First graduate: ‘অশিক্ষিত’ বংশের ট্যাগ ঘুচল, ৬৭ বছরে প্রথম স্নাতক হলেন কাপুর পরিবারের সদস্য

First graduate: ‘অশিক্ষিত’ বংশের ট্যাগ ঘুচল, ৬৭ বছরে প্রথম স্নাতক হলেন কাপুর পরিবারের সদস্য
বলিউডে সব থেকে সফল কাপুর পরিবার নাকি অশিক্ষিতদের বংশ। সিনেমাতে তাঁরা দারুণ সফল হলেও পড়াশোনাতে কার্যত লবডঙ্কা। কেউ টেনেটুনে ক্লাস সিক্স পর্যন্ত, কেউ বড়জোর মাধ্যমিক পাশ। কলেজের মুখ কেউ দেখেননি। তবে সেই বদনাম অবশেষে ঘুচল। ৬৭ বছর বয়সে প্রথম স্নাতক হয়ে বংশের মুখ উজ্জ্বল করলেন এক সদস্য। ২০২৩ সালে প্রথম গ্রাজুয়েট হয়ে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করলেন শাম্মি কাপুর ও গীতা বালির ছেলে আদিত্য রাজ কাপুর। ছোটবেলায় পড়াশোনার সুযোগ থাকলেও তখন সদ্ব্যবহার করতে পারেননি। তাই আত্মগ্লানি থেকে ৬১ বছরে ফের পড়াশোনা শুরু করেন আদিত্য রাজ কাপুর। ৬৭-তে এসে পেলেন স্নাতক ডিগ্রি। সেই ডিগ্রি তাঁকে বংশের মধ্যে সবথেকে বেশি শিক্ষিত হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করল।
First graduate: ‘অশিক্ষিত’ বংশের ট্যাগ ঘুচল, ৬৭ বছরে প্রথম স্নাতক হলেন কাপুর পরিবারের সদস্য

অশিক্ষিত পরিবার

কিছুদিন আগেই একটি সাক্ষাৎকারে রণবীর কাপুর স্বীকার করেন, তাঁদের কাপুর পরিবার হিন্দি সিনেমাতে অসামান্য অব্দান রাখলেও পড়াশোনা কেউ তেমন করে উঠতে পারেননি। মাধ্যমিক পাশ করাটাই বড় ব্যাপার ছিল। করিশ্মা আর করিনা কলেজে ভর্তি হলেও পাশ করে উঠতে পারেননি। আর বেশিরভাগ সদস্য স্কুলের গণ্ডি পের হতে পারেননি। এমন পরিস্থিতিতে আদিত্য রাজ কাপুর এই বয়সে নজির স্থাপন করেছেন। ছোটবেলায় মা মারা যায় আদিত্য রাজ কাপুরের। তারপর আর লেখাপড়া হয়নি। অল্প বয়সে সন্ন্যাসী হয়ে চলে যাবেন বলে স্থির করেছিল। গুরুদেবের নির্দেশে বাড়ি ফিরে সংসার শুরু করেন। পারিবারিক ধারা মেনে সিনেমাতে পা রাখলেও সফল হতে পারেননি।
First graduate: ‘অশিক্ষিত’ বংশের ট্যাগ ঘুচল, ৬৭ বছরে প্রথম স্নাতক হলেন কাপুর পরিবারের সদস্য

গোয়াতেই থাকতেন। কয়েক বছর আগে গোয়া থেকে মুম্বাই এসে থাকতে শুরু করেন। ভর্তি হয়েছিল ইন্দিরা গান্ধী ন্যাশনাল ওপেন ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি হন। কিছুদিন আগে একটি সংবাদপত্রকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে আদিত্য রাজ কাপুর জানান, ছোটবেলায় পড়াশোনার সুযোগ ছিল। কিন্তু তিনি সেই সুযোগ ব্যবহার করেননি। বড় হওয়ার পর নিজের ভুল বুঝতে পারেন। জীবনে পড়াশোনা কতটা দরকার, তা অনুভব করতে পারেন। আদিত্য জানিয়েছেন, ভিতরে ভিতরে একটা শূন্যতা বোধ করতেন। তাই আবার দর্শন নিয়ে পড়াশোনা শুরু করেন। এব্যাপারে মেয়ে তুলসী বাবার পাশে থেকেছেন। বাবাকে কলেজে ভর্তি হওয়ার প্রেরণা তিনি জুগিয়েছিলেন। মাঝে করোনার জন্য কয়েক বছর পরীক্ষা দিতে পারেননি। তাই ডিগ্রি পেতে কিছুটা দেরি হয়ে গেল। হাল না ছেড়ে পরীক্ষা দিয়ে ছিলেন। কয়েক সপ্তাহ আগে ৫৯ শতাংশ নম্বর নিয়ে স্নাতক হয়েছেন। এখানেই থামবেন না আদিত্য রাজ কাপুর। মাস্টার ডিগ্রির জন্য আরও পড়াশোনা করবেন বলে জানিয়েছেন শাম্মি কাপুরের ছেলে।

No comments:

please do not enter any spam link in the comment box

Powered by Blogger.