Haranath Chakraborty interview: ক্যান্সার আক্রান্ত স্ত্রী, ওষুধের টাকা জোগাড় করতে পারছি না, কেন বলছেন হরনাথ চক্রবর্তী

দীর্ঘ তিন দশকের বেশি সময় ধরে বাংলা সিনেমা পরিচালনা করছেন হরনাথ চক্রবর্তী। শুরুটা হয়েছিল অঞ্জন চৌধুরীর তৃতীয় সহকারী হিসেবে। সেখান থেকে নিজের জোরে আজ প্রতিষ্ঠিত পরিচালক তিনি। বাংলা সিনেমাকে উপহার দিয়েছেন একাধিক হিট সিনেমা। যেমন ‘মঙ্গলদীপ’, ‘নবাব’, ‘সংঘর্ষ’, ‘শ্বশুরবাড়ি জিন্দাবাদ’, ‘প্রতিবাদ’, ‘সাথী’ ইত্যাদি একাধিক সিনেমা। প্রতিটি সিনেমা সুপার ডুপার হিট। সেই হরনাথ চক্রবর্তী এখন বেকার। যাঁর হাত ধরে ভেঙ্কটেশ ফিল্মের মতো সংস্থা মাথা তুলতে পেরেছে, সেই প্রোডাকশন হাউস থেকে এখন আর ডাক পান না তিনি। অথচ, এই হাউসের হয়ে ‘প্রতিবাদ’, ‘সাথী’-এর মতো হিট ছবি বানিয়েছেন তিনি। সদ্য মুক্তি পেয়েছে তাঁর প্রথম ওয়েব সিরিজ। আর এক সপ্তাহ পর রিলিজ হবে ‘ওহ লাভলি’ নামের সিনেমা। এই ছবিতে অভিনয় করেছেন মদন মিত্র। এই নিয়ে আনন্দবাজার অনলাইনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে (interview) বিস্ফোরক কথা বলেছেন তিনি।

আজও স্ট্রাগল চলছে

সাক্ষাৎকারে পরিচালক হরনাথ চক্রবর্তী জানিয়েছেন, তিনি আজও স্ট্রাগল করছেন। ১৯৮৯ সালে প্রথম ‘মঙ্গলদীপ’ তৈরি করার সময় তিনি যতটা সিরিয়াস ছিলেন, এখনও তেমনি সিরিয়াসনেস নিয়ে কাজ করেন তিনি। মোদ্দা কথা তিনি জানেন, একটা সিনেমা হিট হলে তবেই দ্বিতীয় ছবিটা পাবেন। না হলে ইন্ডাস্ট্রির ভুলে যেতে বেশি সময় লাগে না। যেমন এখন স্বপন সাহা বা প্রভাত রায়ের মতো পরিচালক এখন বিস্মৃতপ্রায়। কেউ তাঁদের ডেকে কাজ দেন না। এখানেই শেষ নয়। তিনি আরও বলেন, এখন অনেক নতুন মুখ এসেছে। তাঁরা জায়গা দখল করেছে। তাই তাঁর মতো পরিচালকরা আর জায়গা পান না। একসময় যাঁদের তিনি উপকার করেছিলেন, আজ তাঁদের কেউ আর ডাকে না। নাম না বললেও হরনাথ চক্রবর্তী যে ভেঙ্কটেশ ফিল্মকে বোঝাতে চেয়েছেন তা স্পষ্ট।

READ MORE: দেখছে না দর্শক, তলানীতে TRP, রাতারাতি বন্ধের মুখে জি বাংলার চার সিরিয়াল  

এখন আর কেউ ন্যূনতম সম্মানটুকু দেয় না। কোনও অনুষ্ঠানে ডাক পেলে প্রথম সারিতে বসতে দেওয়া হয় না। জায়গা পান চতুর্থ বা পঞ্চম শ্রেণীতে। তবে তিনি রাগ করেননি। সময়ের সঙ্গে বদলাতে হয়, এটা হরনাথ চক্রবর্তী জানেন। চাইলেই তাঁকে কেউ পিছিয়ে দিতে পারবে না। সিনেমা হিট করলে আবার প্রযোজক পাবেন, এটা তিনি জানেন।

স্ত্রী ক্যান্সারে আক্রান্ত

হরনাথ চক্রবর্তী জানান, তাঁর স্ত্রী ক্যান্সারে আক্রান্ত। প্রতিমাসে ওষুধে ৭২ হাজার টাকা লাগে। এখন আর তাঁর সেই উপার্জন নেই যে চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে পারবেন। ভাগ্যিস মুখ্যমন্ত্রীর দেওয়া মেডিক্লেম ছিল। তাই কোনও রকমে চিকিৎসা চলছে। না হলে কোথায় দাঁড়াতে হত। এই কঠিন সময়ে প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়, দেব, জিতরা পাশে দাঁড়ানোর আশ্বাস দিয়েছেন। এইভাবে টিকে আছেন একসময়ের হিট পরিচালক হরনাথ চক্রবর্তী।

No comments:

please do not enter any spam link in the comment box

Powered by Blogger.