Nusrat Jahan monitory fraud: শেষ পর্যন্ত নুসরাত জাহানকে তলব করল ইডি, এবার কী করবেন অভিনেত্রী

মাস খানেক আগের কথা, ২৪ কোটি আর্থিক প্রতারণার অভিযোগ উঠেছিল অভিনেত্রী-সাংসদ নুসরাত জাহানের বিরুদ্ধে। তখন রীতিমতো সাংবাদিক সম্মেলন করে অভিনেত্রী বলেছিলেন, সব অভিযোগ মিথ্যা, ভিত্তিহীন। ইডি আমায় ডাকবে না। আত্মবিশ্বাস ঝড়ে পড়েছিল নুসরাতের গলায়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ডাক এল। আর এল সেই ২৪ কোটি আর্থিক প্রতারণা (fraud) মামলায়। বসিরহাটের সাংসদের বিরুদ্ধে ৪০০-এর বেশি প্রবীণ নাগরিককে রাজারহাটে ফ্ল্যাট দেওয়ার নামে ২৪ কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ ওঠে। বিজেপির পক্ষ থেকে ইডির অফিসে অভিযোগকারীদের নিয়ে গিয়ে কমপ্লেন জমা দেওয়া হয়। আর তারই ভিত্তিতে আগামী মঙ্গলবার সিজিও কমপ্লেক্সে হাজির হতে বলা হয়েছে অভিনেত্রীকে। একই সঙ্গে তলব করা হয়েছে সেভেন্স সেন্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার প্রাইভেট লিমিটেডের ডিরেক্টর রাকেশ সিংকে।

নুসরাতের বিরুদ্ধে কী অভিযোগ ?

জানা গিয়েছে, ওই সেভেন্স সেন্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার প্রাইভেট লিমিটেডের ডিরেক্টর ছিলেন অভিনেত্রী তথা সাংসদ নুসরাত জাহান। আর একজন ডিরেক্টর রাকেশ সিং। অভিযোগ, ২০১৪ সালে ৪২৯ জনের কাছ থেকে ৫ লক্ষ ৫৫ হাজার টাকা করে নেওয়া হয়েছিল। প্রত্যেকেই অবসরপ্রাপ্ত নাগরিক। তাঁদের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়, তিন বছরের মধ্যে প্রত্যেককে থ্রি বিএইচকে ফ্ল্যাট দেওয়া হবে। কিন্তু নয় বছর অতিবাহিত। ফ্ল্যাট তো দূরের কথা কেউ একটা ইঁটও চোখে দেখতে পাননি।

একমাস আগেই বিজেপির পক্ষ থেকে নুসরাত জাহানের বিরুদ্ধে ইডির কাছে নালিশ জানিয়ে আসে। অভিযোগ। ওই ৪২৯ জনের টাকা মেরে দিয়ে নিজের বিলাসবহুল ফ্ল্যাট কিনেছেন অভিনেত্রী। এরপর প্রেস ক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলন করে নুসরাত জানান, তিনি কোনও টাকা তছরুপ করেননি। ফ্ল্যাট কিনেছেন ওই কোম্পানি থেকে ঋণ নিয়ে। ঋণের পরিমাণ ১ কোটি ১৬ লক্ষ ৩০ হাজার ২৮৫ টাকা। ২০১৭ সালে সেই টাকা সুদ সমেত তিনি ওই কোম্পানিকে ফিরিয়ে দিয়েছেন। একইসঙ্গে দাবি করেন, ২০১৭ সালের মার্চ মাসে তিনি ওই কোম্পানি থেকে পদত্যাগ করেন। যদিও রাকেশ সিং জানিয়েছেন, কোম্পানি থেকে অভিনেত্রীকে কোনও ঋণ দেওয়া হয়নি। কীভাবে নুসরাত এই দাবি করলেন ? শুনে হতভম্ব তিনিও। এখন দেখার ইডি তদন্ত শুরু করার পর এই মামলা কতদূর গড়ায়।

No comments:

please do not enter any spam link in the comment box

Powered by Blogger.