈরি হয়েছিল ভারত-পাকিস্তানের বিভাজনের উপর। দেশভাগ আর তা নিয়ে দাঙ্গা ছিল ছবির প্রেক্ষাপট। আর সেই প্রেক্ষাপটে জন্ম নিয়েছিল তারা-সাকিনার প্রেম কাহিনী। কিন্তু জানেন কি ? সিনেমার এই গল্প তৈরি হয়েছিল বাস্তবের উপর ভিত্তি করে (real story) । তারা-সাকিনার প্রেম কাহিনী বাস্তবেও ঘটেছিল। যদিও সিনেমার মতো মধুর মিলন হয়নি। বরং ঘটেছিল মর্মান্তিক পরিণতি।
শোনা যায়, যে স্টেশনে বসে ভারতে ফেরার জন্য ট্রেনের অপেক্ষা করছিলেন। সেখানে মেয়েকে কোলে নিয়ে বসে ছিলেন তিনি। মেয়ে মায়ের জন্য কাঁদতে থাকে। যা কিছুতেই সহ্য করতে পারেননি বুটা সিং। ট্রেনের সমানে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেন। পরে তাঁকে ‘শহীদ-এ-মহবত’ খেতাব দিয়েছিল পাকিস্তান। এই ঘটনার পর অনেক দিন বেঁচে ছিলেন জাইনাব। শুধু তাঁদের মেয়ের কী হল তা আর জানা যায়নি।
বুটা সিং ও জাইনাবের প্রেম
বাস্তবে কী ঘটেছিল জানতে গেলে পিছিয়ে যেতে হবে আজ থেকে ৭০ বছর পিছনে। যখন দেশভাগ আর তাকে ঘিরে দাঙ্গা তুঙ্গে উঠেছিল। তারা সিংয়ের মতো বুটা সিং নামের এক সৈনিক একজন মুসলিম মেয়ের প্রাণ বাঁচিয়েছিল। সেই মেয়ের নাম ছিল জইনাব। তারা-সাকিনার মতো বুটা ও জয়নাব প্রেমে পড়েন। পরে তাঁরা বিয়ে করেছিলেন। তাঁদের একটি মেয়ে হয়। মেয়েকে নিয়ে বুটা সিংয়ের সংসার ভালোই চলছিল। কিন্তু আইন অনুযায়ী দেশভাগের সময় হওয়া সমস্ত বিয়ে অবৈধ ধরা হয়েছিল। জইনাবের পরিবার ছিল পাকিস্তানে। তাই তাঁকে পাকিস্তানের নাগরিক ধরা হয়। বাধ্যতামূলকভাবে তাঁকে পাকিস্তান ফিরে যেতে হয়। বুটা সিংকে পাকিস্তান যেতে দেওয়া হয়নি। তিনি স্ত্রীকে খুব ভালোবাসতেন। তাঁকে ছাড়া মেয়েকে নিয়ে বুটা সিংয়ের পক্ষে থাকা সম্ভব ছিল না।মর্মান্তিক পরিণতি
স্ত্রীকে আনতে বুটা সিং লুকিয়ে পাকিস্তানে প্রবেশ করেন। সিনেমার তারা সিং স্ত্রী সাকিনাকে নিয়ে দেশে ফিরেছিলেন। কিন্তু বাস্তবে তা হয়নি। অবৈধভাবে পাকিস্তানে প্রবেশ করায় ধরা পড়ে যান বুটা সিং। আদালতে পেশ করা হয়। সেখানে দাঁড়িয়ে কাঁদতে কাঁদতে বুটা সিং বলেন, জাইনাব তাঁর স্ত্রী। আর তাঁদের একটি মেয়ে আছে। কিন্তু কেউ তাঁর কথা শোনেনি। অন্যদিকে, জাইনাবের পরিবার বাধ্য করে নিকট এক আত্মীয়কে বিয়ে করতে। সিনেমাতে সাকিনা পরিবারের বিরুদ্ধে গিয়ে তারা সিং ও সন্তানের সঙ্গে গিয়েছিলেন। কিন্তু জাইনাব তা পারেননি। পরিবারের প্রবল চাপের কাছে মাথা নত করতে হয়। বাধ্য হন অন্যত্র বিয়ে করতে। স্ত্রীকে ছেড়ে বুটা সিং থাকতে পারেননি। নিয়েছিলেন চরম পদক্ষেপ।শোনা যায়, যে স্টেশনে বসে ভারতে ফেরার জন্য ট্রেনের অপেক্ষা করছিলেন। সেখানে মেয়েকে কোলে নিয়ে বসে ছিলেন তিনি। মেয়ে মায়ের জন্য কাঁদতে থাকে। যা কিছুতেই সহ্য করতে পারেননি বুটা সিং। ট্রেনের সমানে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেন। পরে তাঁকে ‘শহীদ-এ-মহবত’ খেতাব দিয়েছিল পাকিস্তান। এই ঘটনার পর অনেক দিন বেঁচে ছিলেন জাইনাব। শুধু তাঁদের মেয়ের কী হল তা আর জানা যায়নি।
No comments:
please do not enter any spam link in the comment box