Anu Agarwal tragic life: একটা অ্যাক্সিডেন্টে নষ্ট জীবন, ‘আশিকি’ গার্লকে এখন দেখলে কেউ চিনতে পারছে না
বলিউডে এমন অনেক সিনেমা আছে, যা কোনওদিন ভোলার নয়। তেমনি একটি সিনেমা ‘আশিকি’। সিনেমাটি মূলত হিট হয়েছিল গানের জন্য। মহেশ ভাট পরিচালিত ‘আশিকি’ বক্স অফিসে রেকর্ড করেছিল। তার থেকে বেশি হিট ছিল সিনেমার গান। কয়েক লক্ষ ক্যাসেট বিক্রি হয়েছিল। ৩০ বছর পরেও গানগুলি সমান জনপ্রিয়। এই সিনেমা থেকে তারকা হয়ে গিয়েছিলেন নবাগত রাহুল রায় এবং অনু আগরওয়াল। রাহুল রায় কিছুদিন আগে জনতা পার্টি জয়েন করে রাজনীতিতে প্রবেশ করেছেন। কিন্তু অনু আগরওয়াল এখন কোথায় ? কেন হারিয়ে গেলেন ?
মাত্র ২১ বছরে ‘আশিকি’ তাঁকে এনে দিয়েছিল বিরাট সাফল্য। সবাই ভেবেছিল, এই মেয়ে অনেক দূর যাবে। বলিউড রাজত্ব করবে। কিন্তু বাস্তবে ঘটেছিল অন্যকিছু। অনেক দূর যাওয়া তো দূরের কথা কিছুদিনের মধ্যেই ইন্ডাস্ট্রি থেকে হারিয়ে গেলেন। একটা অ্যাক্সিডেন্টে জীবন তছনছ হয়ে গেল। হারিয়ে গেল জীবনের সব আলো।
মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে এলেন তিনি ঠিকই, কিন্তু সারা দেহ জুড়ে হল অস্ত্রোপচার। টানা ২৯ দিন কোমায় থাকার পর তিনি যখন সুস্থ হয়ে ফিরে এলেন তখন আয়নার দিকে তাকানোর আর সাহস হচ্ছিল না। নিজের সেই সৌন্দর্য যেন কোথায় হারিয়ে গিয়েছিল। বেশ কিছু মাস পরিবার-পরিজনদের চিনতেও পারছিলেন না তিনি।কয়েক বছর পর তিনি গ্ল্যামার জগতে ফিরে আসার চেষ্টাও করেছিলেন কিন্তু তিনি বলিউডের কাছে হয়ে গিয়েছিলেন অকেজো। গ্ল্যামার জগতে ঠাঁই না পেয়ে তিনি বেছে নিয়েছিলেন সাদামাটা সন্ন্যাসিনীর জীবন। একটা সময় এমনও কেটেছে যখন ২ জোড়া পোশাকে বছরের পর বছর কাটিয়েছেন তিনি। ৫ ডিগ্রি তাপমাত্রাতেও রাস্তায় দিন কাটাতে হয়েছে অভিনেত্রীকে। সেই সময় পাশে পাননি কোন আপনজনকে। ২০১৫ সালে প্রকাশিত করেছেন নিজের আত্মজীবনী, যেখানে নিজের জীবনের সমস্ত অজানা কথা তুলে ধরেছেন তিনি।
সাফল্যের শীর্ষে পৌঁছে যাওয়াই হয়তো অভিনেত্রীর জীবনে অভিশাপের মতো নেমে এসেছিল। সাফল্যের শীর্ষে থাকার সময় তিনি লিভ ইন রিলেশনে ছিলেন যা তখনকার সময় মানুষের কাছে ছিল অবাস্তবের মত। সংবাদ মাধ্যমকে একটি সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী জানিয়েছিলেন, “তখন সহবাসকে নিচু চোখে দেখা হতো। কিন্তু ওর মা আমাদের সঙ্গে থাকতো। আমাকে মেনেও নিয়েছিলেন। কিন্তু ওনার বান্ধবীরা আমাকে নিয়ে ওনার কান ভাঙাতে শুরু করেন। সেই সময় সোশ্যাল মিডিয়া ছিল না যে নিজের পক্ষ নিতে পারব, তাই সম্পর্কটা ভেঙ্গে যায়।”
মাত্র ২১ বছরে ‘আশিকি’ তাঁকে এনে দিয়েছিল বিরাট সাফল্য। সবাই ভেবেছিল, এই মেয়ে অনেক দূর যাবে। বলিউড রাজত্ব করবে। কিন্তু বাস্তবে ঘটেছিল অন্যকিছু। অনেক দূর যাওয়া তো দূরের কথা কিছুদিনের মধ্যেই ইন্ডাস্ট্রি থেকে হারিয়ে গেলেন। একটা অ্যাক্সিডেন্টে জীবন তছনছ হয়ে গেল। হারিয়ে গেল জীবনের সব আলো।
