Zee Bangla Khelna Bari actress Piyali Sashmal: চোখের সামনে অত্যাচারিত হতে দেখেছেন মাকে, ‘অলকা’ পিয়ালির জীবন সিনেমার থেকে কম কিছু নয়

Zee Bangla Khelna Bari actress Piyali Sashmal: চোখের সামনে অত্যাচারিত হতে দেখেছেন মাকে, ‘অলকা’ পিয়ালির জীবন সিনেমার থেকে কম কিছু নয়
পর্দার অভিনেতা-অভিনেত্রীদের দেখে অনেকেই ভাবেন, সকলে হয়ত সোনার চামচ মুখে দিয়ে জন্মেছেন। কিন্তু বাস্তবে কী সত্যি তাই ? সবার কাহিনী সমান নয়। এমন অনেক অভিনেতা-অভিনেত্রী আছেন যাঁরা বাস্তব জীবনে অনেক লড়াই করে এই জায়গায় এসে পৌঁছেছেন। তেমনি এক অভিনেত্রী পিয়ালি সাসমল। যাঁকে এখন অনেকে জি বাংলার ‘খেলনা বাড়ি’ সিরিয়ালে অলকার চরিত্রে অভিনয় করতে দেখেছেন। চলুন জেনে নিই পিয়ালির জীবনের কঠিন কাহিনী। পিয়ালির জন্ম মেদিনীপুরে। ছোটবেলা কেটেছে মালদাতে। পড়াশোনার জন্য কলকাতায় আসেন। ভূগোল নিয়ে পড়াশোনা করেছেন। ছোটবেলা থেকে পড়াশোনায় ভালো ছিলেন। পড়তে পড়তেই অভিনয়ের সুযোগ পেয়েছিলেন। তবে অভিনয়ের কোনও ইচ্ছা ছিল না। মূলত মায়ের ইচ্ছাতেই অভিনয়ে পদার্পণ।
Zee Bangla Khelna Bari actress Piyali Sashmal: চোখের সামনে অত্যাচারিত হতে দেখেছেন মাকে, ‘অলকা’ পিয়ালির জীবন সিনেমার থেকে কম কিছু নয়
পিয়ালি সাসমাল বর্তমানে টেলিভিশনের জনপ্রিয় মুখ। ‘এবিপি পন্ডস নন্দিনী ২০১৯’ দিয়ে শুরু হয়েছিল কেরিয়ারের যাত্রা। এখান থেকেই সুযোগ আসে অভিনয়ের। তবে তিনি সবথেকে বেশি জনপ্রিয়তা পেয়েছেন সম্প্রতি শেষ হয়ে যাওয়া ‘খেলনা বাড়ি’ ধারাবাহিকে পুলিশ অফিসার ‘অলকা’ চরিত্রে অভিনয় করে। এর আগেও এই অভিনেত্রীকে ‘সাঁঝের বাতি’, ‘সাহেবের চিঠি’, ‘গাঁটছড়া’ ধারাবাহিকে অভিনয় করেছেন। কিন্তু এই অভিনেত্রীর পথচলা অতটাও মসৃণ ছিল না, খুবই কষ্ট করে আজ এই জায়গায় এসে পৌঁছেছে। এই প্রসঙ্গে এক জনপ্রিয় ইউটিউব চ্যানেলের সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী জানিয়েছেন, কলকাতায় এসে অ্যাডমিশন নেওয়ার জন্য বাগুইহাটিতে পিসির বাড়ি থাকতেন। কারণ অ্যাডমিশন নেওয়া, ফর্ম সাবমিট করা সবটার জন্য দূর থেকে তো বারবার আসা সম্ভব হত না। তাই আত্মীয়ের বাড়ি থেকে কাজগুলো করছিলেন। কিন্তু দু দিন থাকার পর সেই পিসির বাড়ি আর পিসির বাড়ি রইল না, ঘনিয়ে এল অন্ধকারের ছায়া।

পিসির বাড়ির সকলে বলতে লাগল, মেয়ে বড় হইছে মেয়েকে বিয়ে না দিয়ে, কলেজে অ্যাডমিশন দেওয়ানো হচ্ছে। একদিন রাত্রে তাদের বলা হয়, আমাদের বাড়িতে তোমরা মা, মেয়ে থাকলে সমস্যা হচ্ছে, তোমরা অন্য কোথাও থাকলে ভালো হয়। ওইদিন রাত ১২ টার সময় সেই বাড়ি থেকে বেড়িয়ে আসেন। পরেরদিন কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষা, কোনোভাবে হোটেল বুকিং করে থেকে পরীক্ষা দেন। মা চলে যান মালদাতে, পিয়ালী কলকাতায় হোস্টেলে থেকে পড়াশোনা করেন। এমনকি পিয়ালীকে পড়াশোনা করানোর জন্য এবং অভিনয় করানোর জন্য পিয়ালীর মাকে পরিবারের হাতে মার খেতে হয়েছে।আজ পিয়ালী অনেকটাই সফল। পরিবারের লোকজন এই সাফল্য দেখে হিংসায় জলে যায়। তবে ওসব নিয়ে মাথা ঘামান না। নিজের কর্মে সে অনড়। এইভাবেই পার্শ্ব চরিত্র থেকে একদিন মুখ্য চরিত্র হয়ে উঠবে। যা তার সংগ্রামের অ্যান্টিসেপটিক মলম হয়ে উঠবে।

No comments:

please do not enter any spam link in the comment box

Powered by Blogger.