কিছু দিন আগেই জিও সিনেমা ( Jio Cinema) তে রিলিজ হয়েছে হিন্দি ওয়েব সিরিজ (hindi series) ‘তালি’। এই ওয়েব সিরিজ নিয়ে এখন চর্চা তুঙ্গে। এখান একজন বৃহনল্লার চরিত্রে অভিনয় করেছেন সুস্মিতা সেন। সিরিজের পুরো গল্প বাস্তব জীবনের কাহিনী থেকে অনুপ্রাণিত। এখানে তৃতীয় লিঙ্গের মানুষ শ্রী গৌরী সাবন্তের চরিত্র করেছেন তিনি। অনেকেই জানেন না সমাজ কর্মী গৌরী সাওয়ান্ত আসলে কে ? কী তাঁর পরিচয় ? চলুন জেনে নিই সুস্মিতা সেন যাঁর চরিত্রে অভিনয় করেছেন, সেই ব্যক্তিটি বাস্তব জীবনে কেমন ছিলেন ?
পুণেতে জন্ম। প্রকৃত নাম ছিল গণেশ। বাবা ছিলেন পুলিশকর্মী। খুব ছোটবেলায় মাকে হারান। ছোট থেকেই ঠাকুমার কাছে মানুষ। তাঁর মেয়েলি স্বভাবের জন্য নানা ধরণের কটূক্তি শুনতে হত। বাবা যাতে মেয়েলি স্বভাবের জন্য কষ্ট না পান, তাই ১৭ বছর বয়সে বাড়ি ছাড়েন গণেশ। চলে আসেন মুম্বাইয়ে। সেখানে মন্দিরের প্রসাদ আর রাস্তার জল খেয়ে খুদা- তেষ্টা মেটাতেন। এইভাবে নিজের মতো একজনের সঙ্গে আলাপ হয়। সেই সমকামী বন্ধুর সাহায্যে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার হয়ে কাজ করতে শুরু করেন। গণেশ থেকে গৌরী হয়ে ওঠেন। এত লড়াইয়ের পরেও গৌরীর মন থেকে মা হওয়ার ইচ্ছা পুরোপুরি চলে যায়নি। এবার নিজের ইচ্ছাকে গুরুত্ব দিয়ে বড় পদক্ষেপ গ্রহণ করেন।
রূপান্তরকামী বা তৃতীয় লিঙ্গের মানুষরা যাতে বাচ্চা দত্তক নেওয়ার অধিকার পান, সেই দাবি নিয়ে তিনি আদালতে যান। প্রথম বম্বে হাইকোর্টে পিটিশন দাখিল করেন। ২০১৪ সালে রূপান্তরকামীদের শিশু দত্তক নেওয়ার অধিকার দেয় আদালত। গৌরী হয়ে ওঠেন এক কন্যা সন্তানের জননী। একজন এইচআইভি পজেটিভ যৌনকর্মীর মেয়ের দেখাশোনা করতে শুরু করেন শ্রীগৌরী। যখন সেই যৌনকর্মী মৃত্যু শয্যায়। তখন তাঁর মেয়েকে দত্তক নিয়েছিলেন তিনি। এইভাবে সেই মেয়ের যশোদা মা হয়ে ওঠেন গৌরী। নিজের চেষ্টায় মেয়েটিকে বড় করছেন।
শ্রীগৌরী সাওয়ান্তের জীবন
একদিন ক্লাসে শিক্ষিকা প্রশ্ন করে ছিলেন, তুমি বড় হয়ে কী হতে চাও ? উত্তরে ছেলেটি বলে ছিল, মা হতে চাই। উত্তর শুনে সারা ক্লাসে হাসির রোল ওঠে। চোখ বড় করে শিক্ষিকা জানিয়েছিলেন, ছেলেরা কোনওদিন মা হতে পারে না। কিন্তু সেই ছেলেটির মনের ইচ্ছা সেদিন কড়া ধমকে দমে যায়নি। রূপান্তরকামী সমাজকর্মী গৌরী সাওয়ান্তের স্বপ্ন বাস্তবে রূপান্তরিত হয়েছিল।পুণেতে জন্ম। প্রকৃত নাম ছিল গণেশ। বাবা ছিলেন পুলিশকর্মী। খুব ছোটবেলায় মাকে হারান। ছোট থেকেই ঠাকুমার কাছে মানুষ। তাঁর মেয়েলি স্বভাবের জন্য নানা ধরণের কটূক্তি শুনতে হত। বাবা যাতে মেয়েলি স্বভাবের জন্য কষ্ট না পান, তাই ১৭ বছর বয়সে বাড়ি ছাড়েন গণেশ। চলে আসেন মুম্বাইয়ে। সেখানে মন্দিরের প্রসাদ আর রাস্তার জল খেয়ে খুদা- তেষ্টা মেটাতেন। এইভাবে নিজের মতো একজনের সঙ্গে আলাপ হয়। সেই সমকামী বন্ধুর সাহায্যে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার হয়ে কাজ করতে শুরু করেন। গণেশ থেকে গৌরী হয়ে ওঠেন। এত লড়াইয়ের পরেও গৌরীর মন থেকে মা হওয়ার ইচ্ছা পুরোপুরি চলে যায়নি। এবার নিজের ইচ্ছাকে গুরুত্ব দিয়ে বড় পদক্ষেপ গ্রহণ করেন।
রূপান্তরকামী বা তৃতীয় লিঙ্গের মানুষরা যাতে বাচ্চা দত্তক নেওয়ার অধিকার পান, সেই দাবি নিয়ে তিনি আদালতে যান। প্রথম বম্বে হাইকোর্টে পিটিশন দাখিল করেন। ২০১৪ সালে রূপান্তরকামীদের শিশু দত্তক নেওয়ার অধিকার দেয় আদালত। গৌরী হয়ে ওঠেন এক কন্যা সন্তানের জননী। একজন এইচআইভি পজেটিভ যৌনকর্মীর মেয়ের দেখাশোনা করতে শুরু করেন শ্রীগৌরী। যখন সেই যৌনকর্মী মৃত্যু শয্যায়। তখন তাঁর মেয়েকে দত্তক নিয়েছিলেন তিনি। এইভাবে সেই মেয়ের যশোদা মা হয়ে ওঠেন গৌরী। নিজের চেষ্টায় মেয়েটিকে বড় করছেন।
No comments:
please do not enter any spam link in the comment box