অনু আগরওয়ালের জীবন
১৯৬৯ সালের ১১ জানুয়ারি দিল্লিতে জন্ম হয় অনুর। দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সমাজ বিজ্ঞানে গোল্ড মেডেল পান। তারপর মডেলিং শুরু। সেখান থেকে দূরদর্শনের ‘ইস বাহানে’ সিরিয়ালে অভিনয়ের সুযোগ পান। ১৯৯০ সালে ‘আশিকি’ ছবিতে অভিনয়ের পর শুধুই এগিয়ে চলা। একের পর এক ছবিতে কাজ করে গিয়েছেন। শেষ অভিনয় ‘রিটার্ন অফ জুয়েল থিপ’ ছবিতে। অভিনয় করতে করতেই হঠাৎ করে তিনি বিহার স্কুল অফ যোগায় যোগদান করেন এবং নায়িকার জীবন থেকে বিরতি নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। বিহারে দুবছর কাটিয়ে ফের মুম্বাইতে শেষবার ফিরে আসার বন্দোবস্ত করেন তিনি। সালটা ১৯৯৯। মুম্বাইতে যা কিছু ছিল সব কিছু নিয়ে বিহারে যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন তিনি। কিন্তু ভাগ্যের ইচ্ছা অন্য ছিল। যাত্রাপথে হটাৎ ভয়াবহ দুর্ঘটনার মুখোমুখি হন অভিনেত্রী।মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে এলেন তিনি ঠিকই, কিন্তু সারা দেহ জুড়ে হল অস্ত্রোপচার। টানা ২৯ দিন কোমায় থাকার পর তিনি যখন সুস্থ হয়ে ফিরে এলেন তখন আয়নার দিকে তাকানোর আর সাহস হচ্ছিল না। নিজের সেই সৌন্দর্য যেন কোথায় হারিয়ে গিয়েছিল। বেশ কিছু মাস পরিবার-পরিজনদের চিনতেও পারছিলেন না তিনি।কয়েক বছর পর তিনি গ্ল্যামার জগতে ফিরে আসার চেষ্টাও করেছিলেন কিন্তু তিনি বলিউডের কাছে হয়ে গিয়েছিলেন অকেজো। গ্ল্যামার জগতে ঠাঁই না পেয়ে তিনি বেছে নিয়েছিলেন সাদামাটা সন্ন্যাসিনীর জীবন। একটা সময় এমনও কেটেছে যখন ২ জোড়া পোশাকে বছরের পর বছর কাটিয়েছেন তিনি। ৫ ডিগ্রি তাপমাত্রাতেও রাস্তায় দিন কাটাতে হয়েছে অভিনেত্রীকে। সেই সময় পাশে পাননি কোন আপনজনকে। ২০১৫ সালে প্রকাশিত করেছেন নিজের আত্মজীবনী, যেখানে নিজের জীবনের সমস্ত অজানা কথা তুলে ধরেছেন তিনি।
সাফল্যের শীর্ষে পৌঁছে যাওয়াই হয়তো অভিনেত্রীর জীবনে অভিশাপের মতো নেমে এসেছিল। সাফল্যের শীর্ষে থাকার সময় তিনি লিভ ইন রিলেশনে ছিলেন যা তখনকার সময় মানুষের কাছে ছিল অবাস্তবের মত। সংবাদ মাধ্যমকে একটি সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী জানিয়েছিলেন, “তখন সহবাসকে নিচু চোখে দেখা হতো। কিন্তু ওর মা আমাদের সঙ্গে থাকতো। আমাকে মেনেও নিয়েছিলেন। কিন্তু ওনার বান্ধবীরা আমাকে নিয়ে ওনার কান ভাঙাতে শুরু করেন। সেই সময় সোশ্যাল মিডিয়া ছিল না যে নিজের পক্ষ নিতে পারব, তাই সম্পর্কটা ভেঙ্গে যায়।”
No comments:
please do not enter any spam link in the comment box