Kabir suman remark about Bhuddhadeb Bhattacharjee: আরোগ্য কামনা দূরে থাক, ধনঞ্জয়ের ফাঁসি মনে করিয়ে অসুস্থ বুদ্ধদেবের জন্য একি প্রার্থনা কবীর সুমনের
গুরুতর অসুস্থ রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। বেসরকারি হাসপাতালে চলছে চিকিৎসা। জানা গিয়েছে, ধীরে ধীরে উন্নতি হচ্ছে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর। তাঁর দ্রুত আরোগ্য কামনা করেছেন রাজ্যের বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতারা। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সহ অনেকেই অসুস্থ বুদ্ধবাবুকে দেখতে হাসপাতালে গিয়েছেন। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর অসুস্থতায় একটা সৌজন্যের রাজনীতির বাতাবরণ গড়ে উঠেছে। সেখানে অনেকেই ব্যক্তিক্রমী মন্তব্যও করছেন। যেমন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ দাবি করেছেন, অসুস্থ বুদ্ধবাবুকে মহাপুরুষ সাজানোর চেষ্টা হচ্ছে। তাঁর আমলে সন্ত্রাসের অন্য চিত্র দেখেছিল বাংলা। কুণাল ঘোষের মন্তব্য নিয়ে যখন সমালোচনার ঝড় উঠেছে, তখন সব কিছুকে ছাপিয়ে গেলেন কবীর সুমন। নাম না করে অসুস্থ বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের জন্য কবিতা লিখেছেন তিনি। সেখানে প্রচ্ছন্নভাবে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর ‘মৃত্যু’ কামনা (remark)করেছেন গায়ক কবীর সুমন।
নিজের লেখায় কবীর সুমন মনে করিয়েছেন, হাজরা মোড়ে বিরোধী নেতাদের উপর লাঠিচার্জের ঘটনা। তিনি দাবি করেছেন, যাঁকে তিনি এক সময় হেনস্থা করেছিলেন, সেই তাঁকে দেখে এখন হাত নাড়ছেন। প্রসঙ্গত, বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে দেখতে হাসপাতালে গিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে তাঁকে দেখে হাত নাড়েন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। কবীর সুমন আরও লিখেছেন, হাজরা মোড়ে যাঁকে মেরেছিলেন, সেই তিনি শেষে সরকারি সম্মান দেবেন। অর্থাৎ বুদ্ধবাবুর যে শেষ সময় আগত, তাই প্রতি পদে লেখায় বুঝিয়েছেন তৃণমূলপন্থী গায়ক কবীর সুমন।
কী লিখেছেন কবীর সুমন ?
২রা আগস্ট দুটি পোস্ট করেছেন সোশ্যাল মিডিয়ার পাতায়। সেখানে তিনি কারও নাম করেননি। কিন্তু কবিতার ছত্রে ছত্রে কার দিকে ইঙ্গিত করেছেন, তা স্পষ্ট। ধনঞ্জয় ভট্টাচার্যের ফাঁসির জন্য তিনি সরাসরি বুদ্ধদেব বাবুকে দায়ী করেছেন। তিনি তাঁকে ‘প্রৌঢ় ফাঁসুড়ে’ বলে উল্লেখ করেছেন। লিখেছেন, ফাঁসির আগের রাতে সারাক্ষণ শ্যামা সঙ্গীত গেয়েছিলেন ধনঞ্জয়। তাঁর সেই আগের রাতের সঙ্গে বুদ্ধবাবুর অসুস্থতার তুলনা টেনেছেন কবীর সুমন। লিখেছেন, ‘নার্সিং হোম ফাঁসির মঞ্চ নয়, গান স্যালুটের বুঝি বা সময় হয়’। গান স্যালুট কখন দেওয়া হয় তা সবাই জানে। অর্থাৎ তিনি কী ইঙ্গিত করছেন তা বোঝা যাচ্ছে। কবীর সুমন বুঝিয়েছেন, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর আরোগ্য কামনা তিনি করছেন না।নিজের লেখায় কবীর সুমন মনে করিয়েছেন, হাজরা মোড়ে বিরোধী নেতাদের উপর লাঠিচার্জের ঘটনা। তিনি দাবি করেছেন, যাঁকে তিনি এক সময় হেনস্থা করেছিলেন, সেই তাঁকে দেখে এখন হাত নাড়ছেন। প্রসঙ্গত, বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে দেখতে হাসপাতালে গিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে তাঁকে দেখে হাত নাড়েন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। কবীর সুমন আরও লিখেছেন, হাজরা মোড়ে যাঁকে মেরেছিলেন, সেই তিনি শেষে সরকারি সম্মান দেবেন। অর্থাৎ বুদ্ধবাবুর যে শেষ সময় আগত, তাই প্রতি পদে লেখায় বুঝিয়েছেন তৃণমূলপন্থী গায়ক কবীর সুমন।
No comments:
please do not enter any spam link in the comment box