Jadavpur university ragging: মৃত্যু যন্ত্রণায় ছটফট করছিল স্বপ্নদীপ, তাকে ফেলে রেখেই শুরু হয় মিটিং, সেদিন রাতের ঘটনা জানলে চমকে যাবেন
গত ৯ আগস্ট রাতে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মেইন হোস্টেলের ছাদ থেকে পড়ে যায় স্বপ্নদীপ। ১০ তারিখ ভোরে তার মৃত্যু হয়। ঘটনার পর অনেক দিন কেটে গেলেও একটা প্রশ্ন বারবার ঘুরে ফিরে আসছে। এই মৃত্যু কী আটকানো যেত না ? নানা প্রত্যক্ষদর্শীর বয়ান বলছে, আটকানো সম্ভব হত, যদি ঠিক সময়ে স্বপ্নদীপকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া যেত। কিন্তু কেন নিয়ে যাওয়া গেল না ? হোস্টেলের ছাদ থেকে লাফ দেওয়ার পর স্বপ্নদীপ সেখানেই পরে কাতরাচ্ছিল। কিন্তু সঙ্গে সঙ্গে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়নি। বরং উল্টে সিনিয়ররা মিটিংয়ে বসে। পুলিশের কাছে কাকে কী বলতে হবে তা পাখি পড়ানোর মতো সবাইকে শিখিয়ে দেওয়া হয়।
যাদবপুর ইউনিভার্সিটির ছাত্র মৃত্যুর ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ১৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বাকিদের সন্ধান চলছে। অভিযুক্তরা সবাই অনেক বছর আগেই পাশ করে গিয়েছিল। তা সত্ত্বেও হোস্টেলে জোর করে ঘর দখল করে থাকত। এই সিনিয়র দাদারা কীভাবে হোস্টেলে এত বছর ধরে থাকতে পারে ? তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। তবে শুধু জোর করে থাকা নয়। জুনিয়রদের উপর র্যাগিং, তোলাবাজি, শারীরিক ও মানসিকভাবে অত্যাচার চালানোর অভিযোগও উঠেছে প্রত্যেকের বিরুদ্ধে।
এদিকে গ্রেপ্তার হওয়ার প্রথম মুখ খুলেছে প্রধান অভিযুক্ত সৌরভ চৌধুরী। সে মিডিয়ার কাছে রীতিমতো জোর গলায় বলেছে, সেদিন রাতে কোনও র্যাগিং হয়নি। ওই ছাত্র নিজে থেকেই ঝাঁপ দিয়েছিল। কোনও অত্যাচার হয়নি। আসলে সে গরীব বলে তাকে ফাঁসানো হচ্ছে। সেদিন রাত্রে কেন জরুরী মিটিং বসেছিল, তা তার জানা নেই।
Jadavpur university student death
জখম প্রথম বর্ষের ছাত্র স্বপ্নদীপকে হাসপাতালে পাঠানোর বদলে ‘সিনিয়র দাদা’রা জরুরী মিটিংয়ে বসে। প্রধান অভিযুক্ত সৌরভ চৌধুরীর পাশাপাশি জয়দীপ ঘোষ নামের আর এক প্রাক্তনীর নামও উঠে আসতে শুরু করেছে। জানা গিয়েছে, সেদিন রাতে ঘটনার পর জয়দীপের কাছে প্রথম ফোন গিয়েছিল। তড়িঘড়ি তিনি হোস্টেলে ছুটে আসেন। তাঁর নির্দেশে বন্ধ হয়ে যায় প্রধান দরজা। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, জয়দীপ বিজয়গড়ে একটি বাড়িতে ভাড়া থাকেন। একইসঙ্গে অনুমান, জয়দীপ আসা পর্যন্ত ওই ছাত্র রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতেই পড়ে ছিল। জয়দীপ এসে প্রধান দরজা বন্ধ করতে বলে। আর তারপর শুরু হয় ‘জরুরী মিটিং’। পুলিশ এখন জয়দীপ ছাড়া বাকি দাদাদের খোঁজ চালাচ্ছে।যাদবপুর ইউনিভার্সিটির ছাত্র মৃত্যুর ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ১৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বাকিদের সন্ধান চলছে। অভিযুক্তরা সবাই অনেক বছর আগেই পাশ করে গিয়েছিল। তা সত্ত্বেও হোস্টেলে জোর করে ঘর দখল করে থাকত। এই সিনিয়র দাদারা কীভাবে হোস্টেলে এত বছর ধরে থাকতে পারে ? তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। তবে শুধু জোর করে থাকা নয়। জুনিয়রদের উপর র্যাগিং, তোলাবাজি, শারীরিক ও মানসিকভাবে অত্যাচার চালানোর অভিযোগও উঠেছে প্রত্যেকের বিরুদ্ধে।
এদিকে গ্রেপ্তার হওয়ার প্রথম মুখ খুলেছে প্রধান অভিযুক্ত সৌরভ চৌধুরী। সে মিডিয়ার কাছে রীতিমতো জোর গলায় বলেছে, সেদিন রাতে কোনও র্যাগিং হয়নি। ওই ছাত্র নিজে থেকেই ঝাঁপ দিয়েছিল। কোনও অত্যাচার হয়নি। আসলে সে গরীব বলে তাকে ফাঁসানো হচ্ছে। সেদিন রাত্রে কেন জরুরী মিটিং বসেছিল, তা তার জানা নেই।
No comments:
please do not enter any spam link in the comment box