Chandrayan 3 landing: বিশ্বমঞ্চে গর্বিত বাংলা, চন্দ্রযানের সাফল্যের পিছনে আছেন এই সাত বাঙালি বিজ্ঞানী, জানুন তাঁদের পরিচয়
বুধবার সন্ধ্যায় ইতিহাস তৈরি করেছে ভারত। মহাকাশ গবেষণায় একলাফে অনেকটাই এগিয়ে গেল আমাদের দেশ। বুধবার নির্দিষ্ট সময়ে চাঁদের মাটিতে পা রাখে চন্দ্রযান-৩ (chandrayan-3)। আর এই সাফল্য একদিনে আসেনি। গত চার বছর এই দিনটার জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন প্রায় এক হাজার ইঞ্জিনিয়ার ও গবেষক। একাধিক মাথার মেধা মিশে আছে এই মিশনে। তাঁদের সাত জন ছিলেন বঙ্গসন্তান। এই প্রতিবেদনে সেই সাত বাঙালি বিজ্ঞানীর নাম জানব।
জয়ন্ত পালঃ ছেলেকে প্রযুক্তি নিয়ে পড়ানোর মতো ক্ষমতা ছিল না জয়ন্ত পালের বাবা-মায়ের। এদিকে জয়েন্ট এন্ট্রান্সে ভালো ফল করার পর র্যাগিংয়ের ভয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়া ছেড়ে দেন। বারাসত ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ থেকে অংক নিয়ে পাশ করার পর খড়্গপুর আইআইটি থেকে পিএইচডি শেষ করেন। চন্দ্রযানের সাফল্যের পিছনে বড় অবদান আছে জয়ন্তর। ল্যান্ডার বিক্রমের গতিবেগ কেমন থাকবে, তা দেখার দায়িত্ব ছিল তাঁর উপর।
বিজয় কুমার দাঁইঃ বীরভূমের মল্লারপুরের কাছে দক্ষিণগ্রামের ছেলে বিজয়ের সাফল্যে গ্রামের সবাই খুব খুশি। কাল বিকেল থেকে গ্রামের বাড়িতে বাবা-মা টিভি খুলে বসে ছিলেন। ছেলে আগে থেকেই ফোনে জানিয়েছিলেন, টিভিতে নজর রাখতে। চন্দ্রযান-৩ টিমের সদস্য ছিলেন বিজয়। যাদবপুর থেকে এম-টেক করেছেন তিনি। বিজয়ের মা শ্যামলী জানিয়েছেন, ছেলে ফোন করে টিভি দেখতে বলেছিল। খুব আনন্দ হচ্ছে।
কৃষানু নন্দীঃ বাঁকুড়ার অত্যন্ত দরিদ্র পরিবারের ছেলে কৃষানু খুব কষ্ট করে লেখাপড়া শেষ করেছেন। তাঁর দিদি কখনও ছাত্র পড়িয়ে, কখনও মেধাবৃত্তির টাকা থেকে ভাইয়ের পড়াশোনার খরচ জুগিয়েছেন। আজ ভাইয়ের সাফল্যে খুশি কৃষানুর দিদি জানান, এই দিনটার জন্য অপেক্ষা করছিলাম।
সৌম্যজিৎ চট্টোপাধ্যায়ঃ বীরভূমের সিউড়ির ছেলে সৌম্যজিৎ চট্টোপাধ্যায়। তিনি পুরো মিশনের ডিরেক্টর পদে ছিলেন। তাঁর বাবা জানিয়েছেন, আমরা খুব খুশি। চন্দ্রযান-৩ চাঁদের মাটি ছোঁয়ায় সারা দেশের মতো আমরাও গর্বিত।
তুষারকান্তি দাসঃ ইসরোর বিজ্ঞানী তুষারকান্তি দাসের বাড়ি মুর্শিদাবাদের বেলডাঙায়। বুধবার চন্দ্রযানের সাফল্যের পর তাঁর বাড়ির সামনে রীতিমতো বাজি ফাটানো শুরু হয়ে যায়। তাঁর দাদা কুমারকান্তি জানান, ভাইয়ের আলোয় আমরাও এখন ছোটখাটো সেলিব্রেটি। এক বন্ধু জানিয়েছেন, ও বরাবর পড়ুয়া ছেলে। এখন তো চাঁদ ছুঁয়ে ফেলল।
অনুজ নন্দীঃ চন্দ্রযানের অভিযান সফল করতে উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুরের ছেলে অনুজের অবদান কম নয়। তাঁর মা শোভারানি জানান, জানতাম ছেলের পরিশ্রম সফল হবে। ভাইপো অরিত্র জানিয়েছে, কাকার কাজে আমরা সবাই খুব আনন্দ পেয়েছি। আমিও বড় হয়ে কাকার মতো হব।
কৌশিক নাগঃ জলপাইগুড়ির ছেলে কৌশিক চন্দ্রযান মিশনের সঙ্গে জড়িত। কৌশিক জলপাইগুড়ির সরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ থেকে কম্পিউটার সায়েন্স নিয়ে পাশ করেছেন। তিনি চন্দ্রযানের সফটওয়ারের দায়িত্বে ছিলেন।
জয়ন্ত পালঃ ছেলেকে প্রযুক্তি নিয়ে পড়ানোর মতো ক্ষমতা ছিল না জয়ন্ত পালের বাবা-মায়ের। এদিকে জয়েন্ট এন্ট্রান্সে ভালো ফল করার পর র্যাগিংয়ের ভয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়া ছেড়ে দেন। বারাসত ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ থেকে অংক নিয়ে পাশ করার পর খড়্গপুর আইআইটি থেকে পিএইচডি শেষ করেন। চন্দ্রযানের সাফল্যের পিছনে বড় অবদান আছে জয়ন্তর। ল্যান্ডার বিক্রমের গতিবেগ কেমন থাকবে, তা দেখার দায়িত্ব ছিল তাঁর উপর।
বিজয় কুমার দাঁইঃ বীরভূমের মল্লারপুরের কাছে দক্ষিণগ্রামের ছেলে বিজয়ের সাফল্যে গ্রামের সবাই খুব খুশি। কাল বিকেল থেকে গ্রামের বাড়িতে বাবা-মা টিভি খুলে বসে ছিলেন। ছেলে আগে থেকেই ফোনে জানিয়েছিলেন, টিভিতে নজর রাখতে। চন্দ্রযান-৩ টিমের সদস্য ছিলেন বিজয়। যাদবপুর থেকে এম-টেক করেছেন তিনি। বিজয়ের মা শ্যামলী জানিয়েছেন, ছেলে ফোন করে টিভি দেখতে বলেছিল। খুব আনন্দ হচ্ছে।
কৃষানু নন্দীঃ বাঁকুড়ার অত্যন্ত দরিদ্র পরিবারের ছেলে কৃষানু খুব কষ্ট করে লেখাপড়া শেষ করেছেন। তাঁর দিদি কখনও ছাত্র পড়িয়ে, কখনও মেধাবৃত্তির টাকা থেকে ভাইয়ের পড়াশোনার খরচ জুগিয়েছেন। আজ ভাইয়ের সাফল্যে খুশি কৃষানুর দিদি জানান, এই দিনটার জন্য অপেক্ষা করছিলাম।
সৌম্যজিৎ চট্টোপাধ্যায়ঃ বীরভূমের সিউড়ির ছেলে সৌম্যজিৎ চট্টোপাধ্যায়। তিনি পুরো মিশনের ডিরেক্টর পদে ছিলেন। তাঁর বাবা জানিয়েছেন, আমরা খুব খুশি। চন্দ্রযান-৩ চাঁদের মাটি ছোঁয়ায় সারা দেশের মতো আমরাও গর্বিত।
তুষারকান্তি দাসঃ ইসরোর বিজ্ঞানী তুষারকান্তি দাসের বাড়ি মুর্শিদাবাদের বেলডাঙায়। বুধবার চন্দ্রযানের সাফল্যের পর তাঁর বাড়ির সামনে রীতিমতো বাজি ফাটানো শুরু হয়ে যায়। তাঁর দাদা কুমারকান্তি জানান, ভাইয়ের আলোয় আমরাও এখন ছোটখাটো সেলিব্রেটি। এক বন্ধু জানিয়েছেন, ও বরাবর পড়ুয়া ছেলে। এখন তো চাঁদ ছুঁয়ে ফেলল।
অনুজ নন্দীঃ চন্দ্রযানের অভিযান সফল করতে উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুরের ছেলে অনুজের অবদান কম নয়। তাঁর মা শোভারানি জানান, জানতাম ছেলের পরিশ্রম সফল হবে। ভাইপো অরিত্র জানিয়েছে, কাকার কাজে আমরা সবাই খুব আনন্দ পেয়েছি। আমিও বড় হয়ে কাকার মতো হব।
কৌশিক নাগঃ জলপাইগুড়ির ছেলে কৌশিক চন্দ্রযান মিশনের সঙ্গে জড়িত। কৌশিক জলপাইগুড়ির সরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ থেকে কম্পিউটার সায়েন্স নিয়ে পাশ করেছেন। তিনি চন্দ্রযানের সফটওয়ারের দায়িত্বে ছিলেন।
No comments:
please do not enter any spam link in the comment